আমি রাজাকার ছিলাম না: মুসা
আলোচিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসের বলেছেন, ১৯৭১ সালে আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে রাজাকারের যে অভিযোগ করা হয়, তা ভিত্তিহীন। আমি কখনয় রাজাকার ছিলামনা। একটি গোষ্টি আমাকে হেও করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যাতলয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রিন্স মুসা বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২১ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আমাকে গ্রেফতার করে। ৯ ডিসেম্বর আমি মুক্তি পাই। ওই সময় পাকিস্তানি বাহিনী আমার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়।’
তিনি বলেন, সুইস ব্যাংকে ১২ বিলিয়ন ডলার সহ আমর অন্য সব সম্পদের তথ্য আমি দুদককে দিয়েছি ।অসুস্থ থাকায় আমি দুদকের কাছে সময় চেয়েছিলাম। তারা আমাকে সময় দেওয়ার জন্য তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানায় তবে আরোও কিছুদিন সময় দিলে ভাল হত।
এর আগে আলোচিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসের দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদকে)দেহরক্ষী নিয়ে হাজির হন।আজ ১০ .৫০ মিনিটে ঢাকা গ-৩৫০০৮১ নম্বরের সাদা গাড়িতে করে আসেন সুসা। তার সাথে আসা আটটি গাড়িতে ১৭জন দেহরক্ষীসহ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন। হাজির হওয়ার পরই তাকে দুদকের দ্বিতীয়তলায় নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী ।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় বেলা ১১টায় থাকলেও এর ১০ মিনিট আগেই সকাল বিশাল গাড়ির বহর আর সুসজ্জিত ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে দুদকের সামনে আসেন আলোচিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসের। ভেতরে যাওয়া যাবে না জেনে মূল ফটকের বাইরে নেমে একা ভেতরে যান তিনি।
কালো রঙের ব্লেজারের সঙ্গে তার পরনে রয়েছে সাদা শার্ট, লাল রঙের টাই এবং সোনালী রঙের রোলেক্সের হাতঘড়ি। পায়ের জুতা হীরায় খচিত বলে তার বহরে থাকা একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন।
এমন সুসজ্জিতভাবেই সাদা রঙের মার্সিডিঞ্জ বেঞ্জে চড়ে রাজকীয় কায়দায় দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে আসেন মুসা বিন শমসের। দুদকে প্রবেশ করার আগে তার সামনে ও পেছনে এক ডজন গাড়ি ছিলো। ৬ জন নারী দেহরক্ষীসহ প্রায় ৫০ জনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ও কর্মকর্তা নিয়ে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আসেন। বাইরে তার নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে ওয়াকিটকিও দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত,মুসার জন্ম ১৯৫০ সালের ১৫ অক্টোবর ফরিদপুরে। তিনি ড্যাটকো গ্রুপের চেয়ারম্যান। ড্যাটকোর মাধ্যমে তার প্রতিষ্ঠানটি জনশক্তি রফতানি করে। বাংলা উইকিপিডিয়ায় মুসা বিন শমসেরকে ‘বিজনেস মোগল’ এবং ‘প্রিন্স মুসা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি ড্যাটকো গ্রুপের চেয়ারম্যান।
গত ৪ জানুয়ারি মুসাকে তলব নোটিশ পাঠিয়ে ১৩ জানুয়ারি বুধবার মুসার সম্পদের হিসাব চায় দুদক। কিন্তু একদিন আগে মুসা অসুস্থতার কথা বলে দুই মাস সময় চেয়েছেন। কিন্তু তাকে ২৮তারিখ পর্যন্ত সময় দিয়েছিল দুদক।
দুদক সূত্র জানা যায়, গত ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর দুদক প্রথম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ওই জিজ্ঞাসাবাদে মুসা বিন শমসের হীরকখচিত বহুমূল্য জুতা থেকে শুরু করে আপাদমস্তক মূল্যবান অলঙ্কারে সজ্জিত হয়ে বিএমডব্লিউ গাড়ি বহর নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হন। এসময় তার সঙ্গে ছিল অর্ধ শতাধিক সুন্দরী নারী-পুরুষ দেহরক্ষী। এ ঘটনায় তখন দুদকে কার্যালয় সহ পুরো দেশ থমকে যায়। মুসা বিন শমসের উঠে আসেন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে।
দুদকের একটি সূত্র জানায়, গত ৭ জুন ২০১৫ মুসা বিন শমসের দুদকে তার সম্পদের হিসেব দেয়। আর ঐ দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাই ও অনুসন্ধানের জন্য আবার মূলত তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। একই সঙ্গে তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীর সম্পদের উৎস সমর্থনে রেকর্ডপত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
মুসার সম্পদ বিবরণীতে বলেন, সুইস ব্যাংকে তার ১২ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি প্রায় ৯৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, প্রতি ডলার ৭৮ টাকা হিসেবে) জব্দ অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া সুইস ব্যাংকে ৯০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৭০০ কোটি টাকার) অলঙ্কার জমা রয়েছে। পাশাপাশি দেশের অভিজাত এলাকা খ্যাত গুলশান ও বনানীতে দুটি বাড়ি, সাভার ও গাজীপুরে এক হাজার ২০০ বিঘা জমির কথাও সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন

ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন