আম্পায়ারের ভূমিকায় ‘ক্ষুব্ধ’ বাংলাদেশ
স্পিন অলরাউন্ডার আরাফাত সানি ও পেসার তাসকিন আহমেদের সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আম্পায়ারের ভূমিকায় ‘ক্ষোভ’ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তার দল ম্যাচ রেফারির কাছ থেকে আরাফাত সানি এবং তাসকিন আহমেদের বোলিং নিয়ে সংশয়ের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ লিখিত আকারে পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দু’জন বোলারকে নিয়ে আম্পায়াররা সংশয়ের কথা জানিয়েছেন। ওদের অ্যাকশন রিপোর্টেড হয়েছে। আমরা আইসিসির প্রক্রিয়া মেনেই এগোব।’
কোচ জানান, তবে এ সময়ের মধ্যে তাদের খেলা চালিয়ে যেতে কোনো সমস্যা হবে না। তারা স্বাধীনভাবে বল করতে পারবে।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ীও আগামী ২৮ দিন নিশ্চিন্তে খেলতে পারবেন আরাফাত সানি ও তাসকিন আহমেদ। কেন না, বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশের ১৪ দিনের মধ্যে ওই বোলারকে অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে হয়। আর রিপোর্ট আসে পরবর্তী ১৪ দিনের মধ্যে।
আয়ারল্যান্ডের ম্যাচে আগে বৃহস্পতিবার ধর্মশালায় অনুশীলনের সময় সাংবাদিকদের হাথুরুসিংহে জানান, বিগত এক বছর ধরে সানি ও তাসকিন খেলছেন। কখনও এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ কিছু তাদের কাছে মনে হয়নি। বুধবার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও তারা ব্যতিক্রম কিছু দেখেননি।
তিনি অভিযোগ করেন, সন্দেজনক বোলিং নিয়ে অনফিল্ড আম্পায়ার ম্যাচ রেফারির কাছে রিপোর্ট করেছেন। তিনি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। অনফিল্ড আম্পায়ার রড টাকার এবং ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পেক্রফট গত বছরের জুনে বাংলাদেশ-ভারত সিরিজেও ছিলেন।
হাথুরুসিংহের দাবি, ‘রড টাকার সে সময়ে অনফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন। আর পেক্রফট ছিলেন ম্যাচ রেফারি।’ প্রথমবারের মত বাংলাদেশ ভারতকে (২-১) হারিয়ে ওই সিরিজ জয় করে।
বাংলাদেশ কোচ জানান, এরপরেও সানি এবং তাসকিন খেলেছেন। তাদের বোলিং অ্যাকশনে কোনো পরিবর্তনও আনা হয়নি। হঠাৎ করে বুধবার আম্পায়াদের সন্দেহের বিষয়টি গোটা দলের কাছে বড় ‘বিস্ময়’ হয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য খবরটি ছিল বিস্ময়কর। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে ওরা অনেক ক্রিকেট খেলেছে, প্রশ্ন ওঠেনি। যা হোক, আম্পায়ার-ম্যাচ রেফারি সংশয় জানিয়েছেন। আমরা সেটা মেনে নিচ্ছি। কিন্তু আমার মনে হয় না, আমরা যেভাবে খেলছি, তাতে এটা কোনো প্রভাব ফেলবে।’
কোচ আরও জানান, ‘সানি-তাসকিন নির্ভারই আছে। ছেলে দুটি মানসিকভাবে অনেক শক্ত। ওরা জানে যে ওরা যা করছে ঠিকই করছে। বাংলাদেশ দলও তাদের পাশে রয়েছে।’
এরপর তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নে মাত্র একটি শব্দ উচ্চারণ করেন, ‘হ্যাঁ, আমি বিশ্বাস করি, ওদের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কোনো সংশয় নেই।’
হাথুরুসিংহে বলেন, ‘আমি আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলিনি। তবে তাদের বিষয়টা ভাবনার তো বটেই। তারা আমার বোলারদের নিয়ে সংশয় জানিয়েছে; আমার সংশয় আছে তাদের ভূমিকা নিয়েও।’
জানা গেছে, আরাফাত সানি ও তাসকিন আহমেদ আগামী ১৪ মার্চ চেন্নাই বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বায়োমেকানিক্যাল পরীক্ষা দিবেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক, সোহাগ গাজী, আল আমিন হোসেনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল আইসিসি। ওই তিন বোলারের অ্যাকশন অবৈধও ঘোষণা হয়েছিল।
পরে নিজেদের শুধরিয়ে ফের দলে জায়গা করে নেন রাজ্জাক, সোহাগ এবং আল-আমিন। এই তিন বোলারের মধ্যে আল-আমিন বর্তমানে জাতীয় দলের হয়ে বিশ্ব কাঁপাচ্ছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন