আরো ২ জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সন্ধানে গোয়েন্দারা
গাজীপুরের হারিনাল ও পাতারটেকে জঙ্গি আস্তানায় যাদের অবস্থানের তথ্য পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে ৪-৫ জন জঙ্গি পালিয়ে যায়। এরা নব্য-জেএমবির সক্রিয় সদস্য এবং জঙ্গিদের প্রশিক্ষক। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, এসব প্রশিক্ষক রাজধানী ও এর আশেপাশের এলাকায় অন্তত দুটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (অপারেশন সেল) জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। এদেরকে ধরতে গোয়েন্দারা অনুসন্ধান চালাচ্ছেন।
পুলিশের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, গাজীপুরের পাতারটেকের জঙ্গি আস্তানায় মূলত যাদের অবস্থানের তথ্য পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে ৪-৫ জন পালিয়ে গেছেন। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে আরও কয়েকটি জঙ্গি আস্তানা রয়েছে। যেখানে তারা অবস্থান নিয়েছে। এছাড়া কমপক্ষে আরও ২টি জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকায়। শিগগিরই এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুঁজে বের করে অভিযান চালানো হবে।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, মানুষ ও পুলিশের চোখ এড়াতে জঙ্গিরা শহরের নিরিবিলি এলাকা ও জনাকীর্ণ স্থানকেও বেছে নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার আলোকে জোর দিয়েই সন্দেহ করা হচ্ছে ঢাকার আশপাশেই নব্য জেএমবির আরও কয়েকটি আস্তানা রয়েছে।
কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেন বলেন, গাজীপুরে নিহতদের মধ্যে আকাশসহ আরও দু’জন ছিলেন নব্য-জেএমবি’র প্রশিক্ষক। বাকিরা সেখানে গত তিন মাস ধরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, গাজীপুরের অভিযানটাই ভেবেছিলাম শেষ। সেখানে কয়েকজন নব্য-জেএমবি’র সদস্য ছিল বলে ধারণা করেছিলাম। তাদেরকে সেখানে পাইনি, তারা পালিয়েছে। নব্য-জেএমবি’র আরও ১-২টি ইউনিট ঢাকার আশপাশের জেলাতে অবস্থান করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আশা করছি তথ্য নিয়ে সেসব আস্তানা খুঁজে বের করে ফেলবো এবং অভিযান চালানো হবে।
তিনি বলেন, দেড় দু’মাস আগেও জঙ্গিদের হামলার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা, নজরদারি ও পরপর কয়েকটি সফল অভিযানের কারণে জঙ্গিদের এখন আর বড় কোনো হামলা চালানোর সক্ষমতা নেই।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এডিসি ছানোয়ার বলেন, গাজীপুরে নিহতদের মধ্যে মিরপুর থেকে নিখোঁজ দুই ভাই রাফিদ আল হাসান ও আয়াত হাসানকে সেখানে পাওয়া যায়নি। এছাড়া আজিমপুরে নিহত সন্দেহভাজন জঙ্গি তানভীর কাদেরীর এক ছেলে আফিফ কাদেরী নাবিলকেও সেখানে পাই নাই। তবে তারা নব্য জেএমবিতে সক্রিয় রয়েছেন বলে আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ রয়েছে।
তিনি বলেন, নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে আমরা মোট ৪ জনের পরিচয় পেয়েছি। তাও বিস্তারিত নয়। বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার জন্য সব ধরনের চেষ্টা চলছে।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অপর এক কর্মকর্তা জানান, পাতারটেকের আস্তানায় ৫ জন ছিলেন জঙ্গি প্রশিক্ষণ ইউনিটের। তারা আগস্ট থেকে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। তিন মাস ধরে তারা প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বড় ধরণের হামলার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। তবে হামলার আগেই তাদের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালানো হয়। সেখানে ৭ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে অপারেশনাল ইউনিটের সদস্য ছিলেন শুধু মাত্র আকাশ। বাকি ৪ জন পালিয়েছে।
পলাতক ৪/৫ জনের নেতৃত্বেই আরও কমপক্ষে ২টি জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (অপারেশন সেল) রয়েছে সন্দেহ প্রকাশ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, সব মিলে দুটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১০ জন জঙ্গি রয়েছেন। যারা ঢাকা ও এর আশপাশের জেলাগুলোয় হামলা চালিয়ে আবারো জঙ্গিবাদকে আলোচনায় আনতে চায়। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গত আগস্টে মিরপুরের মনিপুর এলাকা থেকে নিখোঁজ এ-লেভেল’ পড়ুয়া দুই তরুণ রাফিদ আল হাসান ও আয়াদ আল হাসান রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোঁরায় জঙ্গি হামলার পর থেকে জঙ্গি বিরোধী অভিযান শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জাগো নিউজ
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন