আ’লীগের সম্মেলনে জনগণের চাহিদা পূরন হয়নি: মির্জা আলমগীর
আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দেশের মানুষের চাহিদা পূরন হয়নি দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতি অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলো, অনিশ্চয়তার মধ্যেই থেকে গেছে।
রোববার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব চাষী নজরুল ইসলামের ৭৫ তম জন্মদিন উপলে আলোচনা সভা ও প্রমান্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে তিনি এসব কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোট।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ বড় একটি উৎসব করেছে। এই উৎসবে তারা আলোকসজ্জা, উৎসবের সারঞ্জামের আয়োজন নিখুতভাবে হয়েছে, বিদেশি বন্ধুরা এসেছিলেন তারাও কথা বলেছেন। কিন্তু জনগণের জন্য, বাংলাদেশের মানুষের যে চাহিদা তার জন্য তারা কি করেছেন? এই সম্মেলনে সেই মুল বিষয়টিই নেই।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের প্রধান সংকট হচ্ছে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। সেই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য তারা কি করবেন, তারা তা বলেনি। মানুষের অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা করার জন্য কি করবেন, তা তারা বলেননি। যে ভোটের অধিকার তারা ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন, সেই ভোটের অধিকারকে ফিরিয়ে দিতে কি করবেন তা তারা বলেননি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এই কাউন্সিলের আগে আমি বলেছিলাম, এই কাউন্সিল থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথনির্দেশনা দেখতে পাবো। আশা করেছিলাম, প্রধানমন্ত্রী কিভাবে গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসবেন, একটি সংলাপের ব্যবস্থা করবেন, কিভাবে বিরোধী দলের সঙ্গে একটি সমঝোতা করা যায় সেই ব্যাপারে কথা বলবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা সেটি পাইনি। জাতি অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলো, অনিশ্চয়তার মধ্যে থেকে গেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের কথা ভুলে যাইনি। সেখানে শতকরা ৫ ভাগ মানুষ ভোট দিতে পারেনি। ১৫৩ জন প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করা হয়েছে। যে বিরোধী দল করা হয়েছে সেই বিরোধী দলকে কেউ গুরুত্ব তো দেয়না, সরকারও গুরুত্ব দেয়না। তাদের তিনজন সদস্য সরকারের মন্ত্রীসভার সদস্য।
সংসদীয় গণতন্ত্রের কথা বলে বিরোধী দলের নামে অদ্ভুদ জিনিস জাতির সামনে হাজির করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে আমাদের বোকা বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি হচ্ছে জাতির সঙ্গে সম্পূর্ন প্রতারণা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে এক হাজার কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, ৫ শ বেশি নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে, হাজার হাজার মানুষ পঙ্গু হয়েছে, মিথ্যা মামলায় ল ল মানুষ আসামী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এই যে বিভাজনের রাজনীতি, ত্রাসের রাজনীতি; বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থেই একটি ফ্যাসিবাদ জন্ম দিয়েছে।
সরকার ভিন্নমতকে সহ্য করতে পারছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, অধিকারের কথা বলা এখন অপরাধ। যারা এই ধরনের কথা বলে তাদেও চিহ্নিত করা হয়, হুমকি দেওয়া হয়, এমনকি গুম-খুন করে দেওয়া হয়। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, সরকার গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রন করছে। সরকারের কথা মতো কাজ না করলে গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
প্রয়াত চাষী নজরুল ইসলামের স্মৃতিচারন করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি সত্য কথা বলতে ভয় পেতেননা। সাংষ্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে অধিকারের রায় কাজ করেছেন। তিনি এমন সময় চলে গেলেন যখন তাকে খুব দরকার ছিলো।
অধিকার রায় দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জোৎস্রো কাজীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংষ্কৃতিক সংস্থা-জাসাসের সাধারণ সম্পাদক মনির খান প্রমুখ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন