আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছেন; এবার মানুষকে কিছু দিতে চাই: আফ্রিদি
অনেকদিন হলো সবধরণের ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেটের মহাতারকা শহীদ আফ্রিদি। এখন তার মূল কাজ সমাজসেবা। পাশাপাশি টুকটাক ক্রিকেট কোচিং করান। তবে নিজের ফাউন্ডেশন নিয়েই মূলতঃ ব্যস্ততা এখন পাকিস্তানি লিজেন্ডের। এই ফাউন্ডেশন গড়ে তুলতে নিয়মিত সহায়তা করে যাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। কিন্তু ঠিক কী কাজ করছে আফ্রিদি ফাউন্ডেশন?
কলকাতার একটি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাতকারে সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক জানিয়েছেন বিস্তারিত। আফ্রিদির ফাউন্ডেশনের প্রধান কাজটা হচ্ছে থর মরুভূমি অঞ্চলে। ওই সব দুর্গম অঞ্চলে এমন কিছু জায়গা আছে, যেখানে বাচ্চারা জন্মের ৩ মাসের মধ্যেই মারা যায়! কুসংস্কারের তীব্রতা, খাদ্য এবং চিকিৎসার অভাবে এমন করুণ পরিণতি বরণ করতে হয় শিশুদের। আফ্রিদরি ফাউন্ডেশন সেই সব দুর্গম জায়গায় চলে যাচ্ছে শিশুদের বাঁচাতে। ওখানে মা এবং শিশুদের জন্য হাসপাতাল তৈরি করেছেন আফ্রিদি। ক্রিকেটে ৪০০ ওভার বাউন্ডারি হাঁকানো এই ক্রিকেটারের স্বপ্ন, এক দিন এই মৃত্যুলীলা ঠিক শেষ হবে।
আফ্রিদির ভাষায়, ‘আমার লক্ষ্যই হচ্ছে পাকিস্তানে যত প্রত্যন্ত এলাকা আছে, সেখানে স্বাস্থ্য সমস্যা আর জলসঙ্কট দূর করা। আমরা সেরকম অনেক জায়গায় হাসপাতাল তৈরির চেষ্টা করছি। যেমন খাইবার অঞ্চলের তিরাহ উপত্যকা। ওখানে সামান্য বিশুদ্ধ খাবার পানি জোগাড় করতে ১২-১৩ কিলোমিটার হাঁটতে হয়। আমরা সে জায়গায় পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করছি। হিন্দু-মুসলমান সবার জন্য আমার ফাউন্ডেশন এই কাজটা করে চলেছে। ‘
বাংলাদেশ বলুন আর ভারত বলুন, পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে শহীদ আফ্রিদি। এমনকী অবসর নেওয়ার পরেও তিনি সমান জনপ্রিয়। ভারতীয় ক্রিকেটারদের কাছেও আফ্রিদির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বও আছে। কখনও ভারতীয় টিমের সই করা জার্সি, কখনও বিরাট কোহালির সই করা ব্যাট তার ফাউন্ডেশনের জন্য উপহার হিসেবে গেছে।
যখন ক্রিকেট খেলতেন তখন প্রতিপক্ষের ত্রাস ছিলেন। ব্যাট হাতে বার বার ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠতে দেখা যেত তাকে। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি শান্তির প্রতীক। জীবনের কোন ইনিংসটা তার কাছে বেশি চ্যালেঞ্জিং? ‘জীবনের এই দুটি পর্বেই আমাকে নানাভাবে দায়িত্বশীল হতে হয়েছে। প্রথমটায় আমি খেলেছিলাম দেশকে জেতানোর জন্য। দ্বিতীয়টায় খেলছি মানুষের জন্য। ‘
শেষে আফ্রিদি বললেন বর্তমান ইনিংস নিয়ে তার ধনকুভাঙা পণের কথা, ‘জীবনের এই ইনিংসে আমার লক্ষ্য মানুযের জন্য কিছু করা। আল্লাহ আমাকে অনেক কিছু দিয়েছেন। আমি এ বার মানুষকে কিছু ফিরিয়ে দিতে চাই। প্রথম ইনিংস আমার শেষ। সেটার ওপর জীবন মরণ নির্ভর করত না। কিন্তু জীবনের এই দ্বিতীয় ইনিংসে আমাকে জিততেই হবে। ‘
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন