আশরাফুলের যে রেকর্ড এখনো ভাঙেনি
পনেরো বছর আগে কলম্বোর স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তখনো তাঁর চোখেমুখে লেগে ছিল কৈশোরের সারল্য। লিকলিকে এই ব্যাটসম্যানের হাত ধরেই যে ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন একটি পাতা যোগ হবে, তা হয়তো কারো ধারণায়ও ছিল না। মুত্তিয়া মুরালিধরন, চামিন্দা ভাসদের দুর্দান্ত বোলিং মোকাবিলা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন দলের সিনিয়র ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু ১৭ বছর বয়সী আশরাফুল লড়াই করেছিলেন বুক চিতিয়ে। শতরানের ইনিংস খেলে উল্টে দিয়েছিলেন রেকর্ডবুকের পাতা। যে রেকর্ডটি এখনো আছে আশরাফুলেরই দখলে।
সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট শতক করার রেকর্ডটি দীর্ঘদিন ধরে ছিল পাকিস্তানের মুশতাক মোহাম্মদের দখলে। ১৯৬১ সালে মাত্র ১৭ বছর ৭৮ দিন বয়সে ভারতের বিপক্ষে শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। দীর্ঘ ৪০ বছর পর ২০০১ সালের এই দিনেই (৮ সেপ্টেম্বর) মুশতাকের রেকর্ডটি ভেঙে দিয়েছিলেন আশরাফুল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শতক করার সময় আশরাফুলের বয়স হয়েছিল ১৭ বছর ৬১ দিন। ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো অটুট আছে আশরাফুলের এই রেকর্ড।
২০০১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটা ছিল বাংলাদেশের পঞ্চম টেস্ট ম্যাচ। অনভিজ্ঞতার ছোঁয়া ছিল বাংলাদেশের প্রতিটি পদক্ষেপেই। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মুরালি-ভাসের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ৯০ রানে। আশরাফুলই করেছিলেন সর্বোচ্চ ২৬ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের নাজেহাল করে দেন জয়াবর্ধনে (১৫০), সাঙ্গাকারা (৫৪), জয়সুরিয়া (৮৯), আতাপাত্তুরা (২০১)। ৫ উইকেট হারিয়ে ৫৫৫ রান জমা করে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেন লঙ্কান অধিনায়ক জয়সুরিয়া। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষেই প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের হার।
৪৬৫ রানের বিশাল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করে ৮১ রানেই বাংলাদেশ হারায় চারটি উইকেট। দ্বিতীয় দিনের শেষ পর্যায়ে ব্যাট করতে আসেন আশরাফুল। নির্বিঘ্নেই পার করে দেন দিনের বাকি সময়। তৃতীয় দিনে আশরাফুলের ব্যাট থেকে আসে ইতিহাসগড়া সেই ইনিংস। চার ঘণ্টারও বেশি সময় উইকেটে থেকে আশরাফুল মোকাবিলা করেছেন ২১২টি বল। ১৬টি চার মেরে করেছেন ১১৪ রান।
অভিষেকেই রেকর্ডগড়া শতক করে অনেক সম্ভাবনাই জাগিয়েছিলেন আশরাফুল। তাঁর হাত ধরে বাংলাদেশ পরে পেয়েছে আরো অনেক সাফল্য। কিন্তু ২০১৩ সালে ম্যাচ পাতানো কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন প্রতিভাবান এই ব্যাটসম্যান। নিষিদ্ধ হন সব ধরনের ক্রিকেট থেকে। এ বছরের আগস্টে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠেছে আংশিকভাবে। ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নেওয়ার অনুমতি পেয়েছেন আশরাফুল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার জন্য অবশ্য অপেক্ষা করতে হবে আরো দুই বছর।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন