আয়লানের পর ভয়াবহতার প্রতীক এবার নিধি
একটা ছবি হাজার শব্দের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। সমুদ্রের ধারে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা ছোট্ট আয়লানের একটা ছবি গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। ২০০৫ সালেও এরকম একটি ছবি সারা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল। পুরো শরীরে বিস্ফোরণের ক্ষত আর রক্ত নিয়ে প্রাণ বাঁচাতে এজওয়ার রোড স্টেশন থেকে বেরিয়ে আসছেন এক ব্যক্তি। এই ছবিই ছিল লন্ডন টিউব বিস্ফোরণের প্রতীক। গত মঙ্গলবার ব্রাসেলস বিস্ফোরণেও পাওয়া গেল এরকম একটি ছবি। ক্ষত-বিক্ষত শরীরে রক্তের দাগ নিয়ে বসে আছেন এক তরুণী। চোখে-মুখে আতঙ্ক। ব্রাসেলস বিস্ফোরণের ভয়াবহতা উঠে এসেছে এই ছবির মাধ্যমে।
মুম্বাইয়ের বাসিন্দা নিধি জেট এয়ারওয়েজের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে চাকরি করতেন। বিস্ফোরণের দিন ব্রাসেলস থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী একটি বিমানে ডিউটি ছিল তার। কয়েক সেকেণ্ড যদি হাতে সময় পেতেন তাহলে হয়ত ওই বিমানে উঠেও যেতেন। কিন্তু ভাগ্যবিধাতা হয়ত সুপ্রসন্ন ছিল না। তাই বিমানে ওঠার আগেই ঘটে বিস্ফোরণ। ছিটকে কয়েক হাত দূরে গিয়ে পড়েন। সারা শরীরে তীব্র যন্ত্রনা অনুভব করেন। মুহূর্তে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি ধাতস্থ হতে কিছুটা সময় পার হয়ে যায়। চিন্তাশক্তি কাজ করা শুরু করলে শরীরটাকে কোনরকমে টেনে তোলে নিধি।
আহত নিধি ক্ষত বিক্ষত শরীরে এয়ারপোর্টের সিটে গিয়ে বসেন। হলুদ জ্যাকেটে তার রক্তাক্ত শরীরের ছবি মুহূর্তে হয়ে ওঠে ব্রাসেলস বিস্ফোরণের `ফেস অব হরর`। ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। টুইটারে ট্রেন্ডিং হয়ে যায় #Pray For Nidhi।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন