আয়ু বাড়ানোর ওষুধ!
ন্দর ভুবনে’ কেউই ‘মরিতে’ চায় না। আর একটু বেশিদিন যদি বেঁচে থাকা যায়, তার জন্য কত চেষ্টাই না করছেন সবাই।
কিন্তু, যদি এমন কোনও ওষুধ হয় যাতে আয়ু বেড়ে যেতে পারে আরও ১০ বছর? সেই স্বপ্ন আর বেশি দূরে নেই। কিছুদিনের মধ্যেই সত্যি হতে চলেছে। বয়স বাড়ার আসল কারণ বের করে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা। আর তা থেকেই বয়স কমানোর দাওয়াই আনা সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।
গবেষণায় জানা গেছে, জিএসকে-৩ নামে প্রোটিন মলিকিউল আমাদের আয়ু কমানোর জন্য দায়ী। এটা দূরে সরিয়ে রাখতে পারলেই বাড়বে আয়ু। যাতে জিএসকে-৩ রয়েছে, এমন একটি ফল নিয়ে গবেষণা করে দেখা গিয়েছে লিথিয়াম ব্যবহার করে সেগুলোর আয়ু বাড়ানো যাচ্ছে অন্তত ১৬ শতাংশ। গবেষকদের ধারণা লিথিয়াম কিংবা সমগোত্রীয় কোনও ওষুধ যার বেশি সাইড এফেক্ট হবে না, সেগুলি ব্যবহার করে আয়ু বাড়ানো সম্ভব। এছাড়া এর মাধ্যমে বয়সজনিত মারণরোগ যেমন, অ্যালঝাইমারস, ক্যানসার, পারকিনসনস ডিজিজ, ডায়াবেটিসও দূর করা সম্ভব হবে।
বিজ্ঞানীরা জানান, জিএসকে-৩ নামে মলিকিউলসের কারসাজিতেই বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমরা বুড়িয়ে যাই। এই প্রোটিনকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারলেই কেল্লা ফতে! বয়স হলেও বুড়িয়ে যাবে না শরীর-মন। পাশাপাশি মানুষের জীবনের গড় স্বাভাবিক আয়ু ৭০-৮০ থেকে বেড়ে ১১০-১২০ হবে। বিস্তর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, যে লিথিয়াম ড্রাগ নির্দিষ্ট মাত্রায় ব্যবহার করে মানব শরীরে জিএসকে-৩ এর ক্রিয়াকলাপ অনেকটাই দমানো যাবে। এই ড্রাগ জিএসকে-৩ কে অনেকটাই নিষ্ক্রিয় করে দেয়। লিথিয়াম ড্রাগ ট্যাবলেটে পরিণত করা যায়। তাই মানুষ সহজেই এই ড্রাগ খেতে পারবেন। সাধারণত লিথিয়াম বায়োপলার ডিজঅর্ডার নামে এক ধরনের মানসিক অসুখের চিকিৱৎসায় ব্যবহার করা হয়। এর কিছু কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও আছে।
যেমন- এই ড্রাগ নিয়মিত ব্যবহার করলে ক্লান্তি ও অবসন্নতা গ্রাস করে। তাই লিথিয়ামের বিকল্প কিছু খোঁজার চেষ্টায় এখন রয়েছেন বৈজ্ঞানিকরা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, জিএসকে-৩ কে শরীরে নিষ্ক্রিয় করে দিলে শুধু দীর্ঘজীবন নয়, বয়সের সঙ্গে যে সব অসুখ আমাদের গ্রাস করে সে সব থেকেও দূরে থাকা সম্ভব। যেমন – অ্যালঝাইমার্স, ডায়াবেটিস, ক্যানসার এবং পারকিনসন্স ডিজিজ থেকে আমাদের রক্ষা করবে লিথিয়াম।
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও গবেষক দলের প্রধান ড. জর্জ ইভান জানান, ‘দীর্ঘজীবন সত্যিই মানুষের প্রয়োজন কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। কিন্তু সুস্থ জীবনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠতে পারে না। আমরা বেশিরভাগই ১১০ বা ১২০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে চাই না। কিন্তু আমরা সবাই সুস্থ ভাবে বাঁচতে চাই। এই আবিস্কার আমাদের সেদিকেই নিয়ে যাচ্ছে। ‘
বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, হয়ত আগামী কয়েক দশকেও আয়ু বাড়ানোর ওষুধ পাওয়া যাবে না। তবে যদি কখনও পাওয়া যায় তা ৭ থেকে ১০ বছর আয়ু বাড়ানো সম্ভব।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন
কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন
জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ
জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন