রবিবার, অক্টোবর ২০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

আ.লীগের তাণ্ডব, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালী জেলা এখন সহিংস জনপথে পরিণত হয়েছে। যেসব এলাকায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেসব এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। সন্ধ্যার পরে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া অনেকেই ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। নির্বাচনী প্রচার প্রচারণাকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ঘটছে হামলা, সংঘর্ষ, বাড়ি ঘড়ে অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা।

এসব ঘটনায় ইতোমধ্যে শতাধিক মানুষ আহত হবার পাশাপাশি একজন নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া এসব এলাকার মানুষের সম্পদের ক্ষতির পরিমাণও কম নয়। তবে হামলা ও সংঘর্ষে জড়িতরা অধিকাংশই ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী হওয়ায় পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এসব নিয়ন্ত্রণে অনেকটা বিব্রত বোধ করছেন।

জেলার সচেতন মহল মনে করছেন, আওয়ামী লীগের এখনই এসব তাণ্ডব নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। নতুবা আরো বড়ো ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা করছেন তারা।

প্রথমধাপে পটুয়াখালী জেলায় ৫০টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এসব এলাকায় গত ৩ মার্চ প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারণায় নেমে পরেছেন প্রার্থীরা। প্রচার প্রচারণায় অংশ নিতে গিয়ে অনেক ইউনিয়নে হামলা, মামলাসহ নানা সহিংসতামূলক ঘটনা ঘটছে। তবে অধিকাংশ ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী থাকায় নিজেরাই সংঘর্ষে জড়িয়ে পরছেন।

গত ৩ মার্চ রাতে বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কামাল হোসেন ও আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহজাদার কর্মী সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এরই ধারাবাহিকতায় ওই রাতে উভয় পক্ষের অন্তত ৭টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। বাড়ির আসবাবপত্র থেকে শুরু করে গৃহপালিত হাঁস মুরগী এমনকি ফলজ গাছও সহিংসতার হাত থেকে বাদ যায়নি।

৫ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নাজমুল হুদার বসত ঘরসহ ৫০০ মণের ধানের গোলায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী হানিফ মিয়ার কর্মী ও সমর্থকরা। এছাড়া এর আগের দিন রাতেও ওই এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আর এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী হানিফ মিয়া উল্টো বাদী হয়ে নাজমুল হুদা ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলামসহ ২০৪ জনের নাম উল্লেখ করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেন।

৭ মার্চ সোমবার বিকেলে পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন মৃধা ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাকির হোসেন প্যাদার কর্মী সমর্থকদের মধ্য রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুইপক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে গুরুতর অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এছাড়া একই দিন সোমবার রাতে বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সামসুল হক ফকির ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের জাহাঙ্গীর উল্লার কর্মী সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরেন। সংঘর্ষে ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আশ্রাফ ফকির নিহত হন। এ ঘটনায় আরো অন্তত ১০ জন আহত হন। নিহত আশ্রাফ ফকির সামসুল হক ফকিরের খালাত ভাই। এ ঘটনায় নিহতের মা ওজিফা বেগম বাদী হয়ে ৫২ জনকে আসামি করে বাউফল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নির্বাচনী এ সহিংসতা এখন এতটাই নিয়ন্ত্রণহীন যে প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। গত ৮ মার্চ বিকেলে পটুয়াখালীর বাউফলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্চি মজিবুর রহমান, নওমালা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহজাদা হাওলাদার ও দাসপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেনকে মারধর করে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে উপজেলা পরিষদের আয়োজিত পূর্ব নির্ধারিত আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই মারধরের ঘটনা ঘটে। এসময় পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট বিঘাই, মাদারবুনিয়া, বাউফলের চন্দ্রচীপ, সূর্যমনি, রাঙ্গাবালি সদর ইউনিয়ন, চালিতাবুনিয়াসহ অধিকাংশ ইউনিয়নে প্রতিদিনই বিচ্ছিন্ন হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। আর এসব কারণে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির চীরচেনা গ্রুপিং আরো চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক এ কে এম শামিমুল হক সিদ্দিকী জানান, নির্বাচনী পরিবেশ ঠিক রাখতে প্রতিটি উপজেলায় ইতোমধ্যে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তারা নির্বাচনী এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন।

পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার সৈয়দ মোসফিকুর রহমান জানান, পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ দিনরাত কাজ করছে, যেখানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে সেখানে পুলিশ দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এছাড়া সার্বক্ষণিক নির্বাচন কমিশনের সাথে আলাপ আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে দাবি করেন জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এদিকে এমন সহিংস পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলায় যেকোনো সময়ে বিজিবি মোতায়েন হতে পারে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সাথে জেলা প্রশাসনের আলাপ আলোচনা চলছে বলেও সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

আমতলীতে তৃতীয়বার মেয়র হলেন মতিয়ার রহমান

বরগুনার আমতলী পৌরসভা নির্বাচনে বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগেরবিস্তারিত পড়ুন

বরগুনায় কোটি টাকা মূল্যের তক্ষক উদ্ধার

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ঘুটাবাছা এলাকা থেকে কোটি টাকা মূল্যের ৩টিবিস্তারিত পড়ুন

পটুয়াখালী-৩: বিএনপির মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে হাসান

একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নানা উসিলা আর উপলক্ষে নির্বাচনীবিস্তারিত পড়ুন

  • সিরাজগঞ্জে প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করল স্কুলের নৈশ প্রহরী
  • এক সঙ্গে চার কন্যা প্রসব, মারা গেল তিনজনই
  • বরিশালে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
  • স্ত্রী হত্যায় ছাত্রলীগ নেতা রুবেল কারাগারে
  • তারাবির নামাজে দুই মুসল্লির হাতাহাতি, ঘুষিতে একজনের মৃত্যু
  • পটুয়াখালীতে ৩ হাজার ৯৫০ পিস ইয়াবাসহ নারী আটক
  • ভোলায় কিশোরীকে আটকে রেখে টানা ৩ দিন ধরে গণধর্ষণ!
  • ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ে কলেজ ছাত্রাবাস ধুমড়ে মুচড়ে গেছে, আহত-১০
  • স্বরূপকাঠীতে চাঁই বিক্রি করে স্বাবলম্বী অনেক পরিবার, রয়েছে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধার অভাব
  • বরিশাল মহানগর বিএনপি অফিসে তালা লাগিয়েছে বিদ্রোহীরা
  • এক নারীকে স্ত্রী দাবি দুই ব্যক্তির!
  • দ্বিতীয় শ্রেণীর মাদ্রাসার ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, লম্পট শিক্ষক আটক