ইংল্যান্ডকে নিয়ে ভাবছেন না নাসির
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট খেলতে ঢাকায় আসছে ইংল্যান্ড; কিন্তু সম্প্রতি গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর পরিস্থিতি অনেকটা বদলে গেছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে শেষপর্যন্ত নাও আসতে পারে ইংলিশরা। তবে ইংল্যান্ডের আসা না আসা নিয়ে ভাবছেন না দলের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। ও মুহূর্তে অনুশীলনেই সম্পূর্ণ মনোযোগ তার।
সোমবার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি কার্যালয়ে নাসির বলেন, ‘ইংল্যান্ডের আসা না আসা নিয়ে কেউ চিন্তা করছে না। আমাদের সবার ফোকাস এখন ১৪-১৫ দিনের ফিটনেস অনুশীলনের দিকে।’
বিদেশি কোচিং স্টাফদের ছাড়াই চলছে ক্রিকেটারদের কন্ডিশনিং ক্যাম্প। তারপরও কন্ডিশনিং কোচ মারিও ভিল্লাভারায়ন থাকলে যেমন অনুশীলন হয়, তেমনই হচ্ছে বলে মনে করেন নাসির। তার মতে ফিটনেস জিনিসটা সম্পূর্ণ নিজের। সবাই নিজের মতই চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি
‘মারিও না থাকলেও অনুশীলন এক রকমই হচ্ছে। ফিটনেস জিনিসটা সম্পূর্ণ নিজের ওপর। আপনি নিজে যদি চেষ্টা না করেন তাহলে এটা উন্নতি হবে না। আল্লাহর রহমতে আমরা সবা্ই নিজে থেকে চেষ্টা করছি। ফিটনেসের তো তেমন বেসিক কিছু নেই। শুধু রানিং আর ছোটখাটো যা আছে সেসব দেখার জন্য তো ইফতি ভাই আছেনই।’
২০১৫ সালে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে অনেক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি দারুণ সাফল্যও পেয়েছে তারা; কিন্তু চলতি বছরে অনেকদিন থেকেই খেলা নেই। অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটাও রয়েছে অনিশ্চয়তার মধ্যে। তাই সেই ঘাটতি নিজেদের মধ্যে ম্যাচ খেলে পুষিয়ে নিতে চান নাসির।
‘ম্যাচ প্র্যাকটিস হচ্ছে সবচেয়ে বড় প্র্যাকটিস। আমরা হয়তো অনেকদিন ধরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছি না। আমি জানি না ইংল্যান্ড আসবে নাকি আসবে না। তারপরও আমাদের চেষ্টা থাকবে বা আমাদের কোচিং স্টাফের চেষ্টা থাকবে ওখান থেকে (দীর্ঘদিন না খেলা) বের হয়ে আসা। সিরিজের আগে আমরা নিজেদের মধ্যে পাঁচ-সাতটা ম্যাচ খেলবো।’
যদি ইংল্যান্ড বাংলাদেশে আসে সে ক্ষেত্রে প্রায় ১৪ মাস পরে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে নামবে বাংলাদেশ। তাই হঠাৎ করে টেস্ট খেলাটা অনেক কঠিন মানছেন নাসির। তবে ওয়ানডেতে তেমন সমস্যা হবে না বলে মনে করেন তিনি।
‘টেস্ট অবশ্যই কঠিন। বাংলাদেশে হলে ঠিক আছে। আর যদি বাইরে হয় বাংলাদেশের জন্য একটু হলেও কঠিন। শেষ কবে টেস্ট খেলছি আমি জানি না, মনে নেই। অবশ্যই আমাদের জন্য অনেক কঠিন হবে টেস্টটা। আমরা যতো বেশি টেস্ট খেলবো ভালো করার সুযোগ ততো থাকবে। একটু হলেও তাই আমাদের জন্য কঠিন হবে।’
‘ওয়ানডেতে আমাদের যে প্রধান লক্ষ্য থাকবে, ধারাবাহিকতা ধরে রাখা। আমরা ১০ মাস ধরে হয়তো ওয়ানডে খেলিনি। তবে আমার মনে হয় না খুব বেশি সমস্যা হবে। কারণ ম্যাচে নামার আগে প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলবো।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন