ইংল্যান্ডের অবিশ্বাস্য, রেকর্ডগড়া জয়!
শুরুতে ব্যাটিং করে দক্ষিণ আফ্রিকা গড়েছিল ২২৯ রানের বিশাল স্কোর। এই রানের পাহাড় ইংল্যান্ড যে পেরোতে পারবে তা হয়তো কেউই ভাবতে পারেননি। কিন্তু শেষপর্যন্ত অবিশ্বাস্য, রেকর্ডগড়া এক জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা। ৪৪ বলে ৮৩ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডকে দুই উইকেটের স্মরণীয় এক জয় এনে দিয়েছেন জো রুট। দুই বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে ইংল্যান্ড।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার দখলে। ২০০৭ সালের প্রথম আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০৮ রান তাড়া করে জিতেছিল প্রোটিয়ারা। এবার সেই দক্ষিণ আফ্রিকাকেই হারিয়ে সেই রেকর্ডটি ছিনিয়ে নিল ইংল্যান্ড। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটিও ওয়েস্ট ইন্ডিজ গড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছিল ২৩২ রান তাড়া করে।
দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরাও শুরু থেকেই চড়াও হয়েছিলেন বোলারদের ওপর। কিছুটা বরং এগিয়েই ছিলেন প্রোটিয়াদের চেয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা ৫০ রান পূর্ণ করতে খেলেছিল ২৩ বল। আর ইংল্যান্ডের প্রথম ৫০ রান এসেছে মাত্র ১৭ বল খেলে। ইংল্যান্ড অবশ্য প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যে হারিয়েছিল দুইটি উইকেট। তৃতীয় ওভারে ৭ বলে ১৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরেছেন অ্যালেক্স হালেস। আরেক ওপেনার জ্যাসন রয়কে দেখা গেছে আরও বিধ্বংসী ভূমিকায়। তবে খুব বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। পঞ্চম ওভারে আউট হয়েছেন ১৬ বলে ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে। দুইটি উইকেটই নিয়েছেন কাইল অ্যাবট। ষষ্ঠ ওভারে বেন স্টোকসও কাগিসো রাবাদার শিকার হয়ে ফিরে গিয়েছিলেন ১৫ রান করে। ছয় ওভারের পাওয়ার প্লে শেষে তিন উইকেট হারানোর পর ইংল্যান্ডের রান সংগ্রহের গতিও কমে গিয়েছিল বেশ খানিকটা। দশম ওভারে অধিনায়ক ওয়েন মরগানকে আউট করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চালকের আসনে বসিয়েছিলেন জেপি ডুমিনি। তবে পঞ্চম উইকেটে ৩৬ বলে ৭৫ রানের জুটি গড়ে ইংল্যান্ডকে জয়ের পথে অনেকখানি এগিয়ে দেন রুট ও জস বাটলার। ১৬তম ওভারে বাটলার ২১ রান করে আউট হয়ে গেলেও রুট লড়েছেন শেষপর্যন্ত। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রুট যখন আউট হন তখন ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১০ বলে ১১ রান। শেষ কাজটুকু নির্বিঘ্নেই সেরে ফেলেছেন মইন আলী ও ক্রিস জর্ডান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৯৭ রান যোগ করেছিলেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও হাশিম আমলা। ২৪ বলে ৫২ রান করেছেন ডি কক। ৩১ বলে ৫৮ রানের ইনিংস এসেছে আমলার ব্যাট থেকে। দুজনেই মেরেছেন সাতটি চার ও তিনটি ছয়। শেষপর্যায়ে জেপি ডুমিনি তিনটি ছয় ও তিনটি চার মেরে করেছেন ২৮ বলে ৫৪ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হেরে বিশ্বকাপের শুরুটা ভালোভাবে করতে না পারলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুর্দান্ত এই জয় দিয়ে দারুণভাবে লড়াইয়ে ফিরেছে ইংল্যান্ড। অন্যদিকে হার দিয়ে হতাশাজনকভাবে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করতে হলো দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন