ইউনেস্কোর ‘ভুল’ ভাঙাতে চায় সরকার
সুন্দরবনের পাশে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেস্কোর প্রতিবেদন ভুল প্রমাণ করতে চায় পরিবেশ অধিদফতর। একই সঙ্গে এ প্রকল্প স্থাপনের মাধ্যমে ‘সুন্দরবনের ক্ষতি হবে’ এমন অবস্থান থেকেও সংস্থাটিকে সরিয়ে আনতে চায় সরকার।
জানা গেছে, ইউনেস্কোর ভুল ভাঙাতে পরিবেশ অধিদফতরের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সংস্থাটির সদর দফতর প্যারিস গেছে। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, বিদ্যুৎ বিভাগের পাওয়ার সেলের পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক ড. সুলতান আহমেদ, বন অধিদফতরের খুলনা বিভাগের বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন আহমেদ ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসের (সিইজিআইএস) উপনির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা আবদুল্লাহ খান।
সূত্র জানায়, প্রতিনিধি দল সেখানে রামপালের পক্ষে নিজেদের সব কাগজপত্র উপস্থাপন করবে। অন্যদিকে কিসের ভিত্তিতে ইউনেস্কো এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটিও তারা জানতে চাইবে।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু মঙ্গলবার বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের মাধ্যমে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না। এমন তথ্য-প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। এখন আমরা ইউনেস্কোর কাছে এসব তথ্য তুলে ধরবো। একই সঙ্গে তাদের প্রতিবেদনের পেছনে কি ভিত্তি আছে সেটাও জানতে চাইব। আমাদের তথ্য-প্রমাণ ঠিক খাকলে তারা মেনে নেবেন, তাদের ঠিক থাকলে আমরা মেনে নেবো।
উল্লেখ্য, বাগেরহাটের রামপালে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হবে বলে দাবি পরিবেশবিদদের। এনিয়ে ব্যাপক আন্দোলনও হয়েছে। পরিবেশবিদদের এই আন্দোলনের সঙ্গে জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থাও (ইউনেস্কো) একই মত দেয়।
প্রতিবেদনে সংস্থাটি রামপাল থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্র সরিয়ে নেয়ার আহ্বানও জানায়। এ অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে সংস্থাটিকে চিঠি দিয়ে জবাব দেয়া হয়। তাতেও কাজ না হওয়ায় পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তা সংস্থাটির সদর দফতরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এই সফরে ইউনেস্কো ও বিশ্ব ঐতিহ্য সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে প্রতিনিধি দল।
জানা গেছে, রামপাল নিয়ে দেশি-বিদেশিসহ বিভিন্ন মহল থেকে তীব্র আপত্তি ওঠার পর গত বছর জার্মানির বনে বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির ৩৯তম অধিবেশনে সুন্দরবন ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনে একটি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল পাঠানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। সে সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২২ মার্চ তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এক সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ সফর করে।
দীর্ঘ পাঁচ মাস বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সংস্থাটি গত আগস্টে সরকারের কাছে একটি প্রতিবেদন পাঠায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সুন্দরবনের পাশে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি হবে। রামপালে প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে অন্যত্র তা সরিয়ে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল ওই প্রতিবেদনে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সাময়িক বরখাস্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনেবিস্তারিত পড়ুন
কমলা হ্যারিসের ভোটের প্রচারণায় বাজবে এ আর রহমানের গান
আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসেরবিস্তারিত পড়ুন
উপদেষ্টা আদিলুর: পূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না
দুর্গাপূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেবিস্তারিত পড়ুন