ইউপি চেয়ারম্যানের ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ, সেই অসহায় ধর্ষিতা নারীর পাশে কাদের সিদ্দিকী
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান মিল্টন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। মঙ্গলবার বিকেলে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা রিসোর্টে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই গৃহবধূ টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ধর্ষিত ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে কালিহাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বুধবার বিকেলে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই গৃহবধূকে দেখতে যান। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং ইউপি চেয়ারম্যান মিল্টন সিদ্দিকীর দৃষ্টান্ত মূলক দাবি করেন।
ধর্ষিতা গৃহবধূ জানান, বেশ কিছুদিন ধরে তার বাবার বাড়ির সীমানা নিয়ে প্রতিবেশির সাথে বিরোধ চলে আসছিলো। মঙ্গলবার সেই বিরোধ নিয়ে শালিসী বৈঠকের কথা বলে মনির নামের এক ব্যক্তি তাকে তার নানার বাড়ি সখীপুর উপজেলার আমবাগ থেকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে আসে। তার আগে মনির তাকে জানায়, তার মা তাকে কালিহাতীর নাগবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদে যেতে বলেছে। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদে না নিয়ে মনির তাকে এলেঙ্গা রিসোর্টে নিয়ে যায়। সেখানে নাগবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান মিল্টন সিদ্দিকীর কাছে তাকে দিয়ে চলে আসে। পরে মিল্টন তাকে রিসোর্টের একটি কক্ষে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে রিসোর্টের সামনের ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ফেলে পালিয়ে যায়।
সেখান থেকে সে তার মায়ের সাথে যোগাযোগ করলে তার মা ও পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসাপাতলে নিয়ে আসে। ধর্ষিতার মা জানান, জমি নিয়ে শালিস-মিমাংসা করার কথা বলে ইউপি চেয়ারম্যান তার মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান মিল্টন সিদ্দিকীর ব্যবহৃত মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
কালিহাতী থানার ওসি আখেরুজ্জামান বলেন, টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন ওই গৃহবধূর অভিযোগপত্র নেয়া হয়েছে। পরে এই ব্যাপারে কালিহাতী থানায় মনির ও মিল্টন সিদ্দিকীকে আসামি করে একটি নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপরদিকে গাইনি বিভাগের চিকিৎসক রেহেনা পারভীন বলেন, ওই গৃহবধূর শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি, তবে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়া যাবে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পুলিশের ওসি অশোক কুমার সিংহ বলেন, ধর্ষণের মামলাটি আমাদের কাছে এসেছে। প্রমাণ সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আসামিরা যেই হোক না কেন তাদের ছাড় দেয়া হবে না বলে তিনি জানান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন