বুধবার, নভেম্বর ২৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

ইউপি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যাপারে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পদে থাকতেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তবে সরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষকরা এ সুবিধা পাবেন না। তাদের পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। একইভাবে সরকারি চাকরিজীবীদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে ইস্তফা দিতে হবে।

এছাড়া পরিবারের কোনো সদস্যের নিত্যপণ্যের ডিলারশিপ বা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে আর্থিক সংশ্লিষ্টতা থাকলে ওই পরিবারের সদস্যরা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হিসেবে গণ্য হবেন। ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীদের যোগ্যতা ও অযোগ্যতার এসব বিষয় স্পষ্ট করে নির্দেশনা জারি করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরও এ নির্দেশনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে এসব যোগ্যতা-অযোগ্যতার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে নির্দেশনা দেয়া হবে। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে উপসচিব পর্যায়ের এক কর্মকর্তা জানান, ২২ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে ৭৩৯টি ইউপির মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন নির্ধারিত রয়েছে। এ উপলক্ষে দু’একদিনের মধ্যে প্রার্থিতার যোগ্যতার এসব বিষয় স্পষ্ট করে নির্দেশনা জারি করা হচ্ছে। এতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করতেও সুবিধা হবে। অনাকাক্সিক্ষতভাবে মনোনয়নপত্র বাতিলের সংখ্যা কমে আসবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আইনে প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতার বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। তবুও কিছু বিষয় স্পষ্ট নয়। ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে উপজেলা, জেলা এমনকি কমিশনে ফোন করে আবার কেউ নিজেই হাজির হয়ে প্রার্থিতার যোগ্যতা-অযোগ্যতার এসব বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চাচ্ছেন। এছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তা পদে বিপুলসংখ্যক সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ায় তাদের কাছেও এসব বিষয় স্পষ্ট নয়। এসব বিবেচনায় প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতার কয়েকটি বিষয় কমিশন স্পষ্ট করল।

ইসি সূত্র জানায়, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা সার্বক্ষণিক অফিস সুবিধা ভোগ করেন। এ কারণে পদটি লাভজনক। মেম্বাররা সার্বক্ষণিক সুবিধা পান না। এ অবস্থায় চেয়ারম্যানদের পদত্যাগ করে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া এবং মেম্বারদের সপদে থেকেই প্রার্থী হওয়ার বিধান ছিল। কিন্তু পৌরসভা নির্বাচন-২০১১ উপলক্ষে হাইকোর্টের একটি রায়ে মেয়রদের পদত্যাগ না করে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আদেশ দেয়া হয়। ওই আদেশ বিবেচনায় রেখে ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন বলে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সরকারি অনুদান পাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা চাকরিতে থাকাবস্থায় ইউপি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। এ বিষয়ে খসড়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইউপি নির্বাচনে এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সপদে বহাল থেকে নির্বাচনের সুযোগ পাবেন। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও পদে থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নির্বাচনে অংশ নিতে হলে চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে হবে। ইস্তফা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে তার সপক্ষে উপযুক্ত প্রমাণাদি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দিতে হবে। এ বিষয়ে নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ইস্তফা দেয়ার দরখাস্ত দাখিল করলেই তা ইস্তফা বলে বিবেচনা হবে না। এতে আরও বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি থেকে অব্যাহতি নিলে তিন বছর অপেক্ষা করতে হবে না। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এলপিআর চাকরিরই অংশ বিধায় এলপিআরে থাকলে নির্বাচনের অযোগ্য হবেন।

ঠিকাদার ও ডিলারদের ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। খসড়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তি যেমন বাবা, মা, স্বামী বা স্ত্রী, ছেলেমেয়ে, সৎ ছেলেমেয়ে, পিতা, মাতা ভাই ও বোন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের কোনো কাজ সম্পাদনের বা মালামাল সরবরাহের জন্য ঠিকাদার হলে বা নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হলে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন। তবে অন্য ইউনিয়ন পরিষদের ঠিকাদার হলে তিনি যোগ্য বিবেচিত হবেন।

এছাড়া এসব ব্যক্তির কেউ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের জন্য সরকার কর্তৃক নিযুক্ত অত্যাবশ্যক দ্রব্য-পণ্য যেমন- চাল, ডাল, চিনি, আটা, সার, কীটনাশক ইত্যাদির ডিলার হলে তিনি নির্বাচনের অযোগ্য হবেন। তবে অন্য ইউনিয়নের ডিলার হলে নির্বাচনের যোগ্য হবেন। এতে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর ঠিকাদারি বা ডিলারশিপ থাকলে বা সমর্পণ করলে বা অন্য কোনো নামে হস্তান্তর করলে তিনি নির্বাচনের অযোগ্য হবেন। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে ঠিকাদারি বা ডিলারশিপ হস্তান্তর করলে তিনি নির্বাচনে যোগ্য হবেন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

উপদেষ্টা মাহফুজ: সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন,“গণ-অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থেবিস্তারিত পড়ুন

বড় ব্যবধানে অ্যান্টিগা টেস্টে হারলো বাংলাদেশ

চতুর্থ দিনেই অ্যান্টিগা টেস্টের ফল কোন দিকে গড়াচ্ছে, তা নির্ধারণবিস্তারিত পড়ুন

কিশোরগঞ্জে মা-বাবা ও ২ সন্তানের মরদেহ উদ্ধার

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় একই পরিবারের চার জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেবিস্তারিত পড়ুন

  • চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা, ঢাবিতে গায়েবানা জানাজা
  • বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রপতি এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আপনি কতটুকু জানেন?
  • পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: চিন্ময় দাসকে নিয়ে ভারতের বিবৃতিতে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে
  • রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
  • জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে ‍সুবিধা পাওয়া যাবে
  • ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
  • শাকিব: আমার ক্যারিয়ারের সব বিগ হিট সিনেমা ঈদ ছাড়াই এসেছে
  • এক বছরের মধ্যে নির্বাচন চান ৬১.১% মানুষ, সংস্কার শেষে ৬৫.৯%
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুপক্ষের সংঘর্ষ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ১০ মৃত্যু
  • জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করার পরামর্শ কমিশনের
  • দেশের সংকটে যে সমাধান দেখছেন তারেক রহমান