শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

ইউরো শ্রেষ্ঠত্বের ঝলমলে মঞ্চ

প্যারিসের রাস্তায় বিশাল সব বিলবোর্ডে এখন কীর্তিমান ফুটবলারদের মুখ আঁকা। কিংবদন্তি জিনেদিন জিদান, পাওলো মালদিনিরা যেমন রয়েছেন, তেমনি হাল আমলের ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোও। শিল্পের শহরে শুরু হচ্ছে ইউরোপিয়ান ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই, সেখানে রং-তুলির ছোঁয়া না থাকলে চলে!

কিন্তু প্যারিস তো এখন আর শুধু শিল্পনগরী না, আতঙ্কের শহরও। গত নভেম্বরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ফ্রান্সের রাজধানীজুড়ে প্রাণ ঝরেছে ১৩০ জনের। মাত্র মাস সাতেকে সেই আতঙ্ক শহরবাসীর মন থেকে মুছে যায় কী করে! বিশেষত এই ইউরো যখন সন্ত্রাসবাদীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা চারদিকে।

আজ সেই ফ্রান্সে রোমানিয়ার বিপক্ষে স্বাগতিকদের ম্যাচ দিয়ে মহাদেশীয় মুকুটের যে লড়াই শুরু হচ্ছে, তার গুরুত্ব তাই শুধু ফুটবলে সীমিত নেই। সুন্দরের সঙ্গে অসুন্দরের, শিল্পের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের যুদ্ধ এটি। আর সুর-অসুরের সেই যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত জিতবে কোন পক্ষ, উত্তরটা সময়ের হাতে তোলা। তবে এই নিরাপত্তা-শঙ্কাও ফুটবলপ্রেমীদের মন মাতানো প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজ উপভোগের প্রত্যাশায় বাঁধ দিতে পারছে না।

প্রতিদ্বন্দ্বিতা—ইউরোর মূল সুর বরাবরই এটি। হবে না কেন! ১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯০ বিশ্বকাপে যখন ইউরোপ থেকে খেলত ১৩-১৪টি দেশ, সেই সময়টায় ১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯২ ইউরোতে সাকুল্যে দল ছিল আটটি। অর্থাৎ ইউরোপের দেশগুলোর জন্য বাছাই পর্ব পেরিয়ে বিশ্বকাপে খেলার চেয়ে ইউরোর চূড়ান্ত পর্বে খেলা ছিল কঠিন। আর শীর্ষ দলগুলোই কেবল খেলত বলে সেখানকার প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজ অনেক বেশি। বিশ্বকাপের মতো ‘অর্থহীন’ ম্যাচ নেই বললেই চলে। পর্যায়ক্রমে ইউরোতে দল-সংখ্যা বেড়েছে। ১৬ থেকে বাড়িয়ে এবার তো প্রথমবারের মতো ২৪ দলের অংশগ্রহণে হচ্ছে টুর্নামেন্টে। তাতে এলেবেলে কিছু ম্যাচ হয়তো হবে, তবু রোমাঞ্চকর ম্যাচের সংখ্যাই যে থাকবে বেশি, সেটি বলা যায় নির্দ্বিধায়।

মাসখানেকের সেই ফুটবল-রোমাঞ্চ শেষে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতবে কোন দেশ? টুর্নামেন্টের আবহে অন্তত নিরঙ্কুশ ফেভারিটের তকমা সেঁটে দেওয়া যাচ্ছে না কারো গায়ে। তা স্পেন গত দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন হওয়া সত্ত্বেও! ২০১৪ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ায় সোনালি প্রজন্মের সমাপ্তিরেখা আঁকা হয়ে গেছে বলে সিংহভাগ বিশ্লেষকের মত। সেই ভস্ম থেকে জেগে ওঠার চ্যালেঞ্জ এই ইউরোতে ‘লা রোজা’দের। চেক প্রজাতন্ত্র, তুরস্ক, রাশিয়াকে নিয়ে গড়া ‘ডি’ গ্রুপ থেকে নকআউট পর্বে ওঠাটা বরং সে তুলনায় সহজ।

‘লে ব্লু’দের ধরা হচ্ছে সম্ভাব্য শিরোপাপ্রত্যাশীদের মিছিলের অগ্রসৈনিক হিসেবে। কারণও আছে। একে ফ্রান্সের মাটিতে বসছে এবারের আসর। ১৯৮৪ সালে সর্বশেষ যেবার অমনটা হয়েছিল, শিরোপা জেতে মিশেল প্লাতিনির দল। ১৯৯৮ সালে নিজ দেশে আয়োজিত বিশ্বকাপও জিতেছে ফ্রান্স। তবে শুধু এ কারণেই দিদিয়ের দেশমের দলের সম্ভাবনা-পালে হাওয়া লাগছে ভাবাটা ভুল হবে। এবারের দলটিও তো দুর্দান্ত। পগবা-গ্রিয়েজমান-ম্যাতিউদি-জিরদ-পায়েত-লরিদের নিয়ে গড়া স্কোয়াডটির অনেক দূর যাওয়ার পক্ষে বাজি ধরা যায় স্বচ্ছন্দে।

আজ রোমানিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ফ্রান্স মাঠে নামবে টগবগে আত্মবিশ্বাস নিয়ে। সর্বশেষ চারটি প্রস্তুতি ম্যাচ কেবল জেতেনি তারা, এতে করেছে ১৩ গোল। ছয় গোল খাওয়ায় রক্ষণভাগ নিয়ে দুশ্চিন্তা অবশ্য থাকছে কিছুটা। তবে রোমানিয়া-আলবেনিয়া-সুইজারল্যান্ড নিয়ে গড়া ‘এ’ গ্রুপ থেকে উতরে যাওয়া নিয়ে কোনো সংশয় থাকার কথা নয়।

নকআউট পর্বে উঠবে ছয় গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন-রানার্সআপ, সঙ্গে সেরা চার তৃতীয় স্থানের দল। শুরুতেই তাই প্রথাগত কোনো পরাশক্তির ঝরে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। ‘বি’ গ্রুপে রাশিয়া, ওয়েলস, স্লোভাকিয়ার সঙ্গে থাকা ইংল্যান্ড অবশ্য শুধু নকআউট পর্বে উত্তরণ নয়, স্বপ্ন দেখছে আরো বহুদূর যাওয়ার। ফুটবলপাগল দেশটির আন্তর্জাতিক শিরোপা বলতে সেই ১৯৬৬ বিশ্বকাপ, ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়নি কখনো—এবার রয় হজসনের দল বাছাই পর্বের ১০ ম্যাচের ১০টিতেই জিতে প্রত্যাশার পারদ দিয়েছে উঁচু করে।

‘সি’ গ্রুপে ফেভারিট জার্মানি। তবে ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ের পর ফর্মটা খুব ভালো যাচ্ছে না ইওয়াখিম ল্যোভের দলের। ইউরোর বাছাই পর্বে ধুঁকতে হয়েছে, প্রস্তুতি ম্যাচে দিন কয়েক আগে হারল স্লোভাকিয়ার কাছে। তবু দলটা যখন জার্মানি, তার ওপর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন— তাদের গোনার মধ্যে না রাখার বোকামি নিশ্চয়ই করবেন বা কেউ। আর ইউক্রেন, পোল্যান্ড, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ‘সি’ গ্রুপে ল্যোভের দল ফেভারিট তো অবশ্যই।

ড্রয়ের পর ‘গ্রুপ অব ডেথ’ খোঁজা হয় অবধারিতভাবে। এবারের ইউরোতে সেটি নিশ্চিতভাবে ‘ই’ গ্রুপ। যেখানে ইতালির সঙ্গী টুর্নামেন্টের ‘ডার্ক হর্স’ বেলজিয়াম, সুইডেন ও রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল বরং পড়েছে সহজ গ্রুপে। আইসল্যান্ড-অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির সঙ্গে ‘এফ’ গ্রুপে তারা।

রোনালদো, গ্রিয়েজমান, ম্যুলার, ইব্রাহিমোভিচ, ইনিয়েস্তা, বেল, হ্যাজার্ডদের মতো তারকারা থাকছেন। সন্ত্রাসবাদের অন্ধকার পেছনে ঠেলে দিয়ে এ তারকা ফুটবলারদের আলোয় আলোকিত হবে ইউরো—এই প্রত্যাশাই নিয়েই তো আজ থেকে মাঠে গড়াচ্ছে ইউরোপিয়ান ফুটবল-শ্রেষ্ঠত্বের এ আসর।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস

টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন

প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!

চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন

নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন

  • ভারতের বিপক্ষে ১৩৩ রানের বিশাল পরাজয় বাংলাদেশের
  • আলোক স্বল্পতায় তৃতীয় দিনের খেলা শেষ, বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ৩৫৭
  • খেলার মাঝেই সন্তানের সুসংবাদ, উইকেট পেয়ে উদযাপন শাহিন আফ্রিদির
  • বন্যার্তদের সহায়তায় এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সমন্বয় সেল গঠন
  • নির্বাচিত পার্লামেন্টের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে: মির্জা ফখরুল
  • আদালত প্রাঙ্গণে সাবেক বিচারপতি মানিককে ডিম-জুতা নিক্ষেপ
  • রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট: ৯৪ রানে এগিয়ে থেকে চতুর্থ দিন শেষ করল বাংলাদেশ
  • পুলিশের লুট হওয়া ১২৩৪টি অস্ত্র উদ্ধার
  • হাসপাতাল থেকে বাসায় পৌঁছলেন খালেদা জিয়া
  • বিএনপির শামা ওবায়েদ ও কৃষক দলের বাবুলের পদ স্থগিত
  • ইসির নিবন্ধন পেল এবি পার্টি, প্রতীক ঈগল
  • থানায় জিডি-মামলা নিতে দেরি করা যাবে না: পরিপত্র জারি