ইডেন তুমি কার, ভারত না পাকিস্তানের?
বিশ্বকাপের সব আসরে ফেবারিটের তকমা গায়ে লাগিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। সারা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে এ এক বিরাট ধাঁধা। প্রয়োজনীয় মূহুর্তে গিয়ে ভেঙে পড়ায় তাদের ‘চোকার্স’ দুর্নাম শুনতে হয়। পাকিস্তান পঞ্চাশ ওভার এবং কুড়ি ওভার দুই ফরম্যাটেই বিশ্বকাপ জিতেছে। কিন্তু কী এক আশ্চর্য কারণে দুই ঘরানার বিশ্বকাপের একটি ম্যাচেও পাকিস্তান ভারতকে হারাতে পারেনি। কেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা বিশ্বকাপ এলেই ভারতের সঙ্গে পারেন না, সেটা তাদের কাছেও বড় এক প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুরু থেকেই এমনটা হয়ে আসছে। বিশ্বকাপে ভারতের কাছে পাকিস্তান হারবে এটা যেন নিয়তি নির্ধারিত। ২০০৭ প্রথম টি২০ বিশ্বকাপের কথাই ধরা যাক। গ্রুপসেরা হওয়ার লড়াইয়ে পাক-ভারত ম্যাচটি টাই হয়ে গেলো। বোল আউট পদ্ধতিতে ভারতের সবাই স্ট্যাম্পে বল লাগাতে পারলেন, পাকিস্তানের কেউ পারলেন না। ফাইনালেও এই দুই দলই মুখোমুখি। প্রথম বিশ্বকাপ জেতার সব যোগাড়যন্ত্র করে ফেলেছিলেন মিসবাহ-উল-হক। কিন্তু অখ্যাত যোগিন্দর শর্মাকে স্কুপ মারতে গিয়ে বিশ্বকাপটাই ফেলে দিলেন মিসবাহ। পঞ্চাশ এবং কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপ মিলে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছে মোট ১০ বার। নয়বারই জিতেছে ভারত। বাকি ম্যাচটিও ভারত জিতেছে টাইব্রেকারে। ২০০৭ টি২০ বিশ্বকাপে ক্রিকেট একবারই দেখেছে সেই বিখ্যাত টাইব্রেকার।
শনিবার ইডেন গার্ডেনের ম্যাচকে ঘিরে তুঙ্গস্পর্শী উত্তেজনা বিরাজ করছে পাক-ভারত শিবিরে। আরো একবার ভারতের শিকারে পরিণত হবে পাকিস্তান নাকি ইতিহাস বদলে যাবে? সেটা পাক-ভারত মহারণ শুরু হওয়ার পর থেকেই আঁচ করা যাবে। বাংলাদেশ সময় ম্যাচটি শুরু হবে রাত আটটায়।
পাকিস্তানের সামনে এবার ইতিহাস বদলে দেওয়ার দারুণ সুযোগ রয়েছে। প্রথমত: বাংলাদেশকে হারিয়ে শহীদ আফ্রিদিদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে কয়েক গুণ। কারণ বিশ্বকাপ শুরুর আগে এশিয়া কাপে তাদের বাংলাদেশের কাছে হারতে হয়েছিল। দ্বিতীয়ত: ভীষণ চাপে রয়েছে স্বাগতিক ভারত। বিশ্বকাপ শুরুর ম্যাচে মহেন্দ্র সিং ধোনির টিম ইন্ডিয়াকে হারতে হয়েছে নিউজিল্যান্ডের কাছে। উপরন্তু শুক্রবার ধর্মশালায় আবার অস্ট্রেলিয়াকে নিজেদের শিকারে পরিণত করেছে কিউইরা। তার মানে পাকিস্তানের সঙ্গে হারলে ভারতের শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা আইসিউতে চলে যাবে! বাঁচা-মরার ম্যাচে ভারত যে মরণকামড় দিতে চাইবে সে কী আর বলতে হয়। আবার ইডেনের ইতিহাসও কিন্তু পাকিস্তানের হয়ে কথা বলছে। ঐতিহাসিক এই মাঠে যতবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হয়েছে ততবারই বিজয়ের হাসি হেসেছে পাকিস্তান। সুতরাং ধোনিকে এটাও মাথায় রেখে মাঠে নামতে হবে।
পাক-ভারত দ্বৈরথ যে অ্যাশেজের চেয়েও বড়, ম্যাচপূর্ব সাংবাদিক বৈঠকে বলে দিয়েছেন রবিচন্দ্র অশ্বিন। শুধু তাই নয়, পাক-ভারত ম্যাচকে তিনি সীমান্তে সংঘাতের সঙ্গে তুলনা করেছেন। ম্যাচের আগে অশ্বিনের এই কথা নিশ্চয় উত্তাপ আরো বাড়িয়ে দেবে। যে উত্তাপের ঢেউ আছড়ে পড়বে ওয়াঘা সীমান্তের ওপারেও।
ভারত (সম্ভাব্য): শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, সুরেশ রায়না, যুবরাজ সিং, হাদ্রিক পান্ডে, মহেন্দ্র সিং ধোনি (অধিনায়ক), রবিন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্র অশ্বিন, আশিস নেহরা ও জসপ্রিত বুমরাহ।
পাকিস্তান (সম্ভাব্য): শারজিল খান, আহমেদ শেহজাদ, মোহাম্মদ হাফিজ, উমর আকমল, শোয়েব মালিক, শহীদ আফ্রিদি (অধিনায়ক), সরফরাজ আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ ইরফান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন