তিনি ছিলেন নারী ও শিশুকল্যানমন্ত্রী ! আগে থেকেই দুচারদফা নানা কেলেংকারির আভাস ছিলো মিডিয়ার কাছে । ঘটনাচক্রে তারই প্রেক্ষিতে নারীদের তিনি কতটা সম্মান করেন, সেটা বোঝাতে ১৯ মাস আগে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর সন্দীপ কুমার প্রকাশ্যে বলেন, আমি প্রতিদিন সকালে আমার স্ত্রীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করি।”

তবে শেষ রক্ষা হলোনা তার। আকাশে চাঁদ উঠলে দেখবে সবাই । তাই সত্যি হলো শেসমেস । যৌন কেলেংকারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ এবিপি নিউজের সংবাদ প্রকাশের পর নানা বিশ্লেষণ শেষে দিল্লির নারীকল্যাণমন্ত্রীকে সরিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

এর আগে বুধবার রাতে কেজরিওয়াল টুইটে জানিয়েছিলেন, তার কাছে একটি সিডি এসেছে, যেখানে নারীকল্যাণমন্ত্রী সন্দীপ কুমারকে ভিন্ন দুই নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা গেছে বলে তাকে জানানো হয়েছে।

দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন স্বাতী মালিওয়াল মন্ত্রীর যৌন কেলেংকারিতে জড়িত হওয়ার খবর পাওয়ার পর টুইটে মন্তব্য করেন, সন্দীপ কুমার যা করেছেন, তা দুর্ভাগ্যজনক।এ রকম লোকের মন্ত্রী তো হওয়ারই কথা নয়, নারীকল্যাণমন্ত্রী তো অনেক দূরের ব্যাপার।”

বিবিসি জানায়, ওই সিডি পাওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যেই সন্দীপ কুমারকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেয়ার কথা ঘোষণা করে আম আদমি পার্টির সরকার। সন্দীপ কুমার নারীকল্যাণের পাশাপাশি শিশুকল্যাণ দফতরের দায়িত্বেও ছিলেন।

এদিকে, মন্ত্রীকে সরিয়ে দিলেও কেজরিওয়ালের রাজনৈতিকবিরোধীরা এ ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি।

উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীষ সিসোদিয়া বলেন,”আম আদমি পার্টির মূল নীতিই হল দুর্নীতি, কোনো ধরনের অপরাধ বা নৈতিক চরিত্রে কালি লাগে, এরকম কোনো ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। এসব বিষয়ে আম আদমি পার্টি ‘জিরো টলারেন্ট’।

বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, যে আম আদমি পার্টি রাজনীতিতে শুচিতা নিয়ে দম্ভ করে, তারাই আজ দুর্নীতি, অন্তর্কলহ নিয়ে ব্যতিব্যস্ত। দিল্লির রাস্তা থেকে ভিখারিদের সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করে গত মাসে ব্যাপক সমালোচিত হন মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত এ সন্দীপ কুমার। তাকে নিয়ে তিন মন্ত্রীকে সরিয়ে দিল অরবিন্দ কেজরিওয়াল নেতৃত্বাধীন সরকার।

উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীষ সিসোদিয়া জানান, আম আদমি পার্টির মূল নীতিই হল দুর্নীতি, কোনো ধরণের অপরাধ বা নৈতিক চরিত্রে কালি লাগে, এরকম কোনও ঘটনা বরদাস্ত না করা। এর আগেও এক মন্ত্রী এবং পাঞ্জাবের এক নেতার ঘুষ নেওয়ার ঘটনা সামনে এসেছিল, দুজনকেই সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এইসব বিষয়ে আম আদমি পার্টি ‘জিরো টলারেন্ট’।

এদিকে, অভিযুক্ত সন্দীপ কুমারের দাবি, দলিত হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ তোলা হয়েছে।

অন্যদিকে কেজরিওয়াল বলেছেন, সে (সন্দীপ) আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আম আদমি পার্টির সমর্থকদের বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে।

যে ভিডিওগুলোতে তোলপাড় !