ইন্দোনেশিয়ার পর ভারতেও এবার শিশু ধর্ষকদের নপংশুক করার প্রস্তাব; বাংলাদেশে কবে ?
শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন বন্ধে এবার ব্যাতিক্রমি এক সরকারী সিদ্ধান্তে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনকারীকে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে এখন থেকে রাসায়নিক পদ্ধতিতে ইনজেকশান পুশ করে আজীবনের জন্য নপুংসক (পুরুষত্বহীন) করে দেওয়া হবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্দোনেশিয়া সরকার । সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে শুধু দেশটির নয় বরং বহির্বিশ্বেও এমন অভিনব সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে লাখো-কোটি মানুষ । এমন কঠোর সিদ্ধান্তের ফলে এইধরনের অপরাধের প্রবনতা অনেকটাই হ্রাস করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা ।
ইন্দোনেশিয়ায় শিশু নির্যাতনকারীকে রাসায়নিক পদ্ধতিতে নপুংসক করে দেয়ার এমন সিদ্ধান্তের পর ভারতেও শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন বন্ধের জন্য শিশু ধর্ষকদের ‘খোঁজা’ করতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারক এন. কিরুবাকরণ। তাঁর মতে, এমনটা করা হলে শিশু নির্যাতনের বন্ধের ক্ষেত্রে ‘জাদুকরী ফল’ পাওয়া যাবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের অনলাইন সংস্করণের খবরে জানানো হয়, সম্প্রতি শিশু ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্রিটিশ নাগরিকের বিরুদ্ধে দেওয়া এক আদেশের দেওয়ার সময় পর্যবেক্ষণের তিনি এ পরামর্শ দেন।
শিশু ধর্ষণের শাস্তি খোঁজা করার ব্যাপারে মাদ্রাজ হাইকোর্টের সুপারিশে বলা হয়েছে, বর্বর অপরাধের শাস্তি বর্বর ধরনেরই শাস্তি হওয়া উচিত। আইন যখন হুমকিকে প্রতিরোধ করতে অসামর্থ্য ও অকার্যকর হয়ে পড়ে, তখন আমরা হাত গুটিয়ে বসে থেকে নীরব দর্শক হতে পারি না। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় গণধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে।
বিচারক এন. কিরুবাকরণের অভিমত, এসব ক্ষেত্রে খোঁজা করা হলে এমন ধর্ষণের ঘটনার ক্ষেত্রে ‘জাদুকরী ফল’ অর্জন করা সম্ভব হবে।
এর আগে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য ইন্দোনেশিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ প্রাসেতিও বলেন, এ জাতীয় শাস্তি দেয়া হলে এমন অপরাধ করার আগে যে কেউ হাজারবার চিন্তা-ভাবনা করবে। প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এ শাস্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রেসিডেন্ট এ সংক্রান্ত ফরমান জারি করবে বলে উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এতে সংসদের ভোটাভুটি ছাড়াই এটি আইনে পরিণত হবে। এ আইনে শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে স্ত্রী হরমোন ঢুকিয়ে দিয়ে শিশুর ওপর যৌন নির্যাতনকারীকে নপুংসক করে দেয়া হবে।
পোল্যান্ড এবং আমেরিকার কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে যৌন নির্যাতনকারীদের এ জাতীয় শাস্তি দেয়ার প্রচলন রয়েছে। এশিয় দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া প্রথম এ শান্তির আইন প্রণয়ন করে। ২০১১ সালে দেশটি এই আইন প্রণয়ন করেছে।
পুনশ্চ: বাংলাদেশেও সাম্প্রতিককালে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের এমন বর্বর চিত্র বাড়ছে। তাই সময়ের প্রয়োজনে এসব অপরাধীদের উপরোক্ত শাস্তির আওতায় আনা গেলে এই ভয়াবহতা কমতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন