ইমরুল-মাহমুদউল্লাহর পর কে?
ক্রাইস্টচার্চে কেমন খেলবে বাংলাদেশ? ম্যাচের ফল যাই হোক, ভালো খেলা উপহার দিতে ব্ল্যাক-ক্যাপসদের বিপক্ষে ব্যাটসম্যানদের রান করার বিকল্প নেই। কন্ডিশন ভিন্ন ঠিক; কিন্তু সেটি কী খুব কঠিন কিছু?
ক্রিকেটের বড় শক্তিগুলোর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে জিতেছে বাংলাদেশ (২৫ ম্যাচে ৮টি)। তবে সবগুলোই ঘরের মাঠে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ৭ ম্যাচে হার সবকটিতেই।
সে যাই হোক, জয়ের চিন্তা ছাড়া অন্য কোনো ভাবনা বদলে যাওয়া টাইগারদের মনের ত্রি-সীমানায়ও থাকে না এখন। সোমবার নিশ্চই সেই লক্ষ্যেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তবে এ জন্য অবশ্যই ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে বড় ইনিংসের বিকল্প নেই।
এর আগে যে তিনবার দ্বি-পাক্ষিক সিরিজের জন্য নিউজিল্যান্ড সফর করেছে বাংলাদেশ, তার প্রথমটিতে ছিল কেবলই ২টি টেস্ট (২০০১ সালে)। ২০০৭-০৮ সালে এবং ২০১০ সালের দুই সফরে ৬টি ওয়ানডে খেলেছে টাইগাররা। ২০১৫ সালের বিশ্বকপে ১টি। এই সাত ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দু’জনের কাছ থেকে এসেছে সেঞ্চুরি ইনিংস- ইমরুল কায়েস এবং মাহমুদউল্লা রিয়াদ।
বিশ্বকাপে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ইনিংসটি কারও ভুলে যাওয়ার কথা নয়। সেঞ্চুরি ইনিংসে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করার পর হ্যামিল্টনেও ১২৮ রানের এক অপরাজিত ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার সেই ইনিংসের উপর ভর করে সেদিন ২৮৮ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে সেটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর। শেষ পর্যন্ত অবশ্য টাইগাররা সেই ম্যাচটি হারে ৩ উইকেটে।
তবে ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১০, ক্রাইস্টচার্চে ইমরুলের ১০১ রানের ইনিংসটি কিছুতেই ভুলে যাওয়ার নয়। ৬ বছর আগে খেলা ইমরুলের সেই ইনিংসটির দিকে একটু তাকানো যাক। ওই ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের হয়ে সেদিন ওপেন করেছিলেন তামিম এবং ইমরুল কায়েস।
অন্য ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে খুব বেশি সমর্থন পাননি ইমরুল। ইনিংসে ইমরুলের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান এসেছিল অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে। সিরিজের শেষ ওয়ানডেটি বাংলাদেশ হারে ৩ উইকেটে। তবে সেবারের সেই নিউজিল্যান্ড সফর থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ছিল ইমরুলের ওই একমাত্র সেঞ্চুরিটিই। এরপর ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের প্রশ্ন, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ইমরুল-মাহমুদউল্লাহর পর কিউইদের বিপক্ষে তাসমান সমুদ্রের পাড়ে তৃতীয় সেঞ্চুরিয়ান হচ্ছেন কে?
মাহমুদউল্লাহ নিজেও রয়েছেন দারুণ ফর্মে। সাম্প্রতিক ফর্মের কারণে তার কাছ থেকে সমর্থকরা হ্যামিল্টনের মত ইনিংস আশা করতেই পারে। যদিও বিশ্বকাপের ম্যাচ বাদে ২০১০ সালের ৩ ম্যাচের সিরিজে তার ইনিংস গুলো ছিল যথাক্রমে- ২৩, ৮ এবং ৬। অন্যদিকে ইমরুল কায়েসের সেবারের তিনটি ইনিংস ছিল- ৩৩, ৯, ১০১। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত বছর বিশ্বকাপের সেই ম্যাচের একাদশেও ছিলেন ইমরুল। তখন তার ব্যাট থেকে এসেছিল ২ রান।
ইমরুল-মাহমুদউদল্লাহ তাদের সামর্থ্যরে প্রমাণ দিয়েছেন আগেই। এবার কী তাহলে তামিম ইকবালের পালা? তার ব্যাট থেকেই কী তবে এবার আসবে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের তৃতীয় সেঞ্চুরিটি?
বাংলাদেশের ড্যাশিং এই ওপেনারের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। ২০০৭ ও ২০১০ সালের দুটি সিরিজে দুটি ফিফটি ইনিংস এসেছিল তার ব্যাট থেকে। ওয়ানডে, টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সব ফরমেটের বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরারের শেষ দশ ইনিংস সবাইকে আশাবাদি করতেই পারে- ৪৫, ১৪, ১৭, ১১৮, ২০, ৮০, ৭৩, ১৯, ৪০, ৬১।
তার সর্বশেষ সেঞ্চুরিটি এসেছিল ক’দিন আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। প্রস্তুতি ম্যাচে তামিম যাই করুন, ক্রাইস্টচার্চে তাই তার ব্যাটের দিকে তাকিয়ে পুরো বাংলাদেশ। সঙ্গে নিশ্চই সাকিব, মুশফিক কিংবা নতুন কারও ব্যাটের দিকেও একই প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে থাকবে ভক্ত-সমর্থকরা!
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন