ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতে সন্দেহ মোসাদের ওপর
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর এই দুর্ঘটনার পেছনে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ রয়েছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
লোকেরা এটিকে অন্যান্য দেশের উচ্চ প্রোফাইল ইরানি নেতা এবং কর্মকর্তাদের মৃত্যুর সাথে যুক্ত করছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইসরাইল এটা করতে পারবে না।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যান, রাইসি ছাড়াও এই হেলিকপ্টারে আরও আটজন ছিলেন, রাইসি 2021 সালের জুনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাইসির মৃত্যুর পর ইরানে এই দুর্ঘটনার পেছনে ইসরায়েলের হাত রয়েছে বলে নানা জল্পনা চলছে।
এদিকে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং তথ্য সংগ্রহ করেছেন।দুর্ঘটনার পর একটি ছবি ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ছবিটি লক্ষ লক্ষ বার দেখা হয়েছে।
এই ছবির মাধ্যমে মানুষ এই দুর্ঘটনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে যুক্ত করছে। মোসাদ (#Mossad) সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট X-এর শীর্ষ প্রবণতার অন্তর্ভুক্ত। এই হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে মানুষ দুর্ঘটনা সম্পর্কে তাদের মতামত প্রকাশ করছে।খারাপ আবহাওয়াই এই দুর্ঘটনার কারণ বলা হচ্ছে। খবরে বলা হয়েছে, বৃষ্টি ও কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কমে গেছে। এর পরেও দুর্ঘটনা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার বাজার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
রাইসির বিতর্কিত মেয়াদ এবং দেশের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক চ্যালেঞ্জের পরিপ্রেক্ষিতে সন্দেহ করা হচ্ছে, এই দুর্ঘটনার পেছনে দেশীয় লোকজন বা ইসরায়েলের মতো বহিরাগত শত্রু শক্তি থাকতে পারে।ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে কয়েক দশকের শত্রুতার পরিপ্রেক্ষিতে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইসরায়েলের হাতে এক ইরানি জেনারেলকে হত্যার পেছনে ইসরায়েলের হাত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইসরায়েলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এমনটা করেছে সন্দেহ অনেকের।
ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ইরানের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানোর জন্য বিখ্যাত কিন্তু একটি তথ্য হলো, মোসাদ কখনো কোনো দেশের প্রধানকে টার্গেট করেনি।তবে বিশেষজ্ঞরা হামলায় ইসরায়েলের জড়িত থাকার তত্ত্বকে অসম্ভব বলে মনে করছেন।
ইরানের বর্তমান প্রেসিডেন্টের হত্যাকাণ্ডকে সরাসরি যুদ্ধ বলে গণ্য করা হবে। ইরান এর বিরুদ্ধে গুরুতর প্রতিক্রিয়া দিতে পারে সাধারণত উচ্চ-প্রোফাইল রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের পরিবর্তে ইসরাইল সামরিক ও পারমাণবিক সক্ষমতাকে লক্ষ্য করে।
রাইসির হেলিকপ্টারের হার্ড ল্যান্ডিং এর পরও এই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়াবে। ইরানের লেবানন, সিরিয়া, ইরাক ও ইয়েমেনে প্রক্সি নেটওয়ার্ক রয়েছে। এতে সংঘর্ষের পরিধি বাড়তে পারে।
দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি জরুরী পরিস্থিতিতে একটি কঠিন অবতরণ করেছিল। অন্যান্য আইআরজিসি কমান্ডাররাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন
বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নতবিস্তারিত পড়ুন