ইসির জন্য আইন করা সম্ভব নয় : শেখ হাসিনা
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে প্রায় সব রাজনৈতিক দলের ভেতর থেকে আইন প্রণয়নের দাবি উঠলেও এই সময়ের মধ্যে আইন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আইন সহজ বিষয় নয়। আইন করতে গেলে সবার সঙ্গে আলোচনা করতে হবে, বসতে হবে। চাইলেই আইন করা সম্ভব নয়।’
আজ শনিবার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতাদের এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী ধানমণ্ডি যান আওয়ামী লীগের নতুন কার্যালয় ঘুরে দেখার জন্য। কার্যালয় ঘুরে দেখে তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বৈঠকে উপস্থিত সভাপতিমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলী পদমর্যাদার একাধিক নেতা আরো জানান, বৈঠকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সংলাপে বসতে বুদ্ধিজীবী ও সুশীলসমাজের প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে যে দাবি উঠেছে সে বিষয়টি উঠে আসে। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে আমি আলোচনা করতে যাব না।’
‘বিএনপিকে বাঁচানোর দায়িত্ব আমার না’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসব না। যে মানুষ হত্যা করেছে, মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে, যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আমাকে ও আমার দলের নেতাদের নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ওই সময়ে এসব বুদ্ধিজীবী, সুশীলসমাজের প্রতিনিধিরা কোথায় ছিলেন, যাঁরা আজকে বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমাকে বসার দাবি তুলছেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই সময়ে তারা তো কোনো কথা বলে নাই।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তা ছাড়া বিএনপিকে বাঁচানোর দায়িত্ব তো আমার না। তারা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, নির্বাচনে আস্থা রাখে, তাহলে তারা নির্বাচন করবে। আমি তাদের সঙ্গে সংলাপ করে নির্বাচনে আনতে পারব না।’
‘আমি আর পারব না’
শেখ হাসিনা তাঁর দলের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের পর আমার দায়িত্ব শেষ। আমি তো অনেক দূর নিয়ে গিয়েছি। আমি আর পারব না। আমার বয়স হয়েছে। আমি তো ডিজিটাল লিডারশিপ তৈরি করলাম। আমি এনালগ চালাইলাম। তোমরা ডিজিটাল চালিয়ে নাও।’
এ সময় সেখানে উপস্থিত সব কেন্দ্রীয় নেতা ‘না’ ‘না’ বলে প্রতিবাদ জানান। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, ‘আপনি হলেন এ দলের ইঞ্জিন। ইঞ্জিন ছাড়া বগি যতই লাগান, বগি চলবে না।’ অপর সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেন, ‘এ দলের জন্য আপনি অপরিহার্য।’
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল রোববার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সুইজারল্যন্ড যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘এর আগে এই ফোরামে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হতো না। এবারই প্রথম আমন্ত্রিত বাংলাদেশ। এটা সরকারের সফলতার প্রমাণ করে।’
শেখ হাসিনা ঘণ্টাখানেক ধানমণ্ডির কার্যালয়ে অবস্থান করেন। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতা ছাড়াও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এই সময় সেখানে সবার সঙ্গে একত্রিত হয়ে বিকেলের নাশতা সন্দেশ, নিমকি, মুড়ি মাখানো ও চা পান করেন প্রধানমন্ত্রী। নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মজাও করেন শেখ হাসিনা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন