ঈদের আগেই ৫০ লাখ স্মার্টকার্ড বিতরণ
ঈদুল আজহার আগেই প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্বোধন করিয়ে কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। প্রধানমন্ত্রীর সময় চেয়ে গত ১৮ আগস্ট তার কার্যালয়ে স্মার্টকার্ড প্রকল্পের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
শুরুতে রাজধানীর ৫০ লাখ ভোটারের মধ্যে এই কার্ড বিতরণ করা হবে। ইসিতে প্রায় ১০ কোটি ভোটারের তথ্য সংরক্ষিত থাকলেও প্রাথমিক পর্যায়ে মাত্র ৫০ লাখ ভোটারের পরিচয়পত্র স্মার্টকার্ডে রূপ দেওয়া হয়েছে। কমিশন থেকে এ কর্মসূচির ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ, ডিজিটাল স্মার্টকার্ড’ এই স্লোগানও চূড়ান্ত করা হয়েছে।
কমিশন সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় বিতরণের পাশাপাশি দেশের অন্য সিটি, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্মার্টকার্ড বিতরণের প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। রাজধানীর বিতরণ শেষ হলেই পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য স্থানেও বিতরণ করা হবে। এ কার্ডটির মেয়াদ থাকবে ১০ বছর। একটি স্মার্টকার্ড তৈরিতে কমিশনের ব্যয় হয়েছে প্রায় দুই ডলার।
রাজধানীর ১০টি থানা নির্বাচন অফিসে ইতিমধ্যে স্মার্টকার্ড পৌঁছে গেছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির ৯৩টি ওয়ার্ডে ভোটার রয়েছেন প্রায় ৫০ লাখ। তারাই প্রথম উন্নতমানের এ কার্ড পাচ্ছেন। জাতীয় পরিচয়পত্রধারী ভোটারদের স্মার্টকার্ড নেওয়ার সময় দুই হাতের ১০ আঙুলের ছাপ দিতে হবে। এ ছাড়া আইরিশ বা চক্ষুর কনিকার ছবিও দিতে হবে। একই সঙ্গে বর্তমান এনআইডি কার্ডটি ফেরত দিতে হবে।
এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ জানিয়েছেন, বিতরণ কার্যক্রম শুরুর সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলে এনআইডি উইংয়ের পক্ষ থেকে কমিশনকে জানানো হয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময় দিলেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
ইসির এনআইডি উইংয়ের (জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহউদ্দিন জানিয়েছেন, স্মার্টকার্ড বিতরণের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ। সেপ্টেম্বরের শুরুতেই এগুলো বিতরণের সিদ্ধান্ত রয়েছে। স্মার্টকার্ড বিতরণের সময় প্রত্যেক নাগরিকের কাছ থেকে দশ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি সংরক্ষণ করা হবে বলেও জানান তিনি। এর আগে ছবিসহ এনআইডি কার্ড দেওয়ার সময় শুধু বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনীর ছাপ সংরক্ষণ করা হতো।
ইসির সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত বছরের অক্টোবর থেকে এনআইডির স্মার্টকার্ড ছাপানো শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা ১০টি মেশিনে কার্ড ছাপানোর কার্যক্রম চলছে। প্রতি ঘণ্টায় একটি মেশিনে ৯৫০টি কার্ড হিসেবে মাসে ৫০ লাখ কার্ড ছাপার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথমবারে বিনামূল্যে এই কার্ড পাবেন নাগরিকরা। কার্ড হারিয়ে গেলে বা সংশোধনের প্রয়োজন হলে ফি দিতে হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই স্মার্টকার্ড ব্যবহারে চাকরির জন্য আবেদন, ভোটার শনাক্তকরণ, ব্যাংক হিসাব খোলা, পাসপোর্ট তৈরি, ই-গভর্ন্যান্স, ই-পাসপোর্ট সেবাসহ ২৫ ধরনের সেবা গ্রহণ করা যাবে। এর বিশেষত্ব হলো, স্মার্টকার্ডটি অনলাইন ও অফলাইন দু’ভাবেই ভেরিফিকেশন করা যাবে। এতে নাগরিকের সব তথ্য সংবলিত মাইক্রোচিপস থাকবে।
ইসি কর্মকর্তারা দাবি করছেন, এই স্মার্টকার্ড পৃথিবীর সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তিগত সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন। এই কার্ডে ২৫ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে, যা কেউ কখনও নকল করতে পারবে না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন