ঈদে কসাই মিলবে অনলাইনে, যে ভাবে যোগাযোগ করবেন..
বাংলাদেশে ঈদের সময় অনলাইনে পশু কেনা-বেচা শুরু হয়েছে কয়েকবছর আগেই। তবে এবার কসাইও মিলবে ইন্টারনেটে। ‘www.sheba.xyz’ নামের একটি অনলাইন শপের মাধ্যমে সেবাটি দিচ্ছে একটি অনলাইন হাউজ হোল্ড সার্ভিস। এই সেবাটির ফলে ঘরে বসেই কসাই নির্বাচন এবং বুকিং করা যাবে। খবর বিবিসির।
কিন্তু কীভাবে সেবাটি দেওয়া হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী আদনান ইমতিয়াজ হালিম বলেন, ”গত একমাস যাবৎ ঢাকার সবগুলো বাজার থেকে কসাইদের সংগ্রহ করে তাদের তথ্য যাচাইয়ের পর সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করেছি। যারা কোরবানীতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় কাজ করবে। কসাইদের টিম তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সকাল ৯টা, দুপুর ২টা, বিকাল ৪টায়। আলাদা আলাদা সময়ে টিমগুলোকে এলাকাভিত্তিক বুকিং দেওয়া হচ্ছে। পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে এই কার্যক্রম শুরু করেছি। সময় এবং এলাকা অনুযায়ী কসাইগুলোকে গ্রাহকদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আমাদের বেশ কিছু সুপারভাইজার থাকবে যারা ঈদের দিন এসব কার্যক্রম পরিচালনা করবে।”
দিনের প্রত্যেকটি ভাগে একসঙ্গে কতজনকে সেবা দিতে পারবেন এবং কসাইদের পারিশ্রমিক নির্ধারণ কীভাবে হচ্ছে?
জবাবে তিনি বলেন, ”আমরা প্রথমত ১০০ জনের প্রস্তুতি নিয়ে নেমেছি। তবে আশা করছি সবমিলে ১৪০ জন কসাই দিতে পারবো। তাদের পারিশ্রমিক নির্ধারণ করেছি বাজার যাচাইয়ের ওপর ভিত্তি করে। যেমন যে দলে প্রায় সবাই পেশাগত কসাই থাকবে সেটাকে বলছি এক্সপার্ট টিম। যে টিমে নূন্যতম একজন পেশাগত কসাই থাকবে সেই দলকে বলা হচ্ছে সেমি প্রফেশনাল টিম। যারা শুধুমাত্র ঈদের সময় কোরবানীর কাজ করে তাদেরকে বলা হচ্ছে সিজনাল টিম। তাদের পেশাগত দক্ষতার ওপরে পারিশ্রমিক ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা মূল্যে ভাগ করেছি।”
যে কসাইরা কাজ করবে তারা কতটা দক্ষ সেটি আপনারা কীভাবে নিশ্চিত করছেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সাধারণত ঈদ শুরু হওয়ার একমাস আগে থেকেই বাজার ঘুরে ঘুরে যারা পেশাগত কসাই তাদের বাছাই করেছি। প্রত্যেকটি টিমে ৬ থেকে ৭ জন থাকবে। ঈদের সময় তারা নিজেরাই কাজ করবে অথবা তারা আলাদা ভাগে বিভক্ত হয়ে একেকজন আরও কিছু অপেশাদার অথবা পেশাদার লোক নিয়ে দল গঠন করে কাজ করবেন।
বাংলাদেশ সরকার এ বছর অনুরোধ করেছে যেন আঠারো বছরের নিচে কাউকে কোরবানীর কাজে লাগানো না হয়। সে বিষয়টি কতখানি গুরুত্ব পাচ্ছে?
তবে কসাই সেবা দিতে অনলাইন পোর্টালটিতে আলাদা কোন সেগমেন্ট রাখা হয়নি। এজন্য পোর্টালে দেওয়া ০৯৬৩৯৪৪৪০০০ নম্বরে ফোন দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। সেবাদান প্রতিষ্ঠানটির কাস্টমার কেয়ার ম্যানেজার জাহিদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, বিষয়টি যেহেতু নতুন ও সিজনাল, তাই আমাদের অনলাইন পেজে আলাদা কোন সেগমেন্ট যোগ করা হয়নি। ভবিষ্যতে করার ইচ্ছা আছে। এখন ফোনে বুকিং দিতে হবে। আমরা ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কসাইয়ের জন্য বুকিং নিচ্ছি। প্রচুর ফোন আসছে। কাদেরকে কসাই সরবরাহ করতে পারব তা আগামী ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর জানিয়ে দেব।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আজকের যত আয়োজন ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছেবিস্তারিত পড়ুন
মোবাইল নম্বর ঠিক রেখেই অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে: প্রক্রিয়া শুরু
মোবাইল ফোনের নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তন (মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি-এমএনপি)বিস্তারিত পড়ুন
স্মার্টফোন কিনে লাখপতি হলেন পারভেজ
নির্দিষ্ট মডেলের ওয়ালটন স্মার্টফোন কিনে পণ্য নিবন্ধন করলেই মিলছে সর্বোচ্চবিস্তারিত পড়ুন