ঈদে ঘুরে আসতে পারেন ‘চায়ের রাজধানী’ শ্রীমঙ্গল থেকে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা দেশের সবচেয়ে সৌন্দর্যমন্ডিত পর্যটন এলাকা বলে অবিহিত। দেশী-বিদেশীদের কাছে রয়েছে এখনকার আলাদা কদর। প্রকৃতি যেন এই শ্রীমঙ্গল কে সাজিয়েছেন নিজ হাতে প্রকৃতির কারুকার্যে। তাই এই ঈদের ছুটি স্মরণীয় করে রাখতে ঘুরে আসুন পর্যটন নগরী এবং চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল থেকে।
শ্রীমঙ্গলের আকর্ষণীয় স্থানগুলো
চা বাগান
চা বাগান মানেই সবুজের অবারিত সৌন্দর্য। পূরো শ্রীমঙ্গল শহরটা ঘিরে রয়েছে শুধু চায়ের বাগান। শ্রীমঙ্গল নাম শুনলেই প্রথমেই স্বরন হবে চা বাগানের কথা। এ দেশে চায়ের রাজধানী’র কথা বললেই প্রথমে মনে পড়বে শ্রীমঙ্গলের নাম। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে যে কোন সড়ক ধরে হাটাপথ দুরত্বে পৌঁছা মাত্র চোখে পড়বে মাইলের পর মাইল পাহাড় ঘেরা চা বাগান। সবুজের মেলা চা বাগানের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে হলে আপনাকে অতি অবশ্যই বাগান কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। ইচ্ছে করলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে এসব চা বাগানের চা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় প্রবেশ করে কাচাঁ চা পাতা থেকে চা তৈরীর প্রক্রিয়াও দেখা যেতে পারেন।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
ছোট্ট শহর শ্রীমঙ্গল। দৃষ্টিজুড়ে সবুজ, উটের পিঠের মতোন টিলা আর মনোরম চা বাগান- কোন স্থান ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে মেলে ধরবার জন্য যথেষ্ট। আরও যা রয়েছে তা হচ্ছে লাউয়াছড়া বন যা এক কথায় অনবদ্য। রেইন ফরেষ্ট হিসেবে খ্যাত এই বনে রয়েছে হরেক প্রজাতির বন্যপ্রাণী আর বৃক্ষাদি। রয়েছে ১৬৭ প্রজাতির বৃক্ষরাজি। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান।
শ্রীমঙ্গল হতে মাত্র ১০ কি.মি. আর ঢাকা থেকে ১৯৬ কি.মি.। এর আয়তন ১২৫০ হেক্টর। মোট ১৬টি উল্লুক পরিবার হাজারো পর্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ভারত, চায়না, মায়ানমার এবং বাংলাদেশসহ ৪টি দেশে ওদের প্রজাতি সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করছে। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের গা ঘেষা রয়েছে ৩টি আদিবাসী পল্লী। (মাগুরছড়াও লাউয়াছড়া) ও ১টি ত্রিপুরাদের পাড়া। আদিবাসীদের জীবনযাত্রা সাধারণত পাহাড়ী কৃষ্টি কালচারের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠে যা সাধারনের থেকে অনেক আলাদা। আদিবাসিদের জীবনযাত্রা, কৃষ্টি, ঐতিহ্য ইত্যাদি দেখাও পর্যটকদের জন্য বাড়তি পাওনা।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা/সিলেট থেকে বাস কিংবা ট্রেন এ করে আপনাকে প্রথমেই আসতে হবে শ্রীমঙ্গল শহরে। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে সিএন জি চালিত অটো রিকসা অন্যান্য যানবাহন নিয়ে অতি সহজেই ৮/১২ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যেতে পারবেন লাউয়াছড়ায়। ভাড়া- ২০-৩০ টাকা।
বিটিআরআই
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনষ্টিটিউট (বিটিআরআই) পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান। দেশের চা শিল্পের উন্নয়নে কাজ করছে এ প্রতিষ্ঠানটি। বিটিআরআই কমপ্লেক্স-এর সামনে অপরূপ ফুলকুঞ্জ, শত বছরের চা গাছ, চা পরীক্ষাগার, চারদিকে চা বাগান, চা নার্সারী, চা ফ্যাক্টরী, অফিসার্স ক্লাব ভবনের পেছনে অবস্থিত চোখ ধাঁধানো লেক, রোবাস্টা কফি গাছ, নানা জাতের অর্কিডসহ ভেষজ বাগান আপনার মনকে চাঙ্গা করবেই। কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে আপনি ঘুরে দেখতে পারেন বিটিআরআই’র পুরো ক্যাম্পাস। প্রতিদিন বিকেলে ও সরকারি ছুটির দিনে পর্যটকদের ঢল নামে বিটিআরআই-তে।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা / সিলেট থেকে বাস কিংবা ট্রেন এ করে আপনাকে প্রথমেই আসতে হবে শ্রীমঙ্গল শহরে। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে রিকসা যোগে আপনাকে যেতে হবে বিটিআরআই তে। ভাড়া-২০-৩০ টাকা ।
বধ্যভূমি ৭১
শ্রীমঙ্গলের ‘বধ্যভূমি ৭১’ আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত বধ্যভূমিতে ২০১০ সালে স্মৃতিস্তম্ব নির্মাণের পর দর্শনার্থীরা এখানে উপচে পড়ে। এছাড়াও প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা আসেন বধ্যভূমি দেখতে। শ্রীমঙ্গলে শহরের ভানুগাছ সড়কে বিজিবি’র সেক্টর হেড কোয়াটার সংলগ্ন বটকুঞ্জের নিচ দিয়ে প্রবাহিত ভুরভুরিয়া ছড়ার পাশে এর অবস্থান। সম্প্রতি এখানে পর্যটকদের সুবিধার্থে নির্মিত হয়েছে ‘সীমান্ত ৭১ ফ্রেশ কর্নার’সহ মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’। ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধনের পর দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিস্তম্ব ও একাত্তরের স্মৃতি বিজরিত বধ্যভূমিটি দেখতে মানুষ আসতে থাকেন এখানে। বর্তমানে এ স্থানটি এখন আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
কিভাবে যাবেন
শ্রীমঙ্গল থেকে ৫-৭ মিনিটের পথ। ইচ্ছে করলে প্রকৃতির হাওয়ার সাথে হেটে হেটে যেতে পারেন। এছাড়াও অটোরিক্সা বা প্রাইভেট গাড়িতে যেতে পাড়েন।
ডিনস্টন সিমেট্রি
শ্রীমঙ্গলে আকর্ষণীয় একটি স্থান হচ্ছে শতবছর পুরানো ডিনস্টন সিমেট্রি। এ সিমেট্রি দেখতে প্রচুর পর্যটক আসে এখানে। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ১৫ কিঃ মিঃ দূরে রাজঘাট ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত খেজুরীছড়ায় ফিনলে টি কোম্পানির চা বাগানে এটি অবস্তিত। ১৮৮০ সালে ব্রিটিশরা শ্রীমঙ্গলে এসে বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ আরম্ভ করে। এখানে কাজ করতে এসে বিভিন্ন সময় যেসব ব্রিটিশ নাগরিক মৃত্যুবরণ করেন তাদের সমাহিত করা হয় খেজুরীছড়ার এই ডিনস্টন সিমেট্রিতে। চা বাগানের মাঝে গড়ে তোলা অসাধারণ সাজানো-গোছানো এই সিমেট্রিতে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন ৪৬ জন বিদেশী নাগরিক। যাদের ৪১জনের নাম ও পদবী এখানে খোদাই করা আছে।
মনিপুরী পল্লি
শ্রীমঙ্গলের রামনগর মনিপুরী পাড়ায় এখনো ঐতিহ্য ধরে রাখার প্রয়াসে বেশ কটি তাঁতে তৈরী হচ্ছে শাড়ি, থ্রি-পিস, ওড়না, ব্যাগসহ নানা ধরনের পণ্য। তাঁত শিল্প সম্পর্কে জানতে এবং তাঁতে কাপড় বুনার প্রক্রিয়া দেখতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন শ্রীমঙ্গলের রামনগর মনিপুরী পাড়ায়। মনিপুরীদের আতিথেয়তা গ্রহন করতে শ্রীমঙ্গল শহর থেকে রিক্সাযোগে সহজেই যেতে পারেন মনিপুরী পাড়াতে। তবে বাংলা সনের কার্তিক মাসের শেষ পূর্ণিমা তিথিতে মনিপুরীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব রাসোৎসব দেখতে চাইলে যেতে পারেন কমলগঞ্জের মাধবপুরস্থ জোড়ামন্ডপ অথবা আদমপুরস্থ মনিপুরী শিক্ষা ও সংস্কৃতি কেন্দ্রে।
যেভাবে যাবেন
-ঢাকা / সিলেট থেকে বাস কিংবা ট্রেন এ করে আপনাকে প্রথমেই আসতে হবে শ্রীমঙ্গল শহরে । সেখান থেকে সিএনজি কিংবা রিক্শা যোগে আপনাকে যেতে রামনগর মনিপুরি পাড়ায় । শহর থেকে মনিপুরি পল্লিতে যেতে ভাড়া লাগবে ২০-৩০ টাকা
হাম হাম জলপ্রপাত
মৌলভীবাজারের মাধবকুন্ড জলপ্রপাতের চেয়ে তিনগুণ বড় হামহাম জলপ্রপাতটি। কমলগঞ্জ উপজেলার কুরমা বনাঞ্চলের ভারতীয় সীমান্তে গহিন অরণ্যের হামহাম জলপ্রপাতটির সংবাদ সম্প্রতি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার হলে পর্যটকদের আগমন শুরু হয়। পর্যটকদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে ১৬০ ফুট উচ্চতা থেকে প্রবাহিত হামহাম জলপ্রপাত।
যেভাবে যাবেন
শ্রীমঙ্গল থেকে সারাদিনের জন্য অর্থাৎ যাওয়া-আসার জন্য রিজার্ভ গাড়ী/জিপ ভাড়া করে যেতে হবে। এরপর হাটা জঙ্গল, ছোট-খাট টিলা, ঝিরিপথ, পাথর পূর্ণ পিচ্ছিল রাস্তা পার হয়ে প্রায় ৩ ঘন্টা পর হাম হাম জলপ্রপাত। সকাল সকাল বের হয়ে গেলে বিকাল ৫ টার মধ্যে খুব সহজেই ফেরা যায়।
নীলকন্ঠ চা কেবিন
একই গ্লাসে সাত স্তরে সাত রঙের চায়ের কথা অনেকেরেই জানা। এ চা জিভে জলের বদলে বিস্ময় জাগায় বেশি। শৈল্পিক ও আকর্ষণীয় এ চায়ের নামডাক অনেক আগেই বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে গেছে। শ্রীমঙ্গলে যারা বেড়াতে আসেন তারা সাত রঙা চায়ের স্বাদ নিতে ভুলেন না। রমেশ রাম গৌড় (৪২) প্রায় ১২ বছর ধরে সপ্তবর্ণের এ চা বানিয়ে যাচ্ছেন। তার দুইটি দোকান রয়েছে- শ্রীমঙ্গলের মণিপুরী অধ্যুষিত রামনগর ও কালিঘাট রোডের ১৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নের ক্যান্টিনে। তার দোকান দুটির নাম নীলকন্ঠ কেবিন। তিনি ক্লোন টি ও বিভিন্ন ধরনের মসলার সংমিশ্রণে এ চা তৈরি করেন নীলকণ্ঠ কেবিনে।
যেভাবে যাবেন
শ্রীমঙ্গল শহর থেকে রিকশা নিয়ে কালিঘাট রোডের কিছুদুর গেলেই দেখতে পাবেন বড় সাইনবোর্ডে লেখা ‘নীলকণ্ঠ’। ভাড়া নেবে ১০ টাকা। কেবিনটি ১৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নের ক্যান্টিনে থাকায় সব ধরনের নিরাপত্তা পাবেন। নিরিবিলি ও খোলামেলা জায়গায় ভেতরে বা বাইরে বসে চা পান করতে পারবেন। দ্বিতীয়টি একই সড়ক ধরে গেলে রামনগরে অবস্থিত। ২০-২৫ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে যেতে পারেন। এখানে চা বাগানের চমৎকার পরিবেশে বসে চা পান করতে পারবেন।
বাইক্কা বিল
হাইল হাওরে অবস্থিত সংরতি মৎস্য অভয়াশ্রম ‘বাইক্কা বিল’। ইউএস আইডি’র র অর্থায়নে মাচ প্রকল্পের মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়েছে মৎস্য ও পাখির অভয়াশ্রম। অপরূপ সৌন্দর্য্যমন্ডিত এ বিল এখন আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটে পরিণত হয়েছে। নয়নাভিরাম জলাভূমিতে হাজারও শাপলা আর পদ্মফুল ফুঁটে। বিলের পানির উপর ঘুরে বেড়ায় ফড়িং। সকাল বিকাল চলে রঙিন ফড়িংয়ের বিরতিহীন শোভাযাত্রা। বৃষ্টিহীন উষ্ণ দিনে বিলে ফুলের পাশে আসে রঙিন প্রজাপতির দল। জীববৈচিত্র ও মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিকসৌন্দর্য্যে ভরপুর বাইক্কা বিল জলজ সম্পদের অমূল্য ভান্ডার। শি-গবেষণা ও চিও-বিনোদনের জন্য এইবিল এখন অনন্য বিল একটি স্থান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিলের পানিতে ফোটা হাজারো পানা, শাপলা, পদ্মআর নীলপদ্ম শোভিত মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক শোভা দেখে পর্যটক ও প্রকৃতি পিপাসুরা বিমোহিত হন। ২০০৩ সালের ১লা জুলাই ভূমি মন্ত্রণালয় বাইক্কা বিলকে স্থায়ী মৎস্য অভয়াশ্রম হিসেবে সংরণের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর এই বিল শুধু মাছের জন্যই নয়, পাখি এবং অন্যান্য প্রাণীর জন্য একটি চমৎকার নিরাপদ আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া বাইক্কা বিলে দেখ মেলে পদ্ম, শাপলা, মাখনা স্বাদের জলজ ফুল ও ফল। সুস্বাদু সংরতি মৎস্য অভয়াশ্রমে গত কয়েক বছর ধরে সাইবেরিয়ার সাত সমুদ্র তেরো নদী পার হয়ে অতিথি পাখিরা বাইক্কা বিলে আসছে। এ বিলে এখন মৎস্য সম্পদ যেমন বাড়ছে, তেমনি হাজার হাজার অতিথি পাখির আগমনে এলাকাটি মুখর হয়ে উঠেছে।
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানকে বাংলাদেশ সরকার ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করেছে। হামিদুর রহমানের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে তৎকালীন শ্রীমঙ্গলের ১৭ রাইফেল ব্যাটালিয়ন ধলই সীমান্ত ফাঁড়ি সংলগ্নস্থানে শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমান ‘বীরশ্রেষ্ঠ স্মরণী’ নির্মাণ করে। এখানে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটক, দর্শনার্থী ও শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন এ স্মৃতিসৌধ দেখতে আসছেন। সকালে বের হলে লাউয়াছড়া ভ্রমণ শেষে মাধবপুর লেক ও বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ ঘুরে আসা যাবে।
যেভাবে যাবেন
মাধবপুর লেক হতে ৯ কিঃমিঃ দূরে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ এর অবস্থান। সিএনজি বা প্রাইভেট গাড়ি দিয়ে যেতে পারেন। রিজার্ভ ভাড়া-৩০০-৫০০ ।
খাসিয়া পানপুঞ্জি
আদিবাসী খাসিয়া সম্প্রদায় দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় উঁচু পাহাড়ি টিলা পরিস্কার করে পান চাষ করে থাকে আর এসব পান চাষ এলাকাই পুঞ্জি নামে পরিচিত। প্রতিটি পানপুঞ্জিতে ২৫/৩০টি পরিবার গোষ্ঠীবদ্ধভাবে বসবাস করে।
যেভাবে যাবেন- শ্রীমঙ্গল শহর থেকে লাউয়াছড়ার ভিতর গেলেই পাবেন খাশিয়া পান পুঞ্জি । ভাড়া ২০-২৫ টাকা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন