ঈদে যাত্রাপথে সুস্থ থাকতে হলে

প্রশ্ন : যাত্রাপথে সতর্ক থাকার বিষয়টি খেয়াল রাখা জরুরি। অনেকের মধ্যে বমির প্রবণতা থাকে। যাত্রাপথে কোনো সুখকর বিষয় এলে তাদের মধ্যে থাকে না। তাহলে কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে?
উত্তর : এই বিষয়ে আমার যে পরামর্শ, আমরা অনেক সময় বাবা-মা বাচ্চাদেরকে অনেক পেট ভরে বেশি বেশি করে খাওয়ানোর চেষ্টা করি বা নিজেরাও ভরা পেটে থাকি। অনেকে অনেক ভারী খাবারও খান। এইগুলোর বিষয়ে একটু সচেতন থাকতে হবে। পোলাও-বিরিয়ানি এই ধরনের কোনো গুরুপাক খাবারগুলো খাওয়া যাবে না। যাওয়ার বেলায় আগে থেকে যাদের জানা আছে বমির আশঙ্কা থাকে, তাদের ওষুধটা সঙ্গে করে নিতে হবে। লম্বা ভ্রমণে কখনোই এ রকম তেলযুক্ত খাবার বা চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। যাদের সমস্যা আছে, তারা আগে থেকে ওষুধটা নেবে। যেমন শ্বাসকষ্টের রোগী, একটা ইনহেলার। টেনে নিল। ওষুধটা খেয়ে নিলেন। আর যাত্রাপথে যেখানে সেখানে অনেক লোভনীয় অনেক খাবার দেখা যায়, সেগুলোর লোভটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় যে অনেক রঙিন জিনিস থাকে। চিপস থাকে বাচ্চাদের, আমরা জানি যে চিপসের মধ্যে একধরনের ডাই থাকে, সেটি কিন্তু বাচ্চাদের অ্যালার্জি তৈরি করতে পারে। তাই এগুলো পরিহার করতে হবে। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। প্রয়োজন হলে যাওয়ার সময় কিছু বিস্কুট বা শুকনো খাবার সঙ্গে করে নিয়ে যেতে হবে।
প্রশ্ন : আর পানির বিষয়ে কী বলবেন? অনেকে মনে করেন বাইরে থেকে পাব কিনতে।
উত্তর : এই বিষয়ে আমি বলব যে আর কিছু নেই আর না নেই পানিটা অবশ্যই সঙ্গে করে নিতে হবে। বিশেষ করে বাচ্চা যদি থাকে, তাদের জন্য অবশ্যই ফুটানো পানি ভরে নিয়ে যেতে হবে। কারণ রাস্তায় নিশ্চিতভাবে বলা যায় না কোনটা ভালো কোনটা শুদ্ধ পানি। আজকাল মিনারেল ওয়াটারও সব সময় নিরাপদ নয়। তাই আমার মনে হয় বাচ্চা বা বৃদ্ধরা যদি সঙ্গে থাকে, তাহলে অবশ্যই পানি নিয়ে যেতে হবে।
প্রশ্ন : এখনকার যে আবহাওয়া, এটি কিন্তু অস্থায়ী। কখনো তীব্র গরম, কখনো স্যাঁতসেঁতে একটি পরিবেশ। এই সময়ে আসলে কোন কোন বিষয় হতে পারে যেটি কি না এই সময়টায় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে?
উত্তর : যাত্রাপথে আমাদের খোলামেলা পোশাক পরতে হবে। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য তো অবশ্যই সুতির কাপড়, খোলামেলা কাপড় যাতে করে ঘামটা হলে সেটা শুকিয়ে যেতে পারে। তোয়ালে নিতে হবে। ঘাম হলে মুছে দিতে হবে। ঘামের মধ্যে কিন্তু লবণ থাকে। এটা বিশেষ করে অ্যাজমা রোগীদের, শ্বাসকষ্ট যাদের আছে তাদের উত্তেজক হিসেবে কাজ করে। তাই যখনই বাচ্চা ঘেমে যায় সঙ্গে সঙ্গে মুছে দিতে হবে এবং ঢিলেঢালা সুতির কাপড় পরতে হবে।
ঈদটা আনন্দের বিষয়। ঝলমলে পোশাক পছন্দ সবারই। তবে এর ভেতরে যেন একটি সুতির কাপড় থাকে। অবশ্যই আরামদায়ক হতে হবে। ঢিলেঢালা হতে হবে। ঘাম যেন শরীরে না শুকায় এটা মাথায় রাখতে হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন

রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন
কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন

জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ
জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন