উইকেট কোনটা?
বাংলাদেশে ঘড়ির কাঁটা সবে সকাল ১০ ছুঁয়েছে। ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে হালকা ওয়ার্ম আপ ও স্ট্রেচিং সেড়ে টিম বাংলাদেশ ব্যস্ত ফিল্ডিং ও ক্যাচ প্র্যাকটিসে। ঠিক লাগোয়া গ্র্যান্টস্ট্যান্ডে একা বসা প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। পাশে বসতেই মোবাইল খুলে দেখালেন পিচের ছবি। আগামীকাল (বুধবার) থেকে যে পিচে খেলা, তা পরিদর্শন করতে গিয়ে ছবি তুলে এনেছেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। পিচতো নয় যেন সবুজ ঘাসের কার্পেট।
যে পিচে খেলা হবে, তার আশেপাশে আরও ক`টি উইকেট আছে। তবে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বোঝা যায়নি, ঠিক কোন পিচে খেলা হবে ? অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমতো রসিকতার সুরে বলেই ফেললেন, ‘ভাই উইকেট কোনটা? সবুজ ঘাষের মাঝে সেটাইতো খুঁজে পাচ্ছি না। বুঝতেই পারছি না কোন পিচে খেলা হবে!
যদিও আজ এক প্রস্থ কাটা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে আগামীকালও আরও একবার কাটিং মেশিন যাবে এর ওপর দিয়ে। তাতে গাঢ় সবুজ ভাব কিছুটা হালকা হয়েছে। তারপরও যা থাকবে, তা বাংলাদেশে কল্পনাও করা যায় না। মোদ্দা কথা, বেসিন রিজার্ভে মুশফিকুর রহিমের দলকে মাঠে নামতে হবে সবুজ ঘাসের উইকেটে। যা মুশফিক বাহিনীর জন্য এক অন্যরকম চ্যালেঞ্জ।
প্রথম চ্যালেঞ্জ ব্যাটসম্যানদের। তামিম, ইমরুল, মুমিনুল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বিরদের ঘাসের উইকেটে কিউই ফাষ্ট বোলিং তোপ সামলাতে হবে। বোঝাই যাচ্ছে বল নাক ও মুখের আশপাশ দিয়ে যাবে। সুইংও করবে। আর সবুজ ঘাষের সাথে ওয়েলিংটনের চিরায়িত বাড়তি বাতাসও চোখ রাঙ্গাচ্ছে। এটা অবশ্যই ফাষ্টবোলিং ফ্রেন্ডলি কন্ডিশন। কিন্তু সেখানেও বাংলাদেশের প্লাস পয়েন্ট না মাইনাস পয়েন্ট বেশি ? তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
কারণ এ মুহূর্তে বাংলাদেশের পেস ডিপার্টমেন্টে অভিজ্ঞ পেসার নেই বললেই চলে। পুরো পেস বহরে অভিজ্ঞ বলতে একা রুবেল হোসেন, যার ঝুলিতে মোটে ২৩ টেস্টের অভিজ্ঞতা। আর সঙ্গে যে তিন আনকোরা তরুণ, তাসকিন, শুভাশীষ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি। যাদের মধ্যে তাসকিন ও শুভাশিসের টেস্ট অভিষেকই হয়নি। তাই এ পিচ বাংলাদেশের পেসারদের জন্য অন্যরকম চ্যালেঞ্জ।
উইকেট যতই তাদের পক্ষে থাকুক না কেন , এমন ঘাসের উইকেটে তাদের খেলার অভিজ্ঞতা নেই। এ ধরণের ঘাসের পিচে ঠিক কোন লাইনে বল ফেলতে হয়, তা তাদের অজানা। বলার অপেক্ষঅ রাখে না, উইকেটে ঘাস থাকলেই যে তা বোলারদের স্বর্গ হবে, তা ভাবার কোন কারণ নেই। এ জন্য জায়গা মতো বল ফেলা খুব জরুরী। লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে ধারাবাহিকভাবে ভালো জায়গায় বল ফেলতে পারলেই কেবল সাফল্য ধরা দিবে।
অন্যথায় উইকেট যতই পক্ষে থাকুক না কেন , উল্টো ব্যর্থতার ঘানি টানতে হবে। একইভাবে রুবেল, তাসকিন, শুভাশীস ও কামরুল ইসলাম রব্বির মত আনকোরা তরুণদের এই পিচে আবেগতাড়িৎ হয়ে অযথা খাটো লেন্থে বল ফেললে বিপদ। তখন সাফল্যের বিপরীতে ব্যর্থতাই হবে সঙ্গী।
-জাগোনিউজ
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন