উকুন মানেই একটি বাজে ঝামেলা। সুন্দরীর সৌন্দর্যকে এক মুহূর্তে ধুলোয় লুটিয়ে দিতে পারে এই উকুন। আর তাই সৌন্দর্য সচেতন এবং স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ উকুন নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। মোট কথা, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনেরই একটি প্রতিচ্ছবি বা প্রতিফলন। কিন্তু অনেকেই এটি মানতে রাজি নয়। এতে অবতারণা করা হয়েছে বেশ কিছু মিথ্যা ধারণার। এসব মিথ্যা ধারণাকে পুঁজি করে উকুন সমস্যায় আক্রান্তরা নিজেদের অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা করে। এখানে উকুন নিয়ে প্রচলিত কিছু ভুল ধারণা এবং প্রকৃত সত্য তুলে ধরা হলো।

১. ভুল ধারণা : মাথার উকুন লাফ দিতে ও উড়তে পারে।

প্রকৃত সত্য : একজনের মাথার সাথে অন্যজনের মাথা সংস্পর্শে এলে, উকুন এক মাথা থেকে অন্য মাথায় যেতে পারে। এজন্য উকুন আক্রান্তের সাথে একই বিছানায় ঘুমানো এবং একই তোয়ালে, চিরুনি ও টুপি ব্যবহারের ঘটনা থাকতে হবে।

২. ভুল ধারণা : মাথার উকুন পোষা প্রাণী কিংবা অন্যান্য জীবজন্তুর কাছ থেকে মানুষের কাছে আসে।

প্রকৃত সত্য : উকুন হিউম্যান প্যারাসাইট। তাই এটি একান্তই মানুষের শরীরে থাকে।

৩. ভুল ধারণা : অনেকে মনে করেন, উকুনের সাথে ঋতুর কোনো সম্পর্ক রয়েছে।

প্রকৃত সত্য : উকুন সব ঋতুতেই দেখা দিতে পারে এবং যেকোনো আবহাওয়াতেই এটি ছড়াতে পারে।

৪. ভুল ধারণা : কেউ কেউ মনে করে, হেয়ার  ড্রায়ার ব্যবহারে উকুন মরে যায়।

প্রকৃত সত্য : উকুন মারার জন্য যে পরিমাণ উত্তাপ দরকার, সেটি মাথায় প্রয়োগ করলে চুলসহ মাথার ত্বক পুড়ে যাবে। হেয়ার ড্রায়ারের সামান্য উত্তাপে উকুনের কিছুই হয় না।

৫. ভুল ধারণা : উকুন শুধু দরিদ্র ও নোংরা পরিবেশে বাসবাসকারীদের হয়।

প্রকৃত সত্য : উকুন অভিজাত শ্রেণি থেকে শুরু করে বস্তিবাসী পর্যন্ত সবার হতে পারে। এমনকি পরিচ্ছন্ন শিশুদের মধ্যেও এটি দেখা দিতে পারে। একটি পরিচ্ছন্ন শিশুকে যদি উকুন আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি কোলে নেয়, আদর করে এবং উভয়ের মাথা যদি সংস্পর্শে আসে, তবে খুব সহজেই শিশুটি উকুনে আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারে।

৬. ভুল ধারণা : কারো কারো ধারণা, উকুন কাপের্ট এবং আসবাবপত্রে বসবাস করতে পারে।

প্রকৃত সত্য : উকুন মানুষের রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে। তাই উকুন শুধু মানুষের শরীরেই থাকে।