স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি
উচ্চ ঝুঁকিতে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাত: টিআই
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির সূচকে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাত ‘উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন’ বলে অভিমত প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই)।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ১৭টি দেশের প্রতিরক্ষা খাতের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঝুঁকি নিয়ে প্রণীত এক আঞ্চলিক গবেষণা প্রতিবেদনে এই অভিমত দেয় সংস্থাটি। লন্ডন থেকে বুধবার প্রকাশ করা হয় প্রতিবেদনটি।
বৃহস্পতিবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৭টি দেশের মধ্যে ছয়টি দেশেরই প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির ঝুঁকি অতি উচ্চমাত্রা থেকে সংকটাপন্ন, অর্থাৎ বাংলাদেশের চেয়েও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আঞ্চলিক নিরাপত্তায় হুমকির সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতিরক্ষা খাতে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো হলো- চীন, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমার। আর ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনায় সবচেয়ে নিম্ন ঝুঁকিসম্পন্ন দেশ হলো নিউজিল্যান্ড।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মানদণ্ডে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাত ‘উচ্চ ঝুঁকি’র তালিকায় স্থান পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সংবদি বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যয়ের ক্ষেত্রে সংসদীয় জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি। বিশেষত জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতির অনুপস্থিতি সত্ত্বেও ক্রমবর্ধমান হারে প্রতিরক্ষা ক্রয়ের ক্ষেত্রে তথ্যের অপ্রতুলতা এবং গোপনীয়তার সংস্কৃতি গণতান্ত্রিক জবাবদিহির জন্য মঙ্গলজনক নয়।”
তবে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেয়া বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণকে স্বাগত জানান ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, “প্রতিরক্ষা খাতের সামগ্রিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধির স্বার্থে ভবিষ্যতে এ রকম কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ মহলের সুযোগ সৃষ্টি করা ও সার্বিকভাবে প্রতিরক্ষা ব্যয়ে সংসদের কার্যকর ক্ষমতা বৃদ্ধি ও কার্যকর করা উন্নত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য।”
‘দ্য গভর্নমেন্ট ডিফেন্স অ্যান্টি করাপশন ইনডেক্সে’ (সংক্ষেপে জিআই) শীর্ষক প্রতিবেদনে ৭৭টি নির্দেশকের ভিত্তিতে একটি দেশের প্রতিরক্ষা খাতের পাঁচটি ঝুঁকির ক্ষেত্র বিশ্লেষণ করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঝুঁকি নিরূপণ করা হয়। এই পাঁচটি ঝুঁকির ক্ষেত্র হলো- রাজনৈতিক, আর্থিক, জনবল, পরিচালনা ও ক্রয়।
গবেষণার অন্তর্ভুক্ত ৭৭টি প্রশ্নের প্রতিটি উত্তরকে ০-৪ পর্যন্ত স্কেলে রূপান্তরের পর একটি দেশের অবস্থানকে ‘এ’ থেকে ‘এফ’ শ্রেণীতে বিন্যস্ত করা হয়। ‘এ’ শ্রেণী হল সবচেয়ে কম ঝুঁকিসম্পন্ন এবং ‘এফ’ শ্রেণী হল সবচেয়ে উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের মতো ‘ডি’ বা ‘উচ্চ ঝুঁকি’সম্পন্ন দেশের শ্রেণীতে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য দেশ হলো- ভারত, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়া।
২০১৫ সালের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক জিআই সূচকের সামগ্রিক মূল্যায়নের সমীক্ষায় অন্যান্য বিশেষজ্ঞ ছাড়াও বাংলাদেশ সরকার অংশগ্রহণ করেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যয় গত এক দশকে ২০২ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার তথ্য উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাত সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে জনবল ক্ষেত্রে (সি শ্রেণীভুক্ত) এবং সবচেয়ে কম নম্বর পেয়েছে অর্থ, ক্রয় ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সারজিস আলম: দেশের সিস্টেমগুলোতে ক্যান্সার ধরেছে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, “দেশের সিস্টেমগুলোতে ক্যান্সারবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন
বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণসহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক, শর্ত চার
চার শর্তে বাংলাদেশকে এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি মার্কিন ডলারবিস্তারিত পড়ুন