উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ঈশ্বরকে বিয়ে!
ঈশ্বরের জন্যে যীশু খ্রিষ্টকে বিয়ে করার অভিপ্রায় শুধু প্রকাশ করেননি ৩৮ বছরের জেসিকা হায়েস, যিনি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। জীবনে তার বিয়ের পোশাক কেমন হবে এনিয়ে অনেক ভেবেছেন জেসিকা। শেষ পর্যন্ত ঈশ্বরের জন্যে নিজেকে উৎসর্গ করার যে রীতি ক্যাথলিক খ্রিস্টান ধর্মে রয়েছে তার জন্যে কিন্তু পূর্ব শর্ত হচ্ছে সতী নারী হওয়া এবং শপথ নিয়ে যীশুর সঙ্গে বিয়ে বসার পর বাকি জীবনে কারো সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন না করা।
এ বিধি যতই কঠিন হোক তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হয়। জেসিকা একা নন, তার মত যুক্তরাষ্ট্রে আরো ২৩০ জন সতী নারী রয়েছেন যারা ঈশ্বরের জন্যে নিজের যৌবন বা জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। তারা কোনো দিন কোনো পুরুষের সঙ্গে শারীরিকভাবে মেলামেশা করতে পারবেন না। বিয়েও করতে পারবেন না। এমন পবিত্র চুক্তি হয়েছে রীতিমত আনুষ্ঠানিকভাবে চার্চে যাজককে স্বাক্ষী রেখে ঘটা করে শপথের পর।
এধরনের শপথ নেয়ার পর মানুষের সেবায় তারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেন। বৈরাগী জীবনে নিজের চাওয়া পাওয়া বড় কিছু নয়, মানুষের জন্যে নিজের সকল চাওয়া পাওয়া ভুলে যান। মানুষের দু:খে সমব্যথী হন, মানুষের আনন্দে খুশি হন।
যুক্তরাষ্ট্রে ইন্ডিয়ানায় ফোর্ট ওয়েনিতে ক্যাথেড্রালে এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে জেসিকা এমন শপথ নিলেন। সাদা বিয়ের পোশাক পরিধান করেন তিনি। তাকে বিয়ে পড়ানো হয়। তবে তার পাশে কোনো বর ছিল না। এক পবিত্র চুক্তি অনুযায়ী জেসিকা এখন মানুষের তরে জীবন উৎসর্গ করবেন প্রভুর খুশির জন্যে।
এমনকি এধরনের পবিত্র চুক্তির জন্যে যৌন সংসর্গ তো দূরের কথা চিকিৎসকরা কারো শরীর পরীক্ষা করে দেখলেও তিনি আর ঈশ্বরের সঙ্গে এমন পবিত্র চুক্তি করতে পারবেন না। তবে কেউ যদি দৈহিক নির্যাতনের শিকার হন তবে তার ক্ষেত্রে এধরনের শর্ত প্রযোজ্য হবে না। তিনি বরং ঈশ্বরের সঙ্গে পবিত্র চুক্তি বা বিয়ে বসতে পারবেন।
জেসিকা বলেন, যখন আমি চার্চে যেয়ে ঈশ্বরের সঙ্গে পবিত্র চুক্তিতে উপনীত হলাম তখন আমার পরণে বিয়ের পোশাক ছিল। যে কোনো কনে যেমন চোখ ধাঁধানো বিয়ের পোশাক পরিধান করে থাকেন সময় নিয়ে আমি ততটা সময় নিয়েছিলাম। কারণ আমি চাচ্ছিলাম কনেদের মতই আমাকে যেন সুন্দর দেখায়। অর্থাৎ আপনি হয়ত জেসাস নামে কোনো বরের নাম কখনো শুনে থাকতেও পারেন কিন্তু কনে হিসেবে জেসিকা হায়েসের নাম কিন্তু শোনেননি। ক্যাথলিক চার্চে যেয়ে জেসিকা ঈশ্বরের জন্যে জীবন এভাবে উৎসর্গ করলেন। নানদের মতই জেসিকার জীবন এখন সংসারত্যাগী ধর্মচারীর।
জেসিকা কিন্তু তার বাড়িতে যেতে পারবেন। ঘরে অবস্থান করতে পারবেন। যা পারবেন না তা হচ্ছে কারো সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সাময়িক বরখাস্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনেবিস্তারিত পড়ুন
কমলা হ্যারিসের ভোটের প্রচারণায় বাজবে এ আর রহমানের গান
আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসেরবিস্তারিত পড়ুন
উপদেষ্টা আদিলুর: পূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না
দুর্গাপূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেবিস্তারিত পড়ুন