উদ্যোক্তাদের দাবি দেশীয় শিল্পবান্ধব বাজেট
টেকসই শিল্পায়নের লক্ষ্যে দেশীয় শিল্পের স্বার্থ সুরক্ষায় আসন্ন বাজেটে নীতিসহায়তা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ শিল্প উদ্যোক্তারা।
তাদের মতে, দেশীয় শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক সহায়তা দিলে ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত হওয়ার যে রূপকল্প সরকার ঘোষণা করেছে, তা বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব হবে।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ নেতারা জানান, সরকারের এই রূপকল্প বাস্তবায়ন করতে হলে আরো শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে মোট কর্মক্ষম জনসংখ্যার ২০ শতাংশ উৎপাদন খাতে সম্পৃক্ত হতে হবে। আর এটি সম্ভব হবে তখনই, যখন দেশীয় শিল্প আরো বেগবান হবে।ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি ও বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি এ কে আজাদের সঙ্গে কথা হয়।
তিনি বলেন, মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) সরাসরি অবদান রাখতে পারে দেশীয় শিল্পবান্ধব বাজেট। তাই এসব শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামালের আমদানি শুল্ক ও উৎপাদিত পণ্যের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) কমানোর পাশাপাশি সম্পূর্ণ তৈরি পণ্য আমদানিতে শুল্ক অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।
আসছে অর্থবছরের (২০১৬-১৭) বাজেটে শিল্পায়ন ত্বরান্বিত করতে এবং নতুন করে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত পণ্য, যেমন- মোটরসাইকেল, রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন (এলসিডি এলইডি, সিআরটি), গাড়ি, খাদ্য ও পানীয় আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর দাবি জানান এই ব্যবসায়ী নেতা।
এ কে আজাদ বলেন, কোনো দেশ যখন কোনো পণ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়, তখন ওই পণ্যটি আমদানির ওপর করারোপ বা অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হয় আমদানি নিরুৎসাহিত করতে। অথচ বাংলাদেশে হচ্ছে এর উল্টোটা। এসব বিষয়ের দিকে নজর না দিলে রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন, এয়ারকন্ডিশনার, মোটরসাইকেল উৎপাদন খাত মুখ থুবড়ে পড়বে।
এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ও বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) সভাপতি জসিম উদ্দিন জানান, স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি না করেই চাহিদা মেটানো সম্ভব। বিশেষ করে ইলেক্ট্রনিক্স ও প্লাস্টিক পণ্যসামগ্রীতে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। উদ্যোক্তারা এ খাতে বড় বড় বিনিয়োগ নিয়ে এগিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, আমদানি না করে বরং আমদানিকারকরা উৎপাদনে যেতে পারেন। এ লক্ষ্যে আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে দেশীয় শিল্পের বিকাশে মূলধনী যন্ত্রপাতি ও মৌলিক কাঁচামালের ওপর সর্বনিম্ন শুল্কহার আরোপ করা প্রয়োজন।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) প্রাক্তন সভাপতি মো. সবুর খানের মতে, রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে উৎপাদন বাড়িয়ে জিডিপিতে শিল্পের অবদান ২৬ থেকে ৪০ শতাংশে উন্নীত করা এবং জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ডাবল ডিজিটে নিয়ে যেতে হলে বাজেটে দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ জানান, দেশীয় শিল্পকে আরো এগিয়ে নিতে এবং বাজেটে তার প্রতিফলন ঘটাতে এফবিসিসিআই কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অনেক পণ্যে সম্পূরক শুল্ক আরোপ করতে হবে। আবার অনেক পণ্যে আমদানি শুল্ক বাড়াতে হবে। এসবের মাধ্যমে দেশীয় শিল্পের সম্প্রসারণ করতে হবে। আশা করছি, দেশীয় শিল্প বাঁচাতে সরকারের সুনজর অব্যাহত থাকবে।
দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য দেশীয় শিল্পের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে উল্লেখ করে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এ মুহূর্তে শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখা এবং দেশীয় শিল্পের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য কিছু ক্ষেত্রে নীতি সহায়তা দেওয়ার বিকল্প নাই।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
জাবি ছাত্রদলের পুনর্মিলনীতে দুই গ্রুপের বাগ্বিতণ্ডা, ককটেল উদ্ধার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্রদলের সাবেক-বর্তমান নেতাকর্মীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে দুই গ্রুপেরবিস্তারিত পড়ুন
ফখরুল: ফ্যাসিবাদের ফেরার সম্ভাবনা বাড়ছে
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ফ্যাসিবাদ পরাজিত হলেওবিস্তারিত পড়ুন
বিচারপতিকে ডিম ছোড়ার ঘটনায় প্রধান বিচারপতির উদ্বেগ
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালকে আদালত কক্ষে ডিম ছোঁড়ারবিস্তারিত পড়ুন