বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

জলাবদ্ধতা নিয়ে সরব ভার্চ্যুয়াল দুনিয়া

‘উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে ধানমণ্ডি সাগর পাড়ি’

রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি, জলাবদ্ধতা আর যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে রাজধানীবাসীদের। বর্ষা মৌসুমে এই তিন যন্ত্রণা যেন ঢাকাবাসীর প্রতিবছরের প্রাপ্তি হয়ে উঠেছে।

কারণ রাজধানীতে ভরা বর্ষা মৌসুমে এক-দুই কিলোমিটার নয়, প্রায় ৪০০ কিলোমিটার সড়কজুড়ে চলছে খোঁড়াখুঁড়ির মহাযজ্ঞ। উন্নয়ন কাজের নামে মিডিয়ান নির্মাণ, ড্রেনেজ, ফুটপাত ও মূল সড়ক খোঁড়ার কারণে রাজধানী ঢাকা রীতিমতো ক্ষতবিক্ষত।

এর ফলে একটু বৃষ্টি হলেই নগরবাসীর নিত্যদুর্ভোগ মহাদুর্ভোগে রূপ নিচ্ছে।

মঙ্গলবার দিন-রাত অনবরত বৃষ্টির কারণে বুধবার সকাল থেকেই পুরো নগরজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

জনদুর্ভোগের এ বিষয়টি উঠে এসেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। রাস্তার নোংরা পানিতে চলাচলরত যানবাহন উল্টে দুর্ঘটনা আর রাজধানীবাসীর অসহায় চলাফেরার ছবি আর বিভিন্ন ক্ষোভ প্রকাশের পোস্ট এখন ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের টাইম লাইনে ভেসে বেড়াচ্ছে।

সিরাজুস সালেকিন নামের একজন লিখেছেন, ‘রাতে মাত্র ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তাতেই মিরপুর রোড ব্লক। একঘন্টা হচ্ছে বাসে বসে আছি। ২০০ গজ এগোতে পারিনি। জানিনা পুরো শহরের কী অবস্থা! বৃষ্টির মাত্রা ১২০ হলে কী হতে পারে সেই চিন্তা আর করতে পারছিনা! দিনদিন সিটি করপোরেশনের সক্ষমতা বাড়ে। আমাদের কমতেছে। সামান্য এক মশার ভয়ে রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। মহামারী হলেও মন্ত্রীরা চেপে যাচ্ছেন। বলছেন কিছুই হয়নি! মশার চেয়ে একটু বেশি ক্ষতিকর প্রাণি শহরে ঢুকলে কী হবে সে চিন্তাও করতে পারছি না!’


সাবেক সংবাদকর্মী ও বর্তমানে বেসকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন কাজী আনিছ। ধানমণ্ডি এলাকার এ বাসিন্দা ফেসবুকে জলাবদ্ধতা নিয়ে লিখেছেন,

‘সকালে শিক্ষার্থী সুপ্রিয় শিকদারের ফোন। অপরপ্রান্তে আতঙ্ক টের পাচ্ছি। ‘স্যার, আপনি কোথায়?’

-এই তো বের হচ্ছি। ভার্সিটি পৌঁছব।

-এখন বের হইয়েন না, স্যার।

-কেন?

-স্যার, আপনার বাসার সামনে দিয়ে যাচ্ছি। ৩২ নম্বর পর্যন্ত জ্যাম। রাস্তায় পানি আর পানি। এক ঘণ্টা ধরে বসে আছি এক জায়গায়, স্যার।

রাস্তায় পানি আসলেই এক আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগে বৃষ্টি হলে কত রোমান্টিক কথাবার্তা শুনতাম, পড়তাম। কত রোমান্টিক ছবি! এখন দেখি নদীর ছবি। যে নদীতে রিকশা, মোটরসাইকেল উল্টাইয়া পড়ে।

এ আতঙ্ক বাড়বে। দূর হওয়ার লক্ষণ দেখি না। তাই এটাকে পজিটিভলি নিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যায়।

পথে কোনো দিন ছিনতাইকারী ধরলে তাকে ভয় দেখাতে পারেন, ‘ভাই, এসব নিয়া তো যাইতে পারবেন না। ২৭ নম্বরে তো পানি আর পানি। কারওয়ান বাজার তো ভাই এখন বঙ্গোপসাগর। পল্টনের অবস্থা আরও খারাপ। যাইবেন কই?’

দেখবেন, ছিনতাইকারী কিছুক্ষণ চিন্তাভাবনা করে সব মালামাল আপনাকে ফেরত দিয়ে দেবে। এটা তো পজিটিভ।

বাচ্চা পড়তে চায় না। মা তাদের বাচ্চাদের বলতে পারেন, ‘পড়ো বাবা, পড়ো। না পড়লে বৃষ্টি নামবে। রাস্তায় পানি জমবে। তোমার কি মনে নাই, তুমি, তোমার বাবা আর আমি রিকশা উল্টিয়ে বাংলা মোটরের পানিতে পড়ে গেছিলাম। তোমার বাবার মাজায় এখনও ব্যথা।’
বাচ্চার লেখাপড়া আর কে থামায়।

শুধু তা-ই নয়, এখন আর গোলাগুলি করে ‘ক্রসফায়ার’ করারও দরকার নেই। গোলাগুলির দিন শেষ। বলা যেতে পারে, গতকাল মঙ্গলবার কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বাইট্টা আনিছকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, মোহাম্মদপুর এলাকায় এক বস্তির পাশে তার কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাইট্টা আনিছকে নিয়ে সেখানে রওনা দেওয়া হয়। মাঝপথে রিকশাযোগে জলাবদ্ধ পানি পাড়ি দেওয়ার সময় রিকশা উল্টাইয়া যায়। পানিতে পড়ে যায় বাইট্টা আনিছ। এতে পানিতে ডুবে আনিছ মারা যায়। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

আসুন, জলাবদ্ধ পানিকে পজিটিভলি ব্যবহার করি। এটাও একটা উন্নয়ন।’

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত আব্দুল্লাহ আল মামুন পুরান ঢাকার চানখারপুল এলাকার জলাবদ্ধতায় নাগরিক দুর্ভোগের বেশ কয়েকটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন। তিনি লিখেছেন, ‘যাইহোক উন্নয়ন কাজ চলছে!’


বেসরকারি ঔষধ কোম্পানিতে চাকুরিরত আরমান রবিন ধানমণ্ডি এলাকার জলাবদ্ধতার ছবি পোস্ট করেন। তিনি মজা করে লিখেছেন, ‘উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে ধানমণ্ডি সাগর পাড়ি দিলাম, বিকাশ নামের জাহাজ দিয়ে!’

সাংবাদিক শওকত পলাশ নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে জলাবদ্ধতার কয়েকটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর থেকে ২ মিনিটের হাঁটা দূরত্ব। এই জলাভূমিতে মাছ চাষের জন্য লিজ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করতে পারেন।’

এমন বিভিন্ন ধরনের কটাক্ষপূর্ণ পোস্টে এখন সয়লাব ভার্চ্যুয়াল দুনিয়া। আর এসব পোস্টে মৌসুমী বায়ুর কারণে বৃষ্টি হওয়াকে কেউ দুর্ভোগ বলে অভিযোগ করছেন না। তাদের অভিযোগে পরিকল্পনা ছাড়া রাজধানীজুড়ে বর্ষা মৌসুমে খোঁড়াখুঁড়ি, অপরিকল্পিত নগরায়ন, জলাধার ভরাট ও দখল, পানি নিষ্কাসনের সঠিক পরিকল্পনা না থাকার বিষয়গুলোই উঠে এসেছে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপকবিস্তারিত পড়ুন

দুই দফা কমার পর ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

টানা দুই দফা কমার পর দেশের বাজারে ফের স্বর্ণের দামবিস্তারিত পড়ুন

চট্টগ্রামে দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিসের বহরের গাড়ি

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে সড়কবিস্তারিত পড়ুন

  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে যা বললেন বিএনপি নেতারা
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৪ জনের মৃত্যু
  • চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের বিবৃতি নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা নাহিদ
  • উপদেষ্টা মাহফুজ: সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
  • বড় ব্যবধানে অ্যান্টিগা টেস্টে হারলো বাংলাদেশ
  • কিশোরগঞ্জে মা-বাবা ও ২ সন্তানের মরদেহ উদ্ধার
  • চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা, ঢাবিতে গায়েবানা জানাজা
  • বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রপতি এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আপনি কতটুকু জানেন?
  • পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: চিন্ময় দাসকে নিয়ে ভারতের বিবৃতিতে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে
  • রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
  • জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে ‍সুবিধা পাওয়া যাবে
  • ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত