এই অকেজো যুদ্ধ বিমান দিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান!
আমেরিকা এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের ডেলিভারি পিছিয়ে দিয়েছে। যার জন্য জেএফ-১৭ নামে এই যুদ্ধবিমানের ওপরই ভরসা করছিল পাকিস্তান।
জে এফ -১৭ বা ‘থান্ডার’ অথবা ‘ম্যাক টু’— এই যুদ্ধবিমানই পাকিস্তানের সমরসজ্জার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠবে, এমনটাই মনে করা হয়েছিল। কিন্তু, সম্প্রতি এই যুদ্ধবিমান পরীক্ষামূলক উড়ানেই ডাহা ফেল করেছে বলে খবর। পাকিস্তান সরকারের ‘প্যাক’ এবং চিন সরকারের ‘চেংগদু’— এই দুই সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ‘জেএফ ১৭’ যুদ্ধবিমানটি তৈরি করা হচ্ছে।
ইসলামাবাদের দাবি, হালকা যুদ্ধবিমানের বিভাগে ‘জে এফ-১৭’ প্রচণ্ড দক্ষ এবং মারাত্মক সমরাস্ত্র হয়ে ওঠার যাবতীয় গুণ এতে আছে। ‘ফোর্থ জেনারেশন’-এর যুদ্ধবিমান বলা হচ্ছে ‘জে এফ-১৭’-কে। এমনকী, এর নির্মাণ-খরচও খুব একটা বেশি নয়। রুশ যুদ্ধবিমান সুখোই-২৭-এর নকশার আদলে ‘জে এফ— ১৭’-এর কাঠামো বানিয়েছে পাকিস্তান ও চিন। সম্প্রতি পরীক্ষামূলক উড়ানে ‘জে এফ—১৭’-র পারফরম্যান্স এতটাই হতাশজনক যে, পাক বায়ুসেনা এখনও বিমানটিকে বাহিনীতে মোতায়েন করার কোনও সুপারিশই করেনি।
পঞ্চাশের দশকে আমেরিকার কাছের জন ছিল পাকিস্তান। কিন্তু, সাতের দশক থেকে পাকিস্তান চিনের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে থাকে। এই মুহূর্তে আমেরিকা যখন চিনের বিরোধিতা করছে তখনও ইসলামাবাদ হাত ধরছে বেজিং-এর। আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে পাকিস্তান দ্বিচারিতা করছে বলেও মনে করছে আমেরিকা। যার জেরে পাকিস্তানকে ‘এফ-১৬’ যুদ্ধবিমানের সরবরাহ আপাতত পিছিয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটন।
উরি-সন্ত্রাসের প্রেক্ষিতে ভারতের সঙ্গে তৈরি হওয়া উত্তেজনায় পাকিস্তান মনে করছিল ‘জে এফ-১৭’ হয়তো ‘এফ-১৬’ যুদ্ধবিমানের অভাব মেটাতে সক্ষম হবে। কিন্তু, এখন পর্যন্ত যা খবর, ‘জে এফ-১৭’ যুদ্ধবিমানটির ডিজাইনার দলের প্রধান ইয়াং ওয়েই এই প্রকল্প নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, এখনকার দিনে ‘ফোর্থ জেনারেশন’ এবং ‘ফিফথ জেনারেশন’-এর যুদ্ধবিমানে যে ধরনের বৈশিষ্ট্য থাকে, তা ‘জে এফ-১৭’-এ নেই। সুতরাং, এই প্রকল্প কতটা ফলদায়ক হবে তাতে সন্দেহ আছে।
একটা ‘জে এফ-১৭’- তৈরি করতে খরচ পড়ার কথা ২৮ মিলিয়ন ডলার। এটা একটা ‘এফ-১৬’ বিমানের অর্ধেক দাম। কিন্তু, দাম কম হলেও, ‘জে এফ-১৭’ যুদ্ধবিমানের সবচেয়ে বড় ‘ডিসঅ্যাডভান্টেজ’ এর রাডার। এছাড়াও এই যুদ্ধ বিমানটি একটা সময়ে মাত্র ২টো নিশানায় হামলা করতে পারে। অথচ ‘ফোর্থ জেনারেশন’ এবং ‘ফিফথ জেনারেশন’-এর অধিকাংশ যুদ্ধবিমানগুলি একই সময়ে দুইয়ের বেশি নিশানায় হামলা করতে সক্ষম।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন