এই জয়টা খুব প্রয়োজন ছিল
শুরুতেই অভিনন্দন টিম বাংলাদেশকে। অসাধারণ একটি জয়। এমন একটি জয় বাংলাদেশের জন্য খুবই প্রয়োজন ছিল। আমরা এমন অনেক ম্যাচ জয়ের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে এসেছি। ওয়ানডে ক্রিকেটেও নয় শুধু, বাংলাদেশ যে টেস্ট ক্রিকেটেও উন্নতি করেছে সেটার জন্য এমন একটি জয় খুবই প্রয়োজন ছিল। চট্টগ্রামেও পেয়ে যাচ্ছিলাম জয়টি; কিন্তু সেখানে পারিনি, পারলাম ঢাকায় এসে। অভিনন্দন টাইগারদের। পুরো বাংলাদেশকেই আনন্দিত করতে পেরেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
অভিনন্দন টিম ম্যানেজমেন্ট, কিউরেটর, গ্রাউন্ডসম্যান থেকে শুরু করে বিসিবিকেও। বাংলাদেশের স্পিনারদের উপযোগি দুর্দান্ত একটি উইকেট বানিয়েছে তারা। টিম বাংলাদেশও সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে খুব ভালোভাবে। চট্টগ্রামেও কাজে লাগিয়েছিল। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় পারেনি। ঢাকায় এসে সেটা পারলো। সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে।
এই দলটির অংশ হতে পারলে খুব ভালো লাগতো। এর আগে যে কয়টি বড় বড় ম্যাচে বাংলাদেশ জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েছিল, সবগুলোতেই ছিলাম আমি। এবার দলের সঙ্গে নেই। তবে সতীর্থদের এমন সাফল্যে নিজেকেও গর্বিত মনে হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রমাণ করতে পেরেছে, টেস্টেও তারা এগিয়ে যাচ্ছে।
লাঞ্চের পর থেকে চা বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দেখে মনে হচ্ছিল তারা বুঝি ক্লান্ত হয়ে পড়েছে; কিন্তু চা বিরতির পর যখন মেহেদী হাসান মিরাজ বেন ডাকেটকে ফিরিয়ে দিলো, তখনই জাদুর কাঠির মত যেন জ্বলে উঠলো বাংলাদেশ। পুরো দল হলো উজ্জীবিত। এরপর মিরাজ আর সাকিব মিলে তো ইতিহাসই তৈরী করলো। অসাধারণ এক পারফরম্যান্স। আমি শুধু মুগ্ধ হয়ে দেখলাম। কী অসাধারণ পারফরম্যান্স!
গতকালই তামিমের ব্যাটিং দেখে আমার মধ্যে কেন যেন খুব আত্মবিশ্বাস তৈরী হয়েছিল যে, বাংলাদেশ সম্ভবত এই টেস্টে কিছু একটা করতে পারবে। ইমরুল, মাহমুদউল্লাহ মিলে যে জুটি গড়লো, তাতে সেই আত্মবিশ্বাসের মাত্রা আরও বাড়লো। আজ সকালেও বাংলাদেশ ভালো ব্যাটিং করেছে। আগেরদিনই বলেছিলাম আর ১২০ থেকে ১৩০টি রান যোগ করতে পারলেই বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে।
সেই কাজটাই ব্যাটসম্যানরা করে দেখালেন। তবে ভাগ্যও খুব পাশে ছিল আমাদের। কারণ, ক্যাচ মিস, মিস ফিল্ডিং করেছিল ইংল্যান্ডও। সেখান থেকেই ২৭২ রানের লিড। বাংলাদেশের জয়ের অর্ধেক সেখানেই লেখা হয়ে গিয়েছিল। বাকি কাজটা করলো মিরাজ আর সাকিব। মিরাজের সঙ্গে সাকিবও ছিল দুর্দান্ত পারফরমার। তার বিধ্বংসী বোলিংই বাংলাদেশের জয়ের রাস্তা পরিস্কার করে দেয়। তাইজুলও উইকেট না পেলেও খুব ভালো বোলিং করেছে।
বাংলাদেশ এমনিতেই লংগার ভার্সনের ক্রিকেট খুব কম খেলে। সে জায়গায়, ১৪ মাস পর এই এই সিরিজটি খেলতে নেমে যে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, তাতে টাইগাররা প্রমাণ করেছে, তারা আরও বেশি খেলা পাওয়ার যোগ্যতা রাখে। তবে, আগামী বছর বাংলাদেশের অনেক বেশি টেস্ট ম্যাচ রয়েছে। যদিও তার অধিকাংশই বিদেশের মাটিতে।
ঘরের মাঠে স্পিনারদের কল্যাণে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে করেছে বাংলাদেশ। তবে পরের মাঠে স্পিনার নয়, পরীক্ষা পেসারদের। সে লক্ষ্যেই আশা করি মুশফিকরা প্রস্তুতি নেবে। আমার বিশ্বাস, এই টেস্ট জয় থেকে বাংলাদেশ দারুণ অনুপ্রেরণা পাবে এবং সেটা কাজে লাগিয়ে আরও ভালো রেজাল্ট বয়ে আনবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন