‘এই তো আমিও এখানে আছি’, ট্রাম্প সমর্থকদের উদ্দেশে হিজাবি নারী
মরক্কোর বংশদ্ভূত মুসলিম তরুণী বারা কেতিরি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করেন না এবং নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকে শুনে আসা ট্রাম্পের মুসলিম বিরোধী ধর্মান্ধতায় তিনি পশ্চাদপসরণ করেন নি।
অনেকের মতো ২৩ বছর বয়সী আমেরিকার ব্রুকলিনের এই হিজাবি তরুণীও গিয়েছিলেন ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের সাক্ষী হতে।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হাজার হাজার ট্রাম্প সমর্থক বেষ্টিত লাইনে তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি এর মাধ্যমে ট্রাম্প সমর্থকদের একটি বার্তা চেয়েছিলেন, ‘হ্যাঁ, আমিও এখানে আছি’।
কেতিরি বলেন, ‘আমি চেয়েছি, ট্রাম্পের সমর্থকরা আমাকে দেখুক।’
কেবল দৃশ্যমান একজন মুসলিম ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে দেখানোই তার উদ্দেশ্য ছিল বলে তিনি জানান। তিনি তাদের স্মরণ করিয়ে দেন যে, আমেরিকাকে গড়ার জন্য মুসলমানরাও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শ্রেণির এই ছাত্রী বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনি প্রচারের সময় মুসলমানদের সম্পর্কে অনেক ঘৃণা ছড়িয়েছেন এটা সত্য। তবে, আমি তার এই ভুল ভেঙ্গে দিতে চেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমিও এ দেশেই বাস করি এবং আপনি হয়ত আমাকে প্রতিদিন দেখতে পাবেন না ঠিক আছে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে, এখানে আমার কোনো অস্তিত্ব নেই।’
যদিও সেখানে কেতিরি সরাসরি কারো দিকে এগিয়ে যাননি। তবে, অনেকের সঙ্গে তার ‘আই কন্টাক্ট’ হয়েছে এবং হিজাব পড়লেও তিনি তার মুখ খোলা রাখেন।
তিনি সেখানে আরো একটা বিষয় পরিষ্কার করতে চেয়েছিলেন আর তা হচ্ছে, চাইলে যে কেউ আলাপচারিতা শুরু করতে পারে। তিনি প্রত্যাশা করছিলেন, তিনি কেন এখানে এসেছেন কিংবা ইসলাম সম্পর্কে কেউ হয়ত তাকে প্রশ্ন করবে
যদিও সেখানে এ সম্পর্কে প্রশ্ন করার কেউ ছিল না। তা সত্ত্বেও, সেদিন ন্যাশনাল মলের উদ্বোধনী দিবসে হাজার হাজার মানুষের বিশাল লাইনে তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন।
সেখানে দাঁড়িয়ে তার কাছে কেবল অনুভূত হয়েছে যে, তিনি কিছু একটা সম্পন্ন করছেন।
শুক্রবার ওয়াশিংটন শহরের কেন্দ্রস্থলের ন্যাশনাল মলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে অনেকের মতো কেতিরিও ঘণ্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে দীর্ঘ লাইন অতিক্রম করে মলের কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছিলেন বটে কিন্তু তা ভালভাবে উপভোগ করার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
ন্যাশনাল মলের ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপস্থিত সমর্থকদের সামনে ট্রাম্প ‘মৌলবাদী ইসলামি সন্ত্রাসবাদ’ নির্মূল করার অঙ্গীকার করেন।
যাইহোক, পরে ‘স্পেস মিউজিয়াম’ থেকে কেতিরি ও তার বন্ধুরা তাদের ফোনের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের লাইভ স্ট্রিম দেখেন।
মরক্কো-আমেরিকান কেতিরি ডেট্রয়েট শহরতলীতে বেড়ে ওঠেন। হিজাব পরা শুরুর পর থেকে মানুষজন তার দিকে মুসলিম বিরোধী বিভিন্ন মন্তব্য নিক্ষেপ করেছে বলেও তিনি জানান।
সূত্র: রেলিজিয়ন নিউজ সার্ভিস
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন