এই দিনেই মৃত্যু হয়েছিল ছোট্ট আয়লানের
এক বছর আগে ঠিক এই দিনেই মৃত্যু হয়েছিল সিরীয় শরণার্থী শিশু আয়লান কুর্দির। তুরস্কের সাগর তীরে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা ছোট্ট শিশু আয়লানের মৃতদেহের ছবিটি সেসময় বিশ্ব জুড়ে আলোড়ন তুলেছিল। আয়লানের ওই ছবি প্রকাশের পর শরণার্থী ইস্যু নিয়ে টনক নড়ে বিশ্ব নেতাদের। ইউরোপে শরণার্থী সংকট কতটা গভীর আয়লানের ছবি সেটিই প্রমাণ করেছে।
৩ বছর বয়সী সিরীয় শরণার্থী শিশু আয়লান কুর্দি তার বাবা মায়ের সঙ্গে গ্রিসে পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের বহনকারী নৌকাটি সাগরে ডুবে যাওয়ার কারণে ছোট্ট আয়লান, তার ভাই এবং মায়ের মৃত্যু হয়। তবে সৌভাগ্যক্রমে ওই দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যান আয়লানের বাবা।
শরণার্থীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর আয়লানের মৃতদেহ সৈকতে ভেসে ওঠে। নৌকা ডুবে যাওয়ার পর তুরস্কের সমুদ্র সৈকতে লাল জামা গায়ে আয়লানের নিথর দেহ উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
সিরিয়ার একদল শরণার্থী তুরস্ক হয়ে গ্রিসে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ওই দলে ছিল আয়লানের পরিবার। কিন্তু যাত্রাপথে সাগরে নৌকাডুবিতে আয়লানসহ ১২ জন মারা যায়।
আয়লানের পরিবার সিরিয়ার কোবানে শহরে থাকতো। সেখানে আইএস জঙ্গীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর লড়াই শুরু হওয়ার পর তারা পালিয়ে তুরস্কে আসে। সেখান থেকে কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করলে কর্তৃপক্ষ তাদের শরণার্থী আবেদন নাকচ করে দেয়। এরপর তারা তুরস্ক থেকে গ্রিসে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা ব্যর্থ হন।
আয়লানের মৃত্যুর পর শরণার্থী ইস্যু নিয়ে ভাবতে শুরু করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। বিভিন্ন দেশের নেতারা নিজেদের দেশে শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে কিছুটা উদার নীতি অবলম্বণ করেন। তবে এখনো শরণার্থী সৌত ইউরোপের একটি বড় সমস্যা। সিরিয়া, ইয়েমেনের মত যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশগুলোর লোকজন জীবন বাঁচাতে ইউরোপের দেশগুলোকেই একমাত্র শেষ আশ্রয় মনে করছে। এখনো বহু শরণার্থী ভূমধ্যসাগরে নৌডুবির ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন
বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নতবিস্তারিত পড়ুন