একজন মুসলমান ‘সেঞ্চুরিয়ান’ আমলার গল্প
জোহানেসবার্গ টেস্টে খেলতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলেন হাশিম আমলা। জ্যাক ক্যালিস (১৬৫ টেস্ট), মার্ক বাউচার (১৪৬ টেস্ট), গ্রায়েম স্মিথ (১১৬ টেস্ট), শন পোলক (১০৮ টেস্ট), এবি ডি ভিলিয়ার্স (১০৬ টেস্ট), গ্যারি কার্স্টেন (১০১ টেস্ট) ও মাখায়া এনটিনির (১০১ টেস্ট) পর অষ্ঠম প্রোটিয়া হিসেবে শততম টেস্টের মাইলফলক পেরোলেন আমলা।
অবশ্য ইতিহাসের অংশ কি এরই মধ্যে হয়ে যাননি তিনি? ক্যারিয়ারের শুরুতে কোটা প্লেয়ারের তকমা পাওয়া আমলা এরই মধ্যে অন্য অনেক দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারের চেয়ে নিজেকে অনন্য, অসাধারণ প্রমাণ করেছেন। প্রচণ্ডভাবে ধর্ম অনুসরণ করে চলা আমলার এই ‘সেঞ্চুরিয়ান’ হয়ে ওঠার পথ তাই এতটা মসৃণ নয়।
পথে বিছানো ছিল কাঁটা, আমলা সেগুলোকে ফুলে পরিণত করেছেন। হার না মানা এই ক্লাসিক ব্যাটসম্যানটির গোটা ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে তাই ছয় ভাগে ভাগ করেছে ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। যেই ক্যারিয়ারে আছে হার না মানার অদম্য গল্পের কথা, দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে নিজের নাম অমর করে রাখা কীর্তির কথা।
শুরুর গল্প হাশিম আমলা যখন প্রথম হিল্টন অকারম্যানের (তৎকালীন দক্ষিণ আফ্রিকান অনূর্ধ্ব ১৯ দল ও একাডেমি কোচ) কাছে এলেন, তাঁকে দেখে প্রথাগত দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান মনে হয়নি। ডারবান হাই স্কুলের হয়ে রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে তবেই তিনি এই পর্যায়ে এসেছেন, তারপরেও কোথাও যেন তাঁকে নিয়ে একটা সন্দেহ থেকে গিয়েছিল। ব্যাকলিফটটাও কেমন যেন অদ্ভুত, ব্যাটিংয়ের সময় ব্যাটের ব্লেড থাকে গালির দিকে মুখ করা। তাঁর ফিল্ডিংটাও ঠিক দক্ষিণ আফ্রিকান স্ট্যান্ডার্ডের নয়।
অকারম্যান কিন্তু নিজের এই ‘ব্যতিক্রমী’ ছাত্রের প্রতি স্নেহের হাত বাড়িয়ে দিলেন না, বরং আমলাকে ফেলতে লাগলেন কঠিন সব পরীক্ষার সামনে। সেই সময়ের দিনগুলোর কথা মনে করতে গিয়ে আমলার অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ সতীর্থ রায়ান ম্যাকলারেন বলেছিলেন, ‘হিল্টন হ্যাশ (হাশিম) এর প্রতি কিছুটা কঠোর ছিলেন।
অবশ্য শুধু হ্যাশের প্রতিই নয়, হিল্টন মানুষটাই ছিলেন এমন। তবে আমার মনে হয় হিল্টন হ্যাশের প্রতিভা সম্পর্কে আগেই আন্দাজ করতে পেরেছিলেন, সে যাতে তাঁর প্রতিভার পূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করে, সেজন্যই হয়তো হিল্টন অমন কঠোর হয়েছিলেন।’
‘হ্যাশ যেটা করত, হিল্টনের প্রতিটা কথা একেবারে গিলে ফেলত। এতটাই মনযোগী ছিল ও। আসলে ওই সময়ে বয়সভিত্তিক পর্যায়ের জন্য হিল্টনই ছিলেন সেরা ব্যাটিং কোচ। হ্যাশ এই সুযোগটা পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছে।’
অকারম্যান কিন্তু ঠিকই আমলার ভেতরের ব্যাটসম্যানশিপটাকে পড়তে পেরেছিলেন। দলের সেরা ব্যাটিং অস্ত্রটাকে বানালেন দলের অধিনায়ক, আমলাও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গেলেন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল পর্যন্ত।
অকারম্যান আমলাকে সাউথ আফ্রিকার ভবিষ্যৎ অধিনায়ক হিসেবে দেখেছিলেন। অকারম্যানের কথাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হয়েছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি তা দেখে যেতে পারেননি। অনূর্ধ্ব ১৯ দলের অধিনায়ক হওয়ার মাত্র তিন বছরের মাথায় আমলার গায়ে উঠল গর্বের সাদা জার্সি।
প্রথম তিন টেস্ট
কোন অভিষিক্ত দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় সে কোথায় তাঁর অভিষেক টেস্টটা খেলতে আগ্রহী, নিশ্চিতভাবেই সে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের নাম নেবে না। কিন্তু ২০০৪ সালের নভেম্বরে ২১ বছরের আমলা নিজেকে অভিষেক টেস্টে সেই ইডেনেই আবিস্কার করলেন।
অন্তর্বর্তী কোচ রে জেনিংস বাউচারকে দলে জায়গা দিলেন না, গিবস আর বোয়ে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে দলের বাইরে। দলের এমন ভঙ্গুর অবস্থায় অ্যান্ড্রু হল
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন