‘একটা ছেলেকে পাড়ার মণ্ডপে চড় মেরেছিলাম’
ছোটবেলার পুজো। বড়বেলার পুজো। মেয়েবেলার ইচ্ছে। নায়িকার অনিচ্ছা। সব নিয়ে খোলামেলা কথা বললেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। শুনলেন দেবযানী সরকার
ছোটবেলায় দুর্গাপুজো কেটেছে আর পাঁচটা মেয়ের মতোই৷ বাবা-মার সঙ্গে ঠাকুর দেখা। পাড়ার মণ্ডপে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, হই হুল্লোর করেই কাটতো পুজোর পাঁচদিন ৷ তাঁর পুজোর সেই সোনালি দিনগুলো এখন ঢাকা পরে গিয়েছে রূপোলি পর্দার আড়ালে৷ খানিকটা আক্ষেপের সঙ্গেই সেকথা জানালেন টলিউডের ব্যস্ত নায়িকা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়৷
দুর্গাপুজো নিয়ে কথা বলতে বলতে কিছুটা নস্ট্যালজিক হয়ে পড়লেন শ্রাবন্তী৷ সেইসঙ্গে এক্সাইটেডও৷ বললেন, মণ্ডপে মণ্ডপে গিয়ে ঠাকুর দেখতে আমার খুব ভালো লাগে৷ ছোট বেলায় বাবা-মায়ের সঙ্গে, কোচিং-এর বন্ধুদের সঙ্গে প্রচুর ঠাকুর দেখতাম৷ সকাল বেলাতেই সেজেগুজে মন্ডপে বসে পড়তাম৷ সারাদিন পাড়ার বন্ধুরা চুটিয়ে আড্ডা দিতাম৷ আর সব থেকে মজার বিষয় হল পুজোর ক’টাদিন আমি অনেক প্রোপোজাল পেতাম৷ মনে আছে, একবার একটা ছেলেকে পাড়ার মণ্ডপে চড় মেরেছিলাম৷ আমার ভাসানে নাচতে খুব ভালো লাগত৷ আমার এখনও মনে আছে সেদিনটার কথা৷ তখন আমি ক্লাস ফাইভে পড়ি৷ সেবছর ভাসানে নাচতে নাচতে ড্রেনের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম৷ সব লোকজন তখন ঠাকুর ভাসান দেবে কি! সবকিছু ছেড়ে তখন সবাই আমাকে তুলতে ব্যস্ত৷
এখন সত্যিই এগুলো তাঁর কাছে ফ্ল্যাশব্যাকের মতো৷ কারণ কয়েকটা পুজো উদ্বোধন ছাড়া এখন শ্রাবন্তীর পুজোর বাকি দিনগুলো কাটে কমপাউন্ডের চারটে বাউন্ডারির মধ্যে৷ স্বাধীনভাবে ঘুরে ঠাকুর দেখার জো নেই৷ কারণ তিনি এখন সেলিব্রিটি৷ ভক্তদের মাঝে পড়ে গেলে ঠাকুর দেখা আবার পরের বছরের জন্য তুলে রাখতে হবে তাঁকে৷ শ্রাবন্তী বললেন, খুব ইচ্ছে করে আগের মতো ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখতে৷ কিন্তু কি করব? কোনও উপায় নেই৷ তবে আমাদের কমপাউন্ডে পুজো হয়৷ আমরা সবাই মিলে খুব আনন্দ করি৷ প্রতিদিনই কমপাউন্ডের সব লোকজন মিলে খাওয়া-দাওয়া হয়৷ আমি খেতে খুব ভালোবাসি৷ নবমীর দিন বাড়িতে আমি রান্না করি৷ তবে একটাই কন্ডিশন, আমি যদি রান্না করি তাহলে খাওয়ার পর সবাইকে ভালো বলতে হবে৷ এছাড়াও, আমার কাজের জগতের বন্ধুদের সঙ্গেও আমি একটা দিন আড্ডা দিই৷ কখনও ওদের বাড়িতে যাই৷ কখনও বা ওরা আমার বাড়িতে আসে৷
গত কয়েকবছর দুর্গাপুজোতে কলকাতাতে থাকলেও এবছর পুজোতে কি করবে এখনও ঠিক করে উঠতে পারেননি এই টলি নায়িকা৷ শ্রাবন্তী বলেন, মাঝে মাঝে আমি খুব ডিপ্রেসড হয়ে পরি৷ তখন মনে হয় একটু বেড়াতে গেলে ভালো হয়৷ এবছর ভাবছি, পুজোয় যখন ঠাকুর দেখতে পারি না তাহলে একটু কোথা থেকে সপরিবারে বেড়িয়ে আসি৷ এখনও অবশ্য ঠিক করি নি কিছু৷
আর পুজোর শপিং? প্রশ্ন শুনেই শ্রাবন্তী বললেন, আমার শপিং শুরু হয় পুজোর ১০-১২ দিন আগে থেকে৷ তবে আমার একা একা কেনাকাটা করতে একদম ভালো লাগে না৷ সঙ্গে কাউকে চাই৷ সেইসঙ্গে তিনি এটাও জানালেন, পুজোয় তার ট্র্যাডিশনাল পোশাকই পছন্দ৷ অষ্টমীতে তো শাড়িটা মাস্ট৷
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন