একনজরে বিশ্বের দশটি নির্জন স্থান
পৃথিবীতে এরকম অনেক স্থান বা জিনিস রয়েছে যা একসময় মানুষের বাসযোগ্য ছিল বা মানুষ ব্যবহার করত৷ কিন্তু কালের নিয়মে আজ সেগুলি অব্যবহৃত অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে৷সেই জায়গাগুলিতে মানুষ যায় না বললেই চলে৷ প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ায় ওই জায়গা বা জিনিসটির কথা কেউ আর মনেও করে না৷সেখানে এখন কেবল বাস করছে নির্জনতা৷
এক নজরে দেখে নেব সে রকমই দশটি পরিত্যক্ত বা নির্জন স্থান ও বস্তু:
১.
বেলজিয়ামের এই জঙ্গলটিকে বলা হয় পুরানো গাড়ির কবরখানা৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকার সেনারা তাঁদের ব্যবহৃত গাড়িগুলিকে এখানেই রেখে যান৷ কারণ সেগুলি নিয়ে দেশে ফিরতে হলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হত৷ বর্তমানে সেগুলি পরিত্যক্ত অবস্থায় সেখানে পড়ে রয়েছে৷ যদিও তাদের ভিতর যন্ত্রাংশ কতটা আছে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে৷
২.
গুয়ামের পালাওতে নিকো বে’র কাছাকাছি একটি হ্রদের জলের তলায় এখনও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত প্লেনটি ডুবে রয়েছে৷
৩.
‘ইউএস রুট ৫০’: দ্য লোনলিয়েস্ট রোড অব আমেরিকা– এটি আসলে একটি অন্তর্দেশীয় হাইওয়ে৷ ক্যালিফোর্নিয়ার সাক্রামেন্টো থেকে পূর্ব দিককার ওসান সিটি মেরিল্যান্ড পর্যন্ত এটি বিস্তৃত৷ কিন্তু এই হাইওয়ের দুদিকে জনবসতি নেই বললেই চলে৷ কারণ রাস্তাটি কয়েকটি বিশাল মরুভূমি ও পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে৷ তাই এই রাস্তাটি দ্য লোনলিয়েস্ট রোড অব আমেরিকা আখ্যা দেওয়া হয়েছে৷
৪.
গ্রিন লেক (অস্ট্রিয়া): গরমকালে পার্শ্ববর্তী কার্স্ট মাউন্টেনের বরফ গলে এই লেকটির আকার বেড়ে যায়৷ এবং আশপাশের অনেকটা জায়গা ১২ ফুট গভীর জলের নীচে চলে যায়৷ কিন্তু শীতকালে ফের জল নেমে গেলে সেটির গভীরতা কমে এক মিটার হয়ে যায়৷ এবং জলের নীচে থাকা গাছ, বসার বেঞ্চগুলি আবারও উপরে উঠে আসে৷
৫.
ছবিতে দেখুন ইতালির লেক গার্ডাতে অবস্থিত পরিত্যক্ত সিঙ্কিং ক্যাসেল৷ যা ধীরে ধীরে জলের তলায় ডুবে যাচ্ছে৷
৬.
ফ্রোজেন বাবলস: কানাডার অ্যালবের্তায় অবস্থিত আব্রাহাম লেকে জলের বুদবুদগুলি কখনই ফাটে না৷ তার বদলে এগুলি জমাট বেঁধে থাকে৷ ১৯৭২ সালে নর্থ সাসকাহুয়ান নদীতে এই লেক তৈরি হয়৷ উল্লেখ্য যে, লেকটিতে মাইনাস ৩০ ডিগ্রিতেও বরফ পড়ে না৷ তাই জলের তলার বুদবুদগুলিকে স্পষ্ট দেখা যায়৷
৭.
বারমুডা ট্র্যাঙ্গেল নিয়ে জল্পনা অনেক দিনের৷ কারণ বহুদিন ধরেই এখানে বহু জাহাজ, উড়োজাহাজকে নিঁখোজ হতে দেখা গিয়েছে৷ ছবিতে সেরকমই কয়েকটি পরিত্যক্ত জাহাজকে দেখা যাচ্ছে৷
৮.
মাল্টায় সমুদ্রের তলায় রয়েছে যিশুখ্রিস্টের এই মূর্তি৷ গিদো গালেত্তি এই মূর্তি তৈরি করেন৷ কিন্তু প্লাবনের কারণে ১৯৫৪ সালে ৫৫ ফুট জলের তলায় চলে যায় সেটি৷
৯.
‘দ্য টানেল অব লাভ’(ইউক্রেন): ইউক্রেনের ক্লেভানে অবস্থিত টানেলটি আসলে তিন কিলোমিটার লম্বা একটি পরিত্যক্ত রেললাইন, যা চারিদিক থেকে গাছপালা দিয়ে ঘেরা৷ এবং প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য একেবারে আদর্শ৷
১০.
দ্য হোটেল দেল সালতো, কলম্বিয়া: ১৯২৮ সালে লাতিন আমেরিকার কলম্বিয়ায় এই হোটেলটি তৈরি করা হয়েছিল তেকুয়েনদামা জলপ্রপাতের কথা মাথায় রেখে৷ কিন্তু ড্রাগ মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে সেই প্রপাতের জল দূষিত হতে আরম্ভ করায় জায়গাটি থেকে পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নেন৷ এবং হোটেলটিও সেই থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে৷
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন