একনেক সভায় “পুলিশের আবাসন” সঙ্কট নিরসনের নির্দেশ
পুলিশ সদস্যদের আবাসন সঙ্কট নিরসনে দেশের বিভাগ, জেলা, উপজেলাসহ প্রয়োজনীয় সকল স্থানে পুলিশ ব্যারাক নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান, দেশের যেসব এলাকায় এখনও পুলিশের প্রয়োজনীয় আবাসন ব্যবস্থা নেই, সেসব এলাকার জন্য আলাদা করে প্রকল্প না নিয়ে সব এলাকার জন্য একসঙ্গে একবারে বড় প্রকল্প গ্রহণ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তাছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য নির্মাণাধীন আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বৃষ্টির পানি ধরে রাখতে ভবনের উপরে রিজার্ভার নির্মাণ, বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সোলার স্থাপন এবং ভবনগুলোতে জরুরি কাগজপত্র সংরক্ষণের জন্য নিরাপদ স্টোর রুমের ব্যবস্থা রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ইতিপূর্বে দেওয়া নির্দেশনা তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন।
গতকাল ৩ হাজার ২৮৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে পাওয়া যাবে দুই হাজার ৪১২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলো দেবে ৩৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৮৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য রয়েছে।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে, উপকূলীয় শহর পরিবেশগত অবকাঠামো প্রকল্প (১ম সংশোধিত), এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (খুলনা জোন) প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (কুমিল্লা জোন) প্রকল্পে ব্যয় হবে ৪৭৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (রংপুর জোন) প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯৮ কোটি ১০ লাখ টাকা।
গতকাল অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ১৩২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামড়াঘাট-মিঠামইন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প (চামড়াঘাট-মিঠামইন অংশ), ১৫২ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন ও খুলনা জেলা পুলিশ লাইন নির্মাণ প্রকল্প এবং ১০০ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ময়মনসিংহ ও গোপালগঞ্জে দুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ১০ কিলোওয়াট এফ.এম বেতার কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, চামড়াঘাট হতে মিঠামইন পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ না থাকায় শুষ্ক মৌসুমে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। প্রকল্পের আওতায় শুষ্ক মৌসুমে চলাচলের উপযোগী সাবমার্সিবল সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ময়মনসিংহ ও গোপালগঞ্জ এলাকায় উচ্চমানসম্পন্ন, কোলাহলমুক্ত রেডিও অনুষ্ঠান সম্প্রচার, জনগণকে জাতি গঠনমূলক কাজে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণ ও উত্সাহিত করা, স্থানীয় সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী ও প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের লালন পালন করার জন্য এফ.এম বেতার কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। তাছাড়া এর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে শ্রমিক, কৃষকসহ সকল পর্যায়ের মানুষের মধ্যে সব ধরনের তথ্য, উন্নয়ন বার্তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন