ফরিদপুরের সালথায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে বন্ধ করার চেষ্টা করলেও তা বন্ধ হচ্ছে না। উপজেলা প্রশাসন বাল্যবিয়ে দেওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করলেও বর-কনের অবিভাবকরা সুকৌশলে অন্যত্রে নিয়ে কাবিন রেজিষ্টার না করে শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।!সেক্ষেত্রে প্রশাসন নিরুপায় হয়ে পড়ছে।

গত সোমবার দুপুরে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের খর্দ্দলক্ষনদিয়া গ্রামের খন্দকার আলমগীর হোসেনের কন্যা ও নারানদিয়া জয়নদ্দিন মাতুব্বার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী মোসাঃ আইভি আক্তার (১৩) কে বাল্যবিয়ে দেওয়ার সময় খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে এ বিয়ে বন্ধ করে দেন।

কিন্তু প্রশাসনের বাধা উপেক্ষা করে ঘটনারদিন রাতে পার্শ্ববর্তী নগরকান্দা উপজেলায় বরের বাড়িতে নিয়ে শরিয়াত মতে এবিবাহ শেষ করেছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও গত ২৫ ডিসেম্বার শুক্রবার উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কুমারপট্টি গ্রামের মো. লুৎফর শেখের মেয়ে ও স্কুল ছাত্রী নাসরিন আক্তার (১৪) কে এবং ১০ ডিসেম্বার বুধবার সন্ধ্যায় যদুনন্দী ইউনিয়নের গুপিনাথপুর গ্রামের আবুল কালাম শেখের মেয়ে ও পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার রুপপাত বামন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী সালমা আক্তার (১৪) কে বিয়ে দেওয়ার সময় খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন এ বিয়ে ২টি বন্ধ করে দেয়। এ বাল্যবিয়ে দুটি একই কৌশলে অবিভাবকরা মেয়েকে ছেলের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে কাবিন রেজিষ্ট্রি বিহীন শরিয়াত মোতাবেক বিয়ে সম্পন্ন করেন।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ডালিয়া মৌসুমী খান বলেন, বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে আমি এসব বিয়ে বন্ধ করে দেই। কিন্তু পরে লোকমূখে শুনতে পাই বর-কনের অবিভাবকরা কাবিন রেজিষ্ট্রি ছাড়াই শরিয়াত মোতাবেক বিয়েগুলো সম্পন্ন করেছেন।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বাস রাসেল হোসেন সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমার লোক গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়। এরপর তারা যদি কাবিন রেজিষ্ট্রি না করে বিয়ে দেন, সেক্ষেত্রে আমাদের বলার কিছুই থাকে না।