একাদশ শ্রেণীতে ভর্তিচ্ছু ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অবশেষে অফিস সহকারী বরখাস্ত
একাদশ শ্রেণীতে ভর্তিচ্ছু এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ডিগ্রি কলেজের অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী মো. কামাল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও বহিরাগতরা কলেজে ঢুকে অফিস সহকারী কামাল হোসেনকে মারপিট করার ঘটনা তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ছয় কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
বুধবার বিকালে ৫টার দিকে কলেজ গভর্নিং বডির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গভর্নিং বডির অনুষ্ঠিত জরুরি সভার কথা স্বীকার করে কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার মো. শরীফ আহম্মেদ বলেন, ওই ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর বুধবার বিকাল ৫টার দিকে কলেজ গভর্নিং বডির জরুরি সভায় অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী মো. কামাল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা করা হয়।
এ ঘটনা তদন্তের জন্য কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য এসএম এসাহাক আলীকে আহ্বায়ক ও গভর্নিং বডির সদস্য রেজাউল করিম হাওলাদার, কলেজ শিক্ষক বিমল চন্দ্র মণ্ডল, গনেশ চন্দ্র মণ্ডল, জিন্নাত জাহান খানকে সদস্য করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ওই ছাত্রী লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, এ বছরের একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার জন্য তিনি (ছাত্রী) অনলাইন আবেদনে একমাত্র মাহিলাড়া ডিগ্রি কলেজ পছন্দের তালিকায় দেন। কিন্তু জিপিএ কম থাকায় প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয়বারের ভর্তি ফলাফলে তার নাম চূড়ান্ত ফলাফলে আসে নাই। এ বিষয়ে ২০ জুন দুপুরে কলেজে গিয়ে প্রথমে অধ্যক্ষ ফিরোজ ফোরকান আহম্মেদের সঙ্গে ভর্তির জন্য আলাপ করেন।
অধ্যক্ষ ফিরোজ ফোরকান বিষয়টি নিয়ে অফিস সহকারী কামাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। এরপর কামালের কাছে গিয়ে ভর্তির বিষয়ে কথা বলতে গেলে ওইদিন বিকাল ৩টার দিকে কামাল তাকে (ছাত্রী) কলেজের দ্বিতীয় তলার নির্জন রুমে নিয়ে যায় এবং ভর্তি হওয়ার শর্ত হিসেবে কামালকে চুমো দেয়ার কথা বলে।
এক পর্যায়ে কামালকে সে (ছাত্রী) রমজানের পবিত্রতা রক্ষার কথা বললে কামাল তার (ছাত্রী) উদ্দেশে বলে, ‘হুজুর হইছো, কিছু বুঝ না, ভর্তি হতে হলে চুমো দেয়া লাগবে।’
অফিস সহকারীর মূখ থেকে দ্বিতীয়বার একথা শোনার পর সে (ছাত্রী) কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি চলে যায়। এরপর ছাত্রী বিষয়টি তার পরিবারের কাছে বিস্তারিত ঘটনা খুলে বললে ওইদিন রাতেই স্থানীয় প্রশাসন, কলেজ অধ্যক্ষ ও কয়েকজন শিক্ষককে মৌখিকভাবে জানানো হয়।
যৌন হয়রানির অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে কামাল হোসেন জানান, অনলাইনে ভর্তির তালিকায় ওই ছাত্রীর নাম না থাকায় তাকে ভর্তি করা সম্ভব হয়নি। গত ২০ জুন সারা দিন কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রচণ্ড ভিড় থাকায় তিনি (কামাল) সার্বক্ষণিক রুমের মধ্যেই অন্য সব কর্মচারীদের সঙ্গে কাজ করেছেন।
তিনি জানান, জিপিএ-২.৭৫ প্রাপ্ত ওই ছাত্রীকে ভর্তি না করায় বহিরাগত ৬-৭ জন যুবক গত ২১ জুন বেলা ১১টার দিকে অফিস কক্ষে ঢুকে তাকে (কামালকে) বেদম মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে।
মারপিটের দায় এড়ানোর জন্য ওই ছাত্রীকে দিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা যৌন হয়রানির অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে জানান কামাল হোসেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন