এক কারখানায় তৈরি হয় স্কয়ার-ইউনিলিভারের মত নামি দামি ব্র্যান্ড
এক ছাদের নিচেই বানানো হয় স্কয়ার, ইউনিলিভার, কোহিনূর ও মৌসুমী কোম্পানির প্রসাধন সামগ্রী! তবে সেগুলো আসল নয়, নকল। আর এসব প্রসাধনী বানানোর কাজ করেছে রাজধানীর চকবাজার এলাকার দেবীদাস লেনের শাহিন কসমেটিকস কোম্পানি।
নকল প্রসাধন সামগ্রী তৈরি, লাইসেন্স ও অনুমোদন ছাড়াই এসব উৎপাদন ও বাজারজাত করার অভিযোগে শাহিন কসমেটিকসকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা জেলা প্রশাসন ও ৫ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) যৌথ উদ্যোগে অভিযান চালায়।
এপিবিএনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শাহিন কমসেটিকস কোম্পানিটি দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন নামিদামি প্রতিষ্ঠান : যেমন স্কয়ার, কোহিনূর, মৌসুমী ও ইউনিলিভারের বিভিন্ন প্রসাধন সামগ্রী নকল করে ল্যাব টেস্ট এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছিল। প্রতিষ্ঠানটি স্ট্যান্ডার্ড ও টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) থেকে গুটি কয়েকটি পণ্যের উৎপাদন ও বাজারজাত করার জন্য অনুমোদন নিলেও এর বাইরেও তাঁরা ১৫টি আইটেমের বিভিন্ন ধরনের প্রসাধন সামগ্রী তৈরি করে আসছিল।
এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার এ এস এম হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সময় ভেজাল ও বিষাক্ত উপাদান দিয়ে তৈরি বিপুল স্কিন ক্রিম, বেবি ওয়েল, ভেসলিন, মেহেদি, হেয়ার ওয়েল, ফেস ওয়াশ, টোনার, চুলের তেল ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে তৈরি করা বিপুল প্রসাধন সামগ্রী জব্দ করা হয় এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদ এলাহীর উপস্থিতিতে এসব পণ্য ধ্বংস করা হয়।
এপিবিএন ৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ২০ দিন যাবৎ পর্যবেক্ষণ করার পরে আমরা এ ভেজাল প্রসাধন সামগ্রী কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছি। তারা দীর্ঘ দিন থেকে ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী নকল করে ফেয়ার অ্যান্ড বিউটি, এলিট রাঙ্গাপরি মেহেদিকে নকল করে রাঙ্গারানি মেহেদি, মেরিল ভেসলিন ও লিপজেলকে নকল করে মেরিট ভেসলিন এবং কিউট ক্রিম নকল করে উৎপাদন করছিল। অভিযান পরিচালনাকালে বিপুল বিভিন্ন কোম্পানির খালি মোড়কও জব্দ করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদ এলাহী বলেন, ‘বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে ভেজাল প্রসাধন সামগ্রী বিক্রি করে এবং বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই এসব পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করায় শাহিন কসমেটিকস কোম্পানির মালিক শাহিন আহম্মেদকে উপযুক্ত জরিমানা ও জেল প্রদান করা হয়।’
অভিযান পরিচালনার সময় বিএসটিআইয়ের ফিল্ড কর্মকর্তা মো. শরীফ হোসেন জানান, এসব বিষাক্ত উপাদান দিয়ে তৈরি প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করলে স্ক্রিন ক্যান্সার, চর্মরোগসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন