এক বছরে টানা পঞ্চম সিরিজ জয়ের উচ্ছ্বাস
২০১৫ সাল নিঃসন্দেহে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে। এ বছর দুর্দান্ত খেলে নিজেদের অনেক উঁচুতে নিয়ে গেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার পর ঘরের মাটিতে টানা চতুর্থ ওয়ানডে সিরিজ জিতলেন তাঁরা। সাফল্যের হারে বাংলাদেশ এ বছরের দ্বিতীয় সেরা দল। বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়ার পরই আছেন মাশরাফি-সাকিবরা।
বিশ্বকাপে আফগানিস্তানকে হারিয়ে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের সাফল্যযাত্রা। ক্রিকেটের সেরা আসরে মাশরাফির দল হারিয়েছিল স্কটল্যান্ড আর শক্তিশালী ইংল্যান্ডকেও। তাতে প্রথমবারের মতো নিশ্চিত হয়েছিল বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে উত্তরণ। ভারতের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের শিকার না হলে হয়তো আরেকটি চমক দেখাতে পারত বাংলাদেশ।
সেই হতাশা অবশ্য বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। বিশ্বকাপের পর পরই বাংলাদেশ সফরে এসে ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তান হয়েছিল হোয়াইটওয়াশ। দাপুটে পারফরম্যান্সে পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করেছিলেন মাশরাফি-সাকিব-মুশফিকরা। এরপর ভারতের পালা। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে হারের শোধ দারুণভাবেই তুলে নেয় বাংলাদেশ। মেধাবী তরুণ পেসার মুস্তাফিজুর রহমান অভিষেক সিরিজেই জ্বলে ওঠেন ভয়ঙ্করভাবে। তিন ম্যাচে নেন ১৩ উইকেট। মুস্তাফিজের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ভর করে প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই ওয়ানডে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলে বাংলাদেশ। এরপর সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতে কোনো রকমে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ায় ভারত।
এবি ডি ভিলিয়ার্স, হাশিম আমলাদের দুর্দান্ত দক্ষিণ আফ্রিকাও রক্ষা পায়নি বাংলাদেশ সফরে এসে। জয় দিয়ে শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হারতে হয়েছিল প্রোটিয়াদের। সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচই বাংলাদেশ জিতেছিল দাপটের সঙ্গে।
বাংলাদেশের সর্বশেষ শিকার জিম্বাবুয়ে। প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে টানা পঞ্চম ওয়ানডে সিরিজ জয়ের আনন্দে মেতে উঠেছে মাশরাফির দল। এখন সামনে পাকিস্তানের মতো জিম্বাবুয়েকেও হোয়াইটওয়াশ করার হাতছানি। গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে বাংলাদেশের সাফল্যের পথে যাত্রা শুরু হয়েছিল জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করেই।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচসহ এ বছর ১৭টি ওয়ানডে খেলল বাংলাদেশ। এর মধ্যে লাল-সবুজের দল জয় পেয়েছে ১২টি ম্যাচে। সাফল্যের হার ৭০.৬ শতাংশ। ২০১৫ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে সাফল্যের হারে শুধু বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া (৭৫ শতাংশ) বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ভারতের বিপক্ষে ১৩৩ রানের বিশাল পরাজয় বাংলাদেশের
ভারতের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানেবিস্তারিত পড়ুন
আলোক স্বল্পতায় তৃতীয় দিনের খেলা শেষ, বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ৩৫৭
চেন্নাই টেস্টে ভারতের দেওয়া পাহাড়সম ৫১৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতেবিস্তারিত পড়ুন
খেলার মাঝেই সন্তানের সুসংবাদ, উইকেট পেয়ে উদযাপন শাহিন আফ্রিদির
রাওয়ালপিণ্ডিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে ব্যস্ত পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার শাহিনবিস্তারিত পড়ুন