২০১৫ সালে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, ১১ নভেম্বর। আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুযায়ী ২০১৬ সালের নভেম্বরের আগে আর কোনো ওয়ানডে ম্যাচ নেই তাদের। তাই টানা একটি বছর ওয়ানডে ক্রিকেটের বাইরে থাকতে হবে বাংলাদেশ দলকে।

এই বছর জানুয়ারিতেই জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরে আসার কথা। এই সফরে তারা চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে পারে। আর ফেব্রুয়ারি-মার্চে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি এবং মার্চ-এপ্রিলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ। এর পরই আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ভারতীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরে আসার কথা একটি টেস্ট খেলতে।

তবে এ বছর বাংলাদেশ ওয়ানডে ম্যাচ খেলছেনা তা কিন্তু নয়। এফটিপি অনুযায়ী বছরের শেষ দিকে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ছয়টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে তারা। অবশ্য তা খেলবে এক বছর পর।

অক্টোবরে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল বাংলাদেশে আসবে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে। এই সিরিজে প্রথমে দুটি টেস্ট এবং পরে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে নভেম্বরে।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শেষে ডিসেম্বরে বাংলাদেশ যাবে নিউজিল্যান্ড সফরে। নিউজিল্যান্ডে তারা দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে।

একটি বছর ওয়ানডের বাইরে থাকলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টেনে উঠতে পারলে বাংলাদেশ ১৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে।

অবশ্য গত একটি বছর ওয়ানডে ক্রিকেটেই বাংলাদেশের যত সাফল্য ছিল। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা, ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করা এবং ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজ হারিয়ে চমক দেখিয়েছে তারা। ১৮টি ওয়ানডে খেলে তার মধ্যে ১৩টি ম্যাচেই জিতেছে মাশরাফি-সাকিবরা।

তাই আইসিসির ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়েও বাংলাদেশের অনেকখানি উন্নতি হয়েছে। পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে সাত নম্বরে উঠে এসেছে তারা। অথচ টেস্টে র‍্যাংকিংয়ে নবম এবং টি-টোয়েন্টি র‍্যাংকিংয়ে দশম স্থানে বাংলাদেশ দল।