এক হাজার বছর পর ধ্বংস হয়ে যাবে মানবসভ্যতা: স্টিফেন হকিং

মানুষের বসবাসের জন্য নতুন কোনো স্থান খুঁজে না পেলে আগামী এক হাজার বছরের মধ্যেই মানবসভ্যতা ধংস হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন জগদ্বিখ্যাত তাত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং।
চলতি সপ্তাহে অক্সফোর্ড ইউনিয়ন ডিবেটিং সোসাইটিতে দেওয়া এক বক্তৃতায় স্টিফেন হকিং বলেন, ‘মানবসভ্যতা সম্ভবত আর এক হাজার বছর পর ধংস হয়ে যাবে।’
বিশ্বব্যাপী পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা বেড়ে যাওয়া ও ভয়ঙ্করভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে মানবসভ্যতার ভবিষ্যত নিয়ে এর আগেও বেশ কয়েকবার সতর্ক করেছেন হকিং। এমনটি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাও মানুষের ধংসের কারণ হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন তিনি।
বাঁচতে হলে মানুষকে অবশ্যই তাদের বাসযোগ্য নতুন কোনো স্থান বা গ্রহ খুঁজে বের করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মহাশূন্য যাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। এ ভঙ্গুর পৃথিবীতে আমরা আর এক হাজার বছরের বেশি টিকব না।’
২০০৯ সালে ঠিক এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই নাসা তাদের কেপলার মহাশূন্যযানটিকে মহাশূন্যে পাঠায়। পৃথিবীর আশেপাশে মানুষের বসবাসযোগ্য অন্য কোনো গ্রহ আছে কি না, তা খুঁজে দেখাই এ মিশনের লক্ষ্য। তবে এখনও এ ধরনের কোনো গ্রহের অস্তিত্বের কথা শোনা যায়নি।
এ বছর জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পৃথিবী থেকে ৪.২ আলোকবর্ষ দূরে ‘প্রক্সিমা বি’ নামের এমন একটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন, পৃথিবীর আলো বাতাসের সাথে যার কিছুটা মিল আছে। হকিংয়ের ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হলে মানুষকে হয়তো একসময় এ গ্রহটিতেই পালাতে হতে পারে।
তবে স্টিফেন হকিং তার বক্তব্য শেষ করেছেন শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দিয়ে। তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘নিজের পায়ের দিকে না তাকিয়ে মাথার ওপর আকাশের দিকে তাকাও।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো
সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেবিস্তারিত পড়ুন