এটিএমে লেনদেন বন্ধ রাখা যাবে না
টাকা চুরির ঘটনায় এটিএম বুথে লেনদেন বন্ধ করার কোনো নিদের্শনা দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভংকর সাহা জানিয়েছেন, পূর্বের মতোই সার্বক্ষণিকভাবে এটিএম বুথ ও অন্যান্য সুবিধা চালু রাখতে হবে। কেউ যদি স্বেচ্ছায় বন্ধ করে তবে তা খতিয়ে দেখা হবে।
গত শুক্রবার ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য ব্যাংকের এটিএম ব্যবহার করে কৌশলে টাকা তুলে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে আরো জানা যায়, অন্তত ২১ জন গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে একইভাবে আনুমানিক ১০ লাখ টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ইবিএলসহ একাধিক ব্যাংক তাদের এটিএম সেবা বন্ধ রাখে। অনেক ব্যাংক সেবা বন্ধ না করলেও এটিএমে টাকার হারও কমিয়ে আনে। এতে এটিএম থেকে টাকা উত্তোলনে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ গ্রাহকদের।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভংকর সাহা বলেন, ‘এটিএম বুথ বন্ধ রাখতে আমরা এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা দেইনি। ইবিএলের ঘটনা তদন্ত করে আমরা জানতে পেরেছি তিন ব্যাংকের ছয়টি এটিএম বুথে স্কিমিং মেশিন লাগিয়ে বেশ কিছু কার্ডের ডাটা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরপর ওই ডাটা দিয়ে কার্ড ক্লোনিং করা হয়েছে। কিন্তু এজন্য তো ৮৫ লাখ কার্ড ব্যবহারকারীকে ভোগান্তিতে ফেলা যাবে না। এজন্য পূর্বের মতোই এটিএম ও অন্যান্য লেনদেন সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে। কেউ যদি বন্ধ করে তবে তা আমরা খতিয়ে দেখবো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ওই ছয় বুথে স্কিমিং মেশির লাগানো অবস্থায় যেসব কার্ড ব্যবহার হয়েছিল সেই গ্রাহকদের জানিয়ে ডিঅ্যাক্টিভেট করার পরামর্শ দিয়েছে। একইসাথে তাদের নতুন কার্ড সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।’
শুভঙ্কর সাহা জানান, কার্ড ক্লোনিং করে টাকা চুরির ঘটনা তদন্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি টিম কাজ শুরু করেছে। এ তদন্তের পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে যে ব্যাংকের কারণে টাকা খোয়া গেছে সে ব্যাংকই গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দেবে।’
ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ ঠেকাতে কি পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই প্রত্যেকটা ব্যাংক যেন তাদের বুথগুলোর সিসিটিভি থেকে দিনে অন্তত একবার পরীক্ষা করে। কেউ সেখানে স্কিমিং মেশিন লাগলে সেটা জানা যাবে। পাশাপাশি এন্টি স্কিমিং ডিভাইস বাজারে পাওয়া যায় কি না সেটাও আমরা খোঁজখবর করছি।’
তিনি বলেন, ‘যারা এ ধরনের চুরির কাজ করে তারা বুথে প্রবেশের সময় সাধারণত মাথায় এমন ক্যাপ ব্যবহার করে যাতে করে ক্যামেরায় তার মুখ দেখা না যায়। আবার বুথের সামনে যে ক্যামেরা লাগানো থাকে তাও তারা চুইংগাম জাতীয় কিছু দিয়ে বন্ধ করে দেয়। আমরা চিন্তা করছি কেউ যখন কোনো ক্যামেরা ব্লক করার চেষ্টা করবে তখনই যাতে এলার্ম বেজে উঠে। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন