এটি কিসের আলামত?
বাংলাদেশের বিভিন্ন বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে প্রতিবেশী একটি দেশের কূটনীতিকদের পরিদর্শনের সুযোগ দিয়ে সরকার রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা উন্মুক্ত করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
শুক্রবার সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, এটি কিসের আলামত? দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করছেন বাংলাদেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত বর্তমান সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কাছাকাছি একটি দেশের কূটনীতিকরা।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য পরনির্ভরশীলতার কারণেই প্রভুদের কাছে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তাকে উন্মুক্ত করে দিচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিদেশী কূটনীতিকের পরিদর্শন কি অজানা চুক্তির বহিঃপ্রকাশ?
রিজভী বলেন, সামগ্রিকভাবে মনে হচ্ছে আমাদের সব সরকারি প্রতিষ্ঠানকে পার্শ্ববর্তী দেশের এক্সটেনশনে পরিণত করার উদ্যোগ চলছে। কেবল তাই নয়, প্রতিবেশী দেশকে খুশি করার জন্য নানা উপহারে ভুষিত করা হচ্ছে রাষ্ট্রচারের প্রকরণ অমাণ্য করে। তবে এর বিনিময়ে বাংলাদেশের প্রাপ্তি হচ্ছে লবডঙ্কা।
গত ৩০ জানুয়ারি ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমী পরিদর্শন করেন। এছাড়া তিনি রাজশাহী চেম্বার অব কর্মাস, নগর ভবন ও জয়কালী মন্দিরও পরির্দশন করেন।
রুহুল কবির রিজভী আরো অভিযোগ করে বলেন, একতরফাভাবে বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্যের ওপর ভারতের অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপের ফলে ভারতে তা রফতানি বন্ধ হয়ে পড়েছে।
গত ৫ জানুয়ারি ভারত সরকার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি আটকে গেছে। এ নিয়ে দেশের রফতানিকারকরা বিপাকে পড়েছেন। এ ব্যাপারে তাবেদার সরকারের কোনো উচ্চবাচ্য নেই। সরকারের কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। উল্টো তারা হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণ করে প্রতিবেশী দেশের পণ্য পরিবহনে সুবিধা করে দিচ্ছে।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশকে একেবারে ভারতের এক নম্বর মার্কেটে পরিণত করার জন্য যত আয়োজন- সেটি এ সরকার সম্পন্ন করেছে।
বিএনপির এ নেতা আরো বলেন, শুধু তাই নয়, মংলা-ঘসিয়াখালী নৌ-রুট দিয়ে ভারত যাতে সহজে পণ্য আনা-নেয়া করতে পারে সেজন্য গত সপ্তাহেও সরকার ৭০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
তিনি আরো বলেন, দেশকে ভারতের হাতে উজার করে দিচ্ছে। কোথাও ট্রানজিটের নামে করিডোর দিয়ে, কোথাও মালামাল পরিবহনের নামে নৌ ও সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে দেশের স্থলপথ- নৌপথ এমনকি আকাশপথকে তারা অবাধে ব্যবহার করলেও আমরা বিনিময়ে কিছুই পাচ্ছি না।
দেশে রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক-অর্থনৈতিক আগ্রাসন এখন অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে অত্যুগ্র মাত্রায় বেড়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
রিজভী বলেন, আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বিচারিক প্রক্রিয়ার নামে জিয়া পরিবারকে অমানবিক আক্রমণ চালানো হচ্ছে। নাজেহাল করতেই খালেদা জিয়া প্রতি সপ্তাহে একবার কিংবা দুইবার আদালতে উপস্থিত থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। এটা সরকার প্রধানের প্রতিহিংসা বর্ধিত বহিঃপ্রকাশ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, এম এ মালেক, আসাদুল করিম শাহীন, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন প্রমুখ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন