এদের ঈদ যেমন কাটবে..!!
সর্বত্রই বইছে ঈদের হাওয়া। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে জমে উঠেছে কেনাকাটা। রাজধানীর বিপণি বিতান, ফ্যাশন হাউস, শপিংমল, মার্কেট ও ফুটপাথজুড়ে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মত। রাজধানীর উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নবিত্তরাও পছন্দের পোশাকসহ আনুসঙ্গিক সব কিছুই কিনছেন সাধ্যমতো। ফলে রাজধানীর ব্যয়বহুল বিপণি বিতানগুলোর পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানেও চলছে জমজমাট বেচাকেনা।
সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে মুসলমানদের সর্ববৃহৎ উৎসব উদযাপনে। যে যার মত করে নিজেদের সাধ্যের মত পালন করবে ঈদ। শুক্রবার সরেজমিনে রাজধানীর অধিকাংশ মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, বিদেশি পোশাকের পাশাপাশি এবার দেশি কাপড় ও ডিজাইনারদের তৈরি পোশাকের বুটিক হাউসগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা বেশি।
গাউছিয়া, চাঁদনী চক, ধানমন্ডি হকার্স ও নিউমার্কেটে ঈদ উপলক্ষে বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় হিন্দি ছবি, সিরিয়াল ও নায়িকাদের নামে ট্যাগ করা পোশাক।যার যার রুচিমত কিনছেন এসব পোশাকসহ আনুসাঙ্গিক জিনিসপত্র।
যে যার মত করে ব্যস্ত তাদের ঈদ ভাবনা নিয়ে কিন্তু এ রাজধানীতে যাদের সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, প্রতিদিনই আমাদেরকে যাদের মুখোমুখি হতে হয় তাদের অর্থ্যাৎ রাজধানীর রিকশা চালকরা তাদের ঈদ উদযাপন সম্পর্কে কি ভাবছেন? কেমন হয় তাদের ঈদ? এসব বিষয় জানতে রাজধানীর একাধিক রিকশা চালকের সাথে কথা হয় জাগো নিউজের এই প্রতিবেদকের।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যাত্রী পাওয়ার অপেক্ষা দাঁড়িয়ে ছিলেন রিকশা চালক আবুল হোসেন। ঈদ উদযাপন ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদকে সামনে রেখেই ঢাকায় রিকশা চালাতে আসা।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সারাবছর খেত মজুরের কাজ করি । কৃষি ক্ষেত্রে সব কিছুতে ডিজিটাল মেশিনের ব্যবহার বেশি হওয়ায় এবার কাজের বাজার খারাপ। অভাব অনটন সংসারকে ছাড়ে না। তাই ১ম রমজান থেকেই রাজধানীতে রিকশা চালাতে এসেছেন বলে জানান আবুল হোসেন।
রাজধানীর কমলাপুর সংলগ্ন এক রিকশার গ্যারেজে থাকেন তিনি, প্রতিদিন রিকশা জমা বাবাদ ১২০ টাকা জমা দিতে হয় জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রামের বাড়িতে ছোট দুই মেয়ে আর ছেলে আছে তাদের ঈদে কিছু কিনে দিতে হবে তাই ইনকাম ভালো হলে সব কিছু কেনাকাটা করে ঈদের আগের দিন বাড়ি চলে যাবো।
ঈদের জন্য রাতদিন যাত্রী নিয়ে এক স্থান অন্য স্থানে যাচ্ছি সবাই কত কিছু কিনছে। কিন্তু আমার পারিবারের জন্য কিছু কিনতে পারছি না । তবে রোজার শেষের দিকে দুই মেয়ে ,ছেলে আর বউ এর জন্য ঈদের বাজার করবো।
মতিঝিলে যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা আরেক রিকশাচালক বেলাল আহমেদ বলেন, ঘর ভাড়া দিয়ে আর খাওয়া দাওয়া করেতই ইনকামের সব টাকা শেষ হয়ে যায়। ঈদের জন্য আর কি কেনা কাটা করবো?
তিনি বলেন, আমাদের ঈদ, অন্য সব দিনের মতই । ভাত জোটানোর জন্য ঈদের দিনেও রিকশা চালাতে হয়। সবাই তো ঈদ করেই, আমাদের মত রিকশাওয়ালারা ঈদ না করলেও কিছু হবে না। তবুও ছোট ছোট ছেলে মেয়ে আছে তাদের কিছু কিনে দিতে হবে কষ্ট হলেও।
গতবার ঈদে ছেলে মেয়েদের কিছু কিনে দিতে পারিনি এবার ঈদের আগে থেকেই তারা বায়না ধরে আছে তাদের জামা কাপড় কিনে দিতে হবে। দেখি! যদি ইনকাম ভালো হয় তবে কিনে দিবো।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ভরিতে এবার ১,৯৯৪ টাকা বাড়লো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনবিস্তারিত পড়ুন
সংস্কার হলে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কত কমানো সম্ভব জানালো সিপিডি
মূল্য নির্ধারণ কাঠামোর সংস্কার হলে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ১১বিস্তারিত পড়ুন
রাজশাহীতে সমন্বয়ককে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ
রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় এক সমন্বয়ককে হাতুড়িপেটা করার অভিযোগবিস্তারিত পড়ুন