এনজিও নিয়ন্ত্রণের বিধান রেখে বিল পাস

বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবকমূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন বিল-২০১৬’ পাস হয়েছে।
পাসকৃত বিলে কোনো এনজিও বা এনজিও কর্মকর্তা সংবিধান বা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে অশোভন মন্তব্য করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন সংসদকার্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
বিলটি নিয়ে আলোচনাকালে এর বিরোধিতা করে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা। তাদের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হওয়ার পর কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়।
বিলের বিধান অনুযায়ী, এখন থেকে একটি এনজিও ১০ বছরের জন্য নিবন্ধন পাবে। এনজিও বিষয়ক ব্যুরো থেকে এই নিবন্ধন নিতে হবে। আইন অমান্য করলে যেকোনো সময় ওই নিবন্ধন বাতিল বা স্থগিত করা যাবে।
বিদেশি অনুদান একটি নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাবে (মাদার অ্যাকাউন্ট) থাকতে হবে। ব্যয়ের হিসাব অডিট করার পর এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালকের কাছে দিতে হবে। এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এসব বেসরকারি সংস্থার কার্যক্রম পরিদর্শন, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করবে। আইন না মানলে প্রথমে সতর্ক করা হবে। নিবন্ধন বাতিল ও জরিমানার বিধানও আইনে রাখা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ বা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী, সংসদ সদস্য, স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে অধিষ্ঠিত ব্যক্তি, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা কর্মচারী, এ আইনের অধীন নিবন্ধিত এনজিও বা সংস্থার কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী বৈদেশিক অনুদান গ্রহণ করতে পারবে না। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তালিকাভুক্ত কিংবা নিষিদ্ধ ব্যক্তি বা সংগঠন বিদেশি অনুদান নিতে পারবে না বলেও বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এনজিও কার্যক্রম বর্তমানে পরিচালিত হয় ১৯৭৮ ও ১৯৮২ সালের দুটি অধ্যাদেশ দিয়ে। সামরিক শাসনামলের অধ্যাদেশ দুটি একত্রিত করে নতুন আইন করতে গত ২৪ জানুয়ারি সংসদে বিলটি উত্থাপন করা হয়। পরে তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলটি উত্থাপনের পর থেকেই এই বিলের একাধিক ধারা নিয়ে আপত্তি জানায় বেসরকারি সংস্থাগুলো। বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একাধিক বৈঠক করে সংসদীয় কমিটি।
গত ১৮ মে কমিটির বৈঠকে বিলটি পাসের সুপারিশ করে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়। এরপর ২৬ জুলাই সংসদ অধিবেশনে ওই প্রতিবেদন উত্থাপন করা হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি গণ অধিকার পরিষদের
জাতীয় পার্টিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দাবি জানিয়েছেবিস্তারিত পড়ুন

নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া
গণ অধিকার পরিষদের আহত সভাপতি নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় দুই শিশু নিহত, আহত ১৭
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে একটি ক্যাথলিক স্কুলে জানালা দিয়েবিস্তারিত পড়ুন