এবার অভিযানে ফিফা
দুর্নীতির দায়ে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ থেকে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার ৭ কর্মকর্তার গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় টালমাটাল পুরো ফুটবল দুনিয়া।
শুধু কর্মকর্তা নয়, এখন খোদ ফিফার কর্মকা-ের দিকেই আঙ্গুল তুলছেন অনেকে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সবকিছু খতিয়ে দেখতে বেশ আটঘাট বেঁধেই মাঠে নামছে ফিফা। তারই প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বিভিন্ন দেশের ১১ জন কর্মকর্তাকে সাময়িক নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সংস্থার এথিক্স কমিটি। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত ওই ১১ কর্মকর্তা জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক ফুটবল সংশ্লিষ্ট কোনো কিছুতেই জড়িত হতে পারবেন না।
দুই সহ-সভাপতিসহ সাতজনকে গ্রেপ্তারের ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্তে নেমে পড়েছে ফিফার এথিক্স কমিটি। নির্বাচনের জন্য যে সাজসাজ রব পড়েছিল জুরিখে অবস্থিত ফিফার সদর দপ্তরে, সেটাকে এথিক্স কমিটি ‘ড্যামেজ পার্টি’ নামে আখ্যায়িত করেছে। একই সঙ্গে ফিফার কার্যনির্বাহী কমিটিকে পরিচ্ছন্ন করার অভিযানেরও ঘোষণা দিয়েছে। সেই অভিযানের শুরুতেই কমিটি সাময়িক নিষিদ্ধ করেছে বিভিন্ন দেশের ১১ ফুটবল কর্তাকে। যার মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া ওই সাত কর্মকর্তাও আছেন। যে ১১ জনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তারা হলেন_ জেফ্রি ওয়েব, এডওয়ার্ডো লি, হুলিও রোকা, কস্তাস টাক্কাস, জ্যাক ওয়ার্নার, ইউজেনিও ফিগুয়েরেডো, রাফায়েল এস্কুইভেল, হোসে মারিয়া মারিন, নিকোলাস লিওজ, চাক বস্ন্যাজার এবং ড্যারিল ওয়ার্নার।
আর্টিকেল ৮৩’র অনুচ্ছেদ-১ এর ক্ষমতাবলে ওই ১১ ব্যক্তির ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ দিয়েছেন এথিক্স কমিটির ইনভেস্টেগেটোরি চেম্বারের চেয়ারম্যান। ফিফার এথিক্স কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এথিক্স কমিটির ইনভেস্টেগেটোরি চেম্বার কর্তৃক প্রাপ্ত প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণাদি এবং আমেরিকান অ্যাটর্নি অফিস কর্তৃক সরবরাহকৃত তথ্যের ভিত্তিতে এথিক্স কমিটির এডজুডিকেটরি চেম্বার চেয়ারম্যান হ্যান্স-জোয়াকিম একার্ট ১১ ব্যক্তিকে তাদের জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফুটবলের কোনো কার্যক্রমে জড়িত হওয়ার ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল।’
আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফিফার সভাপতি নির্বাচন। তার আগেই বুধবার ঘটেছে মহা কেলেঙ্কারি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অফিস অব জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের অনুরোধে জুরিখের হোটেল থেকে ঘুম ভাঙিয়ে ৭ ফিফা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফিফা নির্বাচনকে সামনে রেখেই সুইজারল্যান্ডের জুরিখে হাজির হয়েছিলেন ফিফার ওই কর্তাব্যক্তিরা_ যারা গত দুই যুগ ধরে শত শত কোটি ডলার ঘুষ-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৮ রাশিয়া এবং ২০২২ কাতারকে বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার মর্যাদা পাইয়ে দিতে কোটি কোটি ডলার ঘুষ-বাণিজ্য হয়েছিল বলে আগে থেকেই অভিযোগ রয়েছে। ওই ৭ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হওয়ার পর সেই অভিযোগ অনেকাংশেই সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন